কেইটের কথাবাত্রা (২)

কেইটের কথাবাত্রা (২)

কারো মুসিবতটা না জেনে তারে জাজ করা ভারি ইজি জিনিশ। সত্যটা যার যার বাস্তবতায় আলাদা। কারো সত্যটা জানলে পরে জেনারালাইজড জাজমেন্টাল হওয়া মানুষের পক্ষে সম্ভবই হতো না।

আল্লার দরবারে হাজার শুকরিয়া এই কারণে যে সেলেব্রিটি বা ছাতামাথা যা-ই হই না কেন আমি আমার বাচ্চাদের স্কুলে নিয়া যাওয়া, বাড়িতে তাদেরে দেখভাল করা, গায়েমুখে হাতবোলানো বা আদর করা, আর ‘আমার সোনামণি কইলজার টুকরাগুলা, আমি তোমরারে ছাড়া বাঁচতাম নায়’ ইত্যাদি করা এবং অবিরাম অবিরাম বলিয়া যাইবার মতো ইমোশন আমার ভিত্রে এখনও পয়লা দিনের ন্যায় তাজা। মাবুদে এলাহির শোকর গুজারিয়া শেষ করবার মতো নয়।

ইংলিশ রেইন আমি ভীষণ মিস্ করি। ইংরেজি বৃষ্টি আমার কাছে এত সুস্বাদু লাগে যা ভাষায় ব্যক্ত করার নয়। রেইন হচ্ছে, উইন্ডো দিয়া আমি তাকায়া আছি দূরের পানে, মেঘে মেঘে আকাশ কালো ও ঝাপসা, দারুণ লাগে। এই জিনিশটাই, এই দৃশ্যগুলাই, চিরদিনের ইংলিশ জিনিশ বলে মনে হয়, আর-কিছু অত নয়। বৃষ্টিঝরা ভালোবাসি চিরটাকাল।

পারিবারিক আচরণের দিক থেকে আমরা হচ্ছি সেইসব পুরানা আমলের পরিবার যারা সানডেতে একে অন্যের লগে একত্র গুলতানি মারার লাইগা দূরদুরান্ত থেকে এসে একজন-কারো বৈঠকখানায় জড়ো হই বছরভর প্রত্যেকটা রবিবারে। এর কোনো অন্যথা নাই। আমি আমার ছোটবোনরে প্রত্যেক রবিবারে মুলাকাত করি, একলগে খাইদাই, কিচ্ছাকাহিনি শুনি সারাহপ্তার, মাস্তি মারি, সুখদুঃখ সেলিব্রেইট করি, হ্যাপা সামলাইবার ফন্দিফিকির খোঁজার জন্য শলাপরামর্শও করি। মুখদেখাদেখি বন্ধ কইরা প্রাণপণ আত্মকেন্দ্রী আধুনিক আমি হইতে পারি নাই।

হোলি স্মোক  ম্যুভিচিত্রখানা ব্যাপক সাহসী নির্মাণ একটা। কারণ এই সিনেমা পারিবারিকভাবে একলগে দেখা যাইলেও যাইতে পারে তবে আমার মনে হয় না এইটা নিয়া কথা বলা আর-পাঁচটা বাজারচলতি সিনেমার মতো অত সহজ।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

পড়ুন: 

কেইটের কথাবাত্রা (৩)

বিদিতা গোমেজ

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you