গ্যুডবাই চিঠি ফ্রম গ্যাব্রিয়েল হোসে দে লা কনকর্ডিয়া গার্সিয়া মার্কেস

গ্যুডবাই চিঠি ফ্রম গ্যাব্রিয়েল হোসে দে লা কনকর্ডিয়া গার্সিয়া মার্কেস

বিতর্ক আছে এইটা নিয়া, গ্যাবো পত্রটি নিজে লিখেছিলেন কি না, তারপরও জিনিশটা গ্যাবোর নামেই চলছে। অ্যানিওয়ে। এইটা আমি মাদুলির মতো কবচের ভেতরে পুরে মোমগালা করে রেখে দিয়েছি। খুব ভাঙাচোরা মুহূর্তে যে-কয়টা তাবিজ-তাগা আমারে শিল্ড হয়ে রক্ষা করে চলেছে সমুদ্রে সমূহ নিমজ্জন থেকে, এই চিঠিটা তা-সবের অন্যতম। বলা বাহুল্য, ভাঙাচোরা মুহূর্ত, অসময়, বিটকেলে দুঃসময়, এইসবের তো শুমার-সীমা নাই আমার জীবনে, এবং ধারণা করি গোল্ডেন স্পুন মুখে নিয়া না-জন্মাইলে আপনারও তা-ই। আমার নিমজ্জনমুহূর্ত তো সময়-অসময় না-বুঝে ড্রাগনডানায় চেপে যখন-তখন গজবের মতন নামে, এর কোনো নোটিশনামা থাকে না প্রায়শ, কোনো-কোনো সময় দিনে একাধিকবার বা হপ্তায় মিনিমাম তেরোচৌদ্দবার, আবার উড়েও যায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ম্যাগপাই-রবিনের পাখায় ভর করে। সেই-রকম একটা সময়ে, বছরটা যিশুজন্মের পরবর্তী হিসাব অনুযায়ী ২০১০ এবং মাসটা দেখতে পাচ্ছি ছিল জুন, পেয়েছিলাম চিঠিটা। পাবার পরপর অনেকের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম, জিমেইলের ইনবক্স মারফত। আংরেজিতে লেখা লেটার, গ্যাবো ইংরেজিতেই লিখেছিলেন না স্প্যানিশে, ব্যাপারটা আর জানা হয় নাই আমার। অ্যানিওয়ে। গ্যাব্রিয়েল মার্কেসের একটা মাত্র বই আমি ইংরেজিতে পড়েছিলাম কবুল করা যাক। পরে আর আংরেজি পড়ার দরকার তো হয় নাই, ভালো ও বেশ সুখদ বঙ্গানুবাদ সুলভ হয়ে ওঠে বাজারে। একই বইয়ের একাধিক, কখনো কখনো দশাধিক, অনুবাদ উঠতে থাকে মার্কেটে। একসময় দেখতে পাই যে আশেপাশের সক্কলেই মার্কেসানুবাদক! কে কার অনুবাদ ফলো করে মেরেকেটে দিচ্ছে, কে অনুবাদের তস্য অনুবাদ কপি মারতেসে, সেইসব বোঝার কুদরত আমার তখন যেমন ছিল না আজও তেমন নাই। কিন্তু সবেধন নীলমণি যে-কেতাবখানা আমি সংগ্রহ করিয়া উঠি, সেইটার নামডাক শুনে-শুনে বেড়ে উঠেছি, পিচ্চি ছিলাম যখন আমি বছর-তিনচারের, তখন এইটা মশহুর একটা পুরস্কার বাগায়, আর আমি বড় হয়ে দেখতে পাই যে পুরস্কার পাইতে হয় জ্যাক দিয়া। যা-ই-হোক, এইসব কারণে দেরি হচ্ছিল পড়তে, শেষমেশ পড়ি, বইটার নাম না-বললেও লোকে ঠিকই জানে। ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ার্স অফ সলিচ্যুড। ট্র্যান্সলেইটেড ফ্রম দি স্প্যানিশ বাই গ্রেগ্রি রব্যাসা। আচার-ব্যবহার ভালোই লেগেছিল কাহিনিখানার, খুব চেনা-চেনা ঠেকেছিল এর বিশালায়তন পরিবার, এর ফ্যামিলি ট্রি, এর ক্যারেক্টারগুলার ভুলভ্রান্তি-চিৎকারচ্যাঁচামেচি, এর মুরগির বিষ্ঠা আর খড়ের গাদা, এর প্রেম-যৌনতা-জিনা সবকিছু। অনাত্মীয় মনে হয় নাই মোটেও এর আখ্যানবিন্যাস, কুহকধাঁধা, যেমন অনাত্মীয় মনে হইত না রুশ গল্পোপাখ্যানগুলো। হাওয়েভার। পরে একে একে বেশ কয়েকখানা মার্কেসকাহিনি পড়েছি, বাংলান্তরিত, মন্দ-ভালোমেশামেশি সেই অনুবাদ পঠনাভিজ্ঞতা। আজ হিসাব কষে দেখছি কম তো পড়ি নাই! নানান সময়ে হাতের নাগালে পেয়ে মুফতে পড়ে ফেলেছি গোত্রপিতার হেমন্ত, কর্নেলকে কেউ পত্রাদি লেখে না, সরলা এরেন্দিরা আর দিদিমার উপাখ্যান, রোদনভারাতুরা বেশ্যারা, আর পড়েছি কিয়দংশ ‘ভিভির পারা কন্তার্লা’, আত্মজীবনী বলিয়া যা বাজারে এসেছিল গ্যাবো-উফাতের কয়েক বছর আগে, এইটা আংরেজিতে একাংশ উল্টেপাল্টে দেখেছি কয়েক বিকেলে, একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির উরুর চিপায় কয়েক হপ্তা দেখেছি বইটা, মাগার চাহিবার মওকা পাই নাই, ফাঁকেফোকরে কয়েক লোকমা নজর বুলিয়ে গেছি কেবল। মনে হয়েছে এইটা আদৌ অটোবায়োগ্র্যাফি হিশেবে তেমন আলাদা কিছু না, অথবা মার্কেসের সমুদয় আখ্যানাদিই তার আত্মজীবনী। যা-ই-হোক, ঘটনা এইটুকু। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে কলাম্বিয়ার ছোট্ট এক শহরে জন্ম-নেওয়া গ্যাবোর শরীরী আয়ু ফুরাইল ২০১৪-তে এসে। জীবন যত-না দীর্ঘ গ্যাবোর, তারচেয়েও অনেক অনেক বেশি দীর্ঘ তার কাজের বহর, অনেক বেশি অবদান তার ভুবনসৃজনে। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের গল্পোপন্যাস নিয়া গালগল্প ফাঁদা তো, অন্তত এই বাংলায়, মায়ের কাছে মাতুলালয়ের গপ্পো করার সমতুল। সম্ভবত এতটাই বহুলপঠিত তিনি। যারা কি-না গল্প-উপন্যাস পড়েন, তাদেরকেই মনে রেখে বলছি কথাগুলো। গ্যাবোর গুণপনা নিয়াও তো বলার কিছু নাই, পৃথিবী সমস্তই জানে গত অর্ধশতক ধরে। ১৯৮২-র পর থেকেই তো দুনিয়াজয়ী তিনি। কিন্তু এইসব কথা না-বলে এখানে সেই চিঠিটা আধো-আধো বোলে বাংলা করে রেখে দিচ্ছি, গ্যাবোস্মৃতির অনারে, কেউ বাংলা নিয়া খবরদারি করতে গেলে এই অনারারি মেমোরিয়্যাল তর্পণ পুরাই ধরা খাবে এ-বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। নিউজ যেটুকু প্রকাশ রাখা দরকার তা এ-ই যে, সে-বছর, অর্থাৎ ২০১০ সালে, গ্যাবো হস্পিটালাইজড হন, ক্যান্সার ধরা পড়ে, এবং তিনি এই চিঠির মধ্য দিয়া পাব্লিক লাইফ থেকে রিটায়ার করেন। এইটা কাজেই বিংশ-শতকের একজন জিনিয়াসের ফেয়ারোয়েল লেটার, গ্যুডবাই জানাচ্ছেন একজন মানুষ তার প্রিয় দুনিয়াটাকে, এর মূল্য অনেকের কাছেই ইউনিক ঠেকতে পারে। এখানে চিঠিটা বাংলা করা হচ্ছে এবড়োখেবড়ো এক হাত দিয়ে, তদুপরি ইনসেটে একটা উইন্ডো ওপেন রেখে বারবার ফিরিয়া ফিরিয়া তাকাবার দিগদারি তো আছেই। কিন্তু কোনোক্রমেই ঠিক ঠিক শব্দ ধরে এই কাজ করা হচ্ছে না, তার দরকার আছে বলেও মনে হয় নাই, তারপরও ইংরেজিটা দেখতে চাইলে দেখে নিতে যে-কেউ পারব গ্যুগলসার্চ দিয়া। গ্যাবোকে স্বাগত জানাই জীবনে আমাদের, যে-জীবন অবিরত গল্প বলার, যে-জীবন অবিরাম হাসিবিষাদ ও ভালোবাসাবাসির।

ঈশ্বর যদি এক-মুহূর্তের জন্য হলেও ভুলে যেতেন আমি আজ যে-দশায় এসে দাঁড়িয়েছি সেই অবস্থাটা, আর আমারে আরেকটু জীবন ধার দিতে মর্জি হতো দয়াময়ের, আমি তবে আমার সাধ্যির সর্বোচ্চ দিয়া সদ্ব্যবহার করতাম সেই একটুকু জীবনের।

আমি তবে আমার মনের সমস্ত ভাব হড়বড়িয়া প্রকাশিয়া যাইতাম এমন নয়; কিন্তু যেটুকুই বলতাম আমি মুখ দিয়া, তার প্রত্যেকটা আকার-একারে আরও অনেক বেশি বিবেচক থাকতাম।

কোনোকিছুকেই আমি তার পূর্বে-থেকে-বাঁধা মূল্য বিচারপূর্বক গুরুত্ব আরোপ করতাম তা নয়, সে-বস্তুটা বরঞ্চ যা ব্যক্ত করতে চায় সেই নিক্তিতেই প্রকাশিতাম তারে।

আমি তবে ঘুমাতাম অল্প, স্বপ্ন দেখতাম অনেক অনেক বেশি, কেননা আমি তো জানি যে চোখ বুঁজলেই একেকটা মিনিটে আমরা ষাট সেকেন্ড দুনিয়ার আলো থেকে বঞ্চিত হই।

সবাই যখন থামত, তখন আমি শুরু করতাম আমার হাঁটা। আমি জেগে উঠতাম যখন সবাই যেত ঘুমোতে।

খোদা যদি আমারে আর-একটুকু জীবন দানিতেন, আমি অতি সাদাসিধা কাপড়জামা পরতাম, সূর্যের সামনে সটান দাঁড়াতাম আমি, শুধু শরীরটুকুই নয়, একেবারে আত্মা পর্যন্ত নগ্ন করে দাঁড়াতাম সৌরকৃপাসিন্ধুতটে।

যেসব মানুষজন মনে করেন যে বার্ধক্যজনিত কারণে প্রেমে অপারগ তারা, বা ভালোবাসিবারে অক্ষম, আমি তাদের ডেকে ডেকে জনে জনে বলতাম কী নিদারুণ ভুলই-না তারা করছেন, হায়! কেননা তারা জানেনই না যে প্রেমে পড়া বন্ধ হলেই, ভালোবাসতে ভুলে গেলেই, মানুষ বুড়িয়ে যেতে শুরু করে।

আমি শিশুদের হাতে দিতাম তুলে একেকজোড়া উড়িবার ডানা, কিন্তু উড়তে হয় কেমন করে সেই ট্রেনিং না-দিয়া আমি তাদেরকেই শিখে নিতে বলতাম যার যার মতো করে নিজের উড়াল।

প্রৌঢ় লোকেদেরে ডেকে বলতাম, প্রৌঢ়ত্বে মৃত্যু আসে না, মৃত্যু আসে বিস্মৃতিতে, মৃত্যু আসে বিস্মরণশীলতায়। একেক ঘটনা আর একেকটি স্মৃতি ভুলে-যাওয়া মানেই জীবনের একেকটা মৃত্যু।

আমি, আপনাদের সঙ্গে বেঁচে থেকে, আপনাদের সকলের কাছ থেকে অনেককিছুই শিখেছি, শিখেছি যে প্রত্যেকেই চায় শীর্ষপর্বতে জীবনযাপন, দিনগুজরান করে যেতে চায় পর্বতচূড়ায় সবাইকে ছাড়িয়ে সবার চেয়ে ভালো হালে, কেবল খুব কম লোকেই জানে যে সুখ কখনোই শীর্ষে কিংবা চূড়াদেশে থাকে না, সত্যিকারের সুখ পাওয়া যায় পর্বতচূড়াযাত্রাপথে, ভ্রমণকালীন পথিমধ্যে, এবং যে-উপায়ে চূড়ায় আরোহণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল সেই উপায়ের ভেতরেই নিহিত প্রকৃত সুখ, চূড়ায় সুখ নৈব চ বিরাজে।

আমি জেনেছি যে নবজাত একটা মানবশিশু যখন তার ছোট্ট আঙুল দিয়া তার বাবার হাতের আঙুল মুঠিতে ধরে রাখে, এই মুঠিধরাই তার বাকি জিন্দেগির জন্য মোহন ও অনুপম ফাঁদ হয়ে রয়।

আমি জেনেছি যে একজন মানুষের আপনাআপনি অধিকার জন্মায় তার পাশের মানুষটির দিকে কোনোপ্রকার অনুমতি ব্যতিরেকেই ফিরিয়া তাকানোর, যখন কি-না পাশের সেই মানুষটি ভূলুণ্ঠিত এবং তার উঠে-দাঁড়ানোর সহায়তা দরকার, সর্বোপরি তখন সেই মানুষটির পানে সহায়তাহাত বাড়াইতে আপনি সর্বোতভাবেই বাধ্য।

সবসময় সেই কথাটাই বলুন যা আপনি অনুভব করেন, অত জরুরি নয় সেইসব কথা বলা যা আপনি বিরাট ভাবনাচিন্তার পর আবিষ্কার করেন। চিন্তার কথা রেখে অনুভূতির কথা বলুন।

যদি আমি জেনে যেতাম যে অদ্য শেষ রজনী আমার প্রিয়জনটিরে শেষবারের মতো নিদ্রিত দেখছি, আমি আমার সমস্ত শক্তি জড়ো করে তারে অন্তিমবারের মতন আকুল জড়িয়ে ধরতাম, আর খোদার কাছে প্রার্থনা করতাম যেন পরভুবনে আমি হই তার আত্মার সহচরী।

একটা কোনো ওসিলায় যদি জানতে পারতাম যে এ-ই অন্তিম মুহূর্ত আমার তারে দেখিবার, আমি তারে একটা বাক্যই বলতাম রাজ্যির বাক্যের জঞ্জাল ঝেঁটিয়ে : আমি তোমাকে ভালোবাসি!

এইটা সত্যি যে আগামীকাল কখনো মরে না, আগামীকাল চিরদিন আসতেই থাকে, এবং জীবন আমাদেরে বারেবারে মওকা দিয়াই যায় ভুলটাকে শুধরিয়ে নেবার, কিন্তু ঘটনাচক্রে আমি যদি সর্বাংশে ভুলই হই, এবং আজকের এই দিনটাই যদি হয় আমার হাতের শেষ সম্বল, তো আমি বৃথা অপচয় না-করে এক্ষুণি বলতে চাইব : কত-যে তোমারে বেসেছি ভালো, সখা হে, এবং অবশ্যই বলব, ভুলিব না, আমি কভু ভুলিব না, অয়ি চিরবন্ধু, চিরনির্ভর, চিরসুন্দর হে আমার!

কিন্তু আগামীকাল কখনোই নিশ্চিত নয়, জোয়ান বা বুড়ো, কেউই জানে না তার আগামীকালের নিশ্চয়তা। আজকেই হতে পারে সেই-সে শেষের দিন আপনার প্রেমাস্পদমুখটিরে দেখার। কাজেই বৃথা হারাতে দেবেন না সুযোগটা। আজই করুন যা-কিছু করার, আজই বলুন যা-কিছু বলার, আগামীকাল কোনোদিনই আসবে না হয়তো আর। একবিন্দু সন্দেহ নাই আমার যে আপনি পস্তাবেন, হেলায় হারানো সময়টুকুর জন্য আপনি যারপরনাই পস্তাবেন, পস্তাবেন আপনার প্রেমের পানে একটাবার হাসিদৃষ্টি বিনিময় না-করার কসুর হিশেবে, আপনার প্রিয় মানুষটিকে একটা আলিঙ্গন একটা আলতো-গভীর চুম্বন না-দেবার জন্য আপনি ভীষণ পস্তাবেন, আরও পস্তাবেন যে আপনার নিকটমানুষটির অন্তিম ইচ্ছাটুকু অজানা রয়ে গেল আপনার।

প্রেমাস্পদকে সবসময় নিজের নিকটে রাখুন, যতটা পারেন পাঁজরের কাছাকাছি; বলুন তারে তার কানের কাছে মুখ নামিয়ে ফিসফিসিয়ে, বলুন তার মুখের সামনে চোখ রেখে মুখোমুখি সরল ও গভীর স্বরে, বলুন কতটা ভালোবাসেন তারে আপনি, কী-যে অমূল্য সে আপনার জীবনে এই কথাটা তারে বুকের ভেতরদেশে জেনে যেতে দিন। যারাই প্রিয়জন আপনার, তাদেরে ভালোবাসুন নিঃশর্ত, সদাচরণ করুন তাদের সনে। আপনার তহবিলে সঞ্চিত সমস্ত প্রিয়বাক্যাবলি দিয়া তাদের সঙ্গে কথা বলুন সবসময়।

আপনি গোপনে-গহনে কী ভাবেনচিন্তেন আর কারে কত ভালোবাসেন, তা তো অপরে জানবে না, তা জানবার কথাও নয়। আপনি আপনার কৃপাময়ের কাছে এই দোয়া করে যান সবসময় যেন তিনি আপনারে সেইসব গোপন-গহন প্রকাশিবার হিম্মৎটুকু দেন।

বন্ধুপরিজন আর আপনার মনের মানুষ সবাইকেই জানতে দিন তারা আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও মহার্ঘ্য।

আর আপনি যাকে এবং যাদেরকেই ভালোবাসেন, তাকে এবং তাদেরকে এই চিঠিটা কালবিলম্ব না-করে প্রেরণ করুন। এক্ষুণি এবং আজই যদি তা না-করেন, আগামীকালগুলো চিরকাল তো গতকালকের মতোই, বা আপনি যদি কোনোদিনই এই চিঠিটা কারো কাছে না-পাঠান, ব্যাপার না, ব্যাপার কেবল একটাই, ব্যাপার এ-ই যে, যা করার তা এক্ষুণিই করার।

ইতি
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস

সংগ্রহ, অনুবাদ ও ভূমিকা / জাহেদ আহমদ ২০১৪

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you