সিনেমায় মিসোজিনি এবং একটি থ্রিলার সিরিজ || কাজল দাস

সিনেমায় মিসোজিনি এবং একটি থ্রিলার সিরিজ || কাজল দাস

সিনেমায় মিসোজিনিস্টের ব্যাপারটা যেহেতু আলোচনায় এখন হট কেইক সেজন্য বলছি, কাইজার থ্রিলার সিরিজ দেখেন সবাই। দুইটা ভিন্ন ডাইমেনশনের নারী-পুরুষ সম্পর্ক এই সিরিজে ইন্ট্রডিউস করেছেন পরিচালক তানিম নূর

প্রথমটা দুইজন নারীর সম্পর্ক। পরিচালক আমাদের এখানে কিছুই বলেননি তবে তাদের সম্পর্ককে দুজন নারীর সম্পর্ক হিসেবেই পোর্ট্রে করেছেন তিনি, যাদের একজন আত্মহত্যা করেন তার পার্টনারের সাথে আরেকজন পুরুষের অ্যাফিলিয়েশন তৈরি হবার কারণে আর অন্যজনকে খুন করা হয়। মূলত এই দুটি খুনের রহস্য উদ্ঘাটনের প্লটই এই সিরিজের মেইন থিম।

আর দ্বিতীয় সম্পর্কটি হলো : কেন্দ্রীয় চরিত্র, ডিবি কর্মকর্তা কাইজার আর তার স্ত্রী এবং তাদের বন্ধু অম্লানের সম্পর্ক।

তিন ছেলে আর এক মেয়ে — এই চার বন্ধুর সম্পর্ক ছোটবেলা থেকেই। বড় হয়ে মেয়েটিকে কাইজার বিয়ে করেন। তাদের এক মেয়ে হবার পর ডিভোর্স নেন কাইজার দম্পতি। কাইজারের স্ত্রীকে পরবর্তীতে বিয়ে করেন অম্লান। কাইজারের মেয়ে তাকে ডাকে আব্বু আর অম্লানকে ডাকে বাবা।

দাম্পত্য, ডিভোর্স, প্রেম, ভালোবাসা — এসবের বাইরেও বন্ধুত্বের স্পেইসটার সুন্দর ব্যবহার দেখিয়েছেন পরিচালক। এই ব্যাপারটা ভালো লেগেছে। সম্পর্ক ভেঙে যাবার পরে মুখ-চাওয়াচাওয়ি বন্ধ ব্যাপারটার একটা শেইপ দেখাতে চেয়েছেন।

কাইজারের বিদায় আর অম্লানের ইন করা ব্যাপারটাকে কোনো প্রকার আ্যাডাল্টারি হিসেবেও তিনি দেখাননি এখানে। যদিও তাদের এক মিউচুয়াল বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে মদ্যপ কাইজারের মুখ দিয়ে কিছু ক্ষোভ প্রকাশ করিয়েছেন তানিম নূর

থ্রিলার জনরার সিনেমায় এভাবে দুইটা ভিন্ন ডাইমেনশনের নারী-পুরুষ সম্পর্ককে দেখানোর ব্যাপারটা ইতিবাচক।


কাজল দাস রচনারাশি

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you