ম্যানচেস্টার সিটির হইয়া ট্রেবল জেতার পর নিউজ রিক্যাপ আসছিল — আগে গার্দিওলা বলছিলেন উনারা যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ৩ বারও জিইতা ফেলেন, জুলিয়া রবার্টস তাও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেই যাবেন দর্শন দিতে; যেহেতু উনি ম্যান ইউর ভক্ত আর খেলা দেখতে গেলে যান ওই একই শহরের অন্য ক্লাবটিতে — গার্দিওলাদের প্রেইজ করবেন না!
হা হা।
পরে জুলিয়া রবার্টস এইবার ইউসিএল চ্যাম্পিয়ান হওয়ার পর গার্দিওলাকে অভিনন্দন জানাইছেন।
এই হইতেছে নায়িকাদের গুরুত্ব। বিষয়টা আর খুললাম না এইখানে।
আমি জুলিয়া রবার্টসকে পছন্দ করি ‘নটিং হিল’ থেকে। কিন্তু উনার বিপরীতের অভিনেতাদেরও প্রেমে পড়ি একই সিনেমা থেকে। যেমন, হিউ গ্রান্ট।
হিউ গ্রান্টের আরেকটা সিনেমা আমার খুবই প্রিয় — ‘মিউজিক অ্যান্ড লিরিকস’। এই ছবিতে নায়িকা আবার ড্রিউ ব্যারিমোর। উনাকে জুলিয়া রবার্টসের চেয়ে বেশি ভালো লাগত আমার। বাট আমি দেখছি হলো হিউ গ্রান্টের জন্য।
আর প্রিটি উম্যানের নায়ক রিচার্ড গিয়ারকেও ওই একই সিলসিলায়। থ্রু জুলিয়া রবার্টস।
স্ক্রিনে এইটা একটা ব্যাপার। আপনারা তো জানেনই, যে-কোনো সাফল্য বা উতরে-যাওয়া কাজ ওই কম্ফোর্ট দাবি করে, যা গ্রেট আর্টিস্টরা জেনেটিক্যালি অ্যান্ড অরগ্যানিক্যালি পেনিট্রেইট করতে ও করাইতে পারেন। যেন যে-কোনোকিছু তার সাবলীলতার মধ্যে ওয়ার্ক করতে পারে। হেসে উঠতে পারে। স্ক্রিনের বাইরের দুনিয়াতেও মেন্টর বা কোচ বা কো-ওয়ার্কার বা বস বা গুরুত্বপূর্ণ মানুষেরাও এই গুণে গুণান্বিত। প্রেমে বা সংসারের ক্ষেত্রেও একই কথা।
গ্রেট আর্টিস্টদের ম্যানিপুলেশনও আছে। আর আছে গ্রেটনেসে বিলং করার জন্য ব্যক্তির সেল্ফ ডেসট্রাকটিভ আকর্ষণ। যা কোল্যাটেরাল ড্যামেজ হিসেবে সামাজিক ও ব্যক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট কারও কারও জীবনভর দুর্ভোগের কারণ হয়। সেইটা আরেকটা পয়েন্ট, এই এখনকার যা বলতেছি তার মধ্যে না আনলেও চলত, কিন্তু প্লাস থাকলে অলওয়েজ মাইনাসও বাই-ডিফল্ট থাকে — সেইটাই জাস্ট লাইন-আপ করা।
ওকে।
রিচার্ড গিয়ারের আর কোন্ সিনেমা দেখতে পারি, বলেন? গুগল করতে ইচ্ছা করতেছে না। কেউ জানান প্লিজ। আমি উনার আর কিছু দেখছি কি না, ভুইলা গেছি। ইভেন ‘প্রিটি উম্যান’ যে দেখছিলাম সেইটারও প্রায় কিছুই মনে নাই — পরে আজকে দেখতে দেখতে মনে পড়ল।
- ভোটবুথ, ভূতভোট, বজরঙবলি ও বেবুন - November 26, 2024
- ক্বারী আমীর উদ্দিন সান্নিধ্যে সেদিন || তারেক আমিন - November 20, 2024
- পোয়েট ও তার পার্টনার - October 19, 2024
COMMENTS