আলটপকা পাঠপ্রতিক্রিয়া ও বুদ্ধিবৃত্তিক পঙ্কিলতা  || আহমদ মিনহাজ

আলটপকা পাঠপ্রতিক্রিয়া ও বুদ্ধিবৃত্তিক পঙ্কিলতা || আহমদ মিনহাজ

ভেবেছিলাম টু-দ্য-পয়েন্টে ঠাসা গানপারপ্রেরিত মেইলকথামালায় আরও দু-চার কথা যোগ করে জবাব লিখতে বসব। নতুন লেখা[উক্ত লেখাটা গানপারে প্রকাশের ব্যাপারে লেখকের সঙ্গে মেইলবিনিময়ের একপর্যায়ে এই পত্র কতিপয় পার্সোন্যাল রেফ্রেন্সেস ইরেইজ করে এই তাৎক্ষণিকাটা পাঠের জন্য উন্মুক্ত করা যাচ্ছে। মেনশন কর্তব্য যে প্রোক্ত নতুন লেখাটা আবর্তিত হয়েছে রিটেন টেক্সটভিত্তিক ইসলামের অ্যানালিসিস ও এই সংক্রান্ত চাল্লু টেন্ডেন্সিস নিয়া, যা গানপারে যন্ত্রস্থ। প্রসঙ্গত, তাৎক্ষণিকা বিভাগে এই লেখকের সঙ্গে মেইলালাপের অন্যান্য ভুক্তিগুলো কৌতূহলীরা চাইলে দেখতে পারেন : তাৎক্ষণিকাসমগ্রসঞ্চালক, গানপার] পরিমার্জনার চাপে সে-কাজটি আর হয়ে ওঠেনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আরও দুই-একদিন লাগবে। ইসলাম আসলে এত জটিল প্রসঙ্গ, এখন মনে হচ্ছে লিখতে না বসলেই ভালো ছিল। বলতে পারেন হাত কামড়ানোর অবস্থা হয়েছে প্রায়! পরিমার্জনার ক্ষণে লেখার নিজস্ব প্রয়োজনে অতীতে ও সম্প্রতি পঠিত টেক্সটের রেফারেন্স যথাসম্ভব যাচাই করে নিতে হচ্ছে বলে সময় লাগছে। তো কাজটি করতে গিয়ে শকড্ হয়েছি ইসলামের সমালোচনা বা তাকে বাতিল/প্রত্যাখ্যানের দায়িত্ব নিয়ে দেশ-বিদেশে যারা বুলি কপচান তাদের অবিমৃষ্যকারিতার বাহার দেখে। একসময় তাঁদের এইসব বচন-প্রবচনকে বেদবাক্য মনে করে কী ভুলটাই-না করেছি ভেবে নিজেকে আহাম্মক মনে হচ্ছে এখন। ইসলামে চরমপন্থী কাজকারবারের পেছনে এঁনাদের দায় অনেকখানি এবং সেটা এই লেখায় গমন না করলে বুঝে আসত না। খারাপ লাগছে ভেবে, ধর্মের মতো স্পর্শকাতর ও জটিল বিষয়ের আলোচনায় তারা বল্গাহারা খেয়ালে দিস্তার-পর-দিস্তা কাগজ ভরান এমনটি ভাবিনি! ঘটনার পূর্বাপর পটভূমি যাচাই না করে দুমদাম মন্তব্য ঠোকা, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য সম্পর্কে গভীরে না গিয়ে ভুয়া রেফারেন্স ব্যবহার, উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপনোর মতো অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিক যুক্তি বিরচন, বিজ্ঞান আর দর্শনের আলোকে ধর্মীয় মামলার বিচার করতে গিয়ে তালগোল পাকানো দলছুট বিশ্লেষণ, সর্বোপরি ইতিহাসবোধ ও কল্পনাপ্রতিভার দৈন্য আর শস্তা স্টাটবাজি…এই যদি হয় ইসলামবিচারের নমুনা, তাহলে তাদের সঙ্গে কাঠমোল্লার তফাৎ কোথায় সেটা এখন অবধি মাথায় ঢুকছে না! তো এই চক্করে পড়ে মেইলের উত্তর লিখতে দেরি হয়ে গেল।

ইন্টারনেট যে কত বড় আশীর্বাদ (অন্তত আমার জন্য) সেটা এই গদ্য লিখতে যেয়ে আরেকবার টের পেয়েছি। বিজ্ঞানের কল্যাণে প্রাপ্ত এই প্রযুক্তিটি সুলভ না হলে ইসলামের সমালোচকরা যে এতখানি নীরস, আকাঠ ও সৃজনী-প্রতিভাহীন সেটা ধরা মুশকিল হতো। কারণ পুরাতনী নিয়মে প্রিন্টেড বুক ও গ্রন্থাগার ঘেঁটে কতটাই-বা রেফারেন্স জানা যেত যা তাদের সীমাবদ্ধতাকে চোখে আঙুল দিয়ে ধরিয়ে দিতে পারে! আপনি একাধিক লেখায় বাঙালি রচয়িতা ও আলোচকদের পাঠপ্রবণতার দৈন্য ও চালাকিভরা প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে কামান দেগেছেন। ইতোপূর্বে একোসূত্রে [সূত্র ১ ।। সূত্র ২]  এসব নিয়ে যৎকিঞ্চিৎ কথাবার্তাও হয়েছিল মনে পড়ে। এখন মনে হচ্ছে কী মর্মান্তিক এই ঘটনা, টেক্সটের ভিতরে প্রবেশ না করে আমরা কেমন অবলীলায় আলোচনা ফেঁদে বসি! এমনকি যে-টেক্সট নিয়ে কথা বলছি সেটা সম্পর্কে বিশেষ বিচার-বিবেচনার তোয়াক্কা না করে মন্তব্য আর মতামত ঠুকতে থাকি! ইসলাম বিষয়ে লিখতে গিয়ে অভিজ্ঞতাটা হলো দেখে বিষাদ মনের ওপর চেপে বসেছে।

টেক্সটের আলোচনায় সবকিছু পাঠ যেতে হবে এটা বলছি না। পাঠের ক্ষেত্রে ব্যক্তিপছন্দ শেষ কথা বলেই জানি। কে কী পড়বেন বা পড়বেন না সে তার একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। প্রয়োজনীয় অনেক টেক্সট বিবিধ কার্যকারণে পাঠ যাওয়া সম্ভব হয় না। অনেক সময় দেখবেন পছন্দের অনেককিছু পড়তে আগ্রহ জাগে কিন্তু শেষতক পড়া আর হয়ে ওঠে না। তো এইসব নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি বিব্রত হওয়ার কারণ খুঁজে পাই না। পাঠকের স্বাধীনতাকে সম্মান করা উচিত, যেহেতু পাঠক হিসেবে আমি নিজেও আর পাঁচজন থেকে আলাদা নই। অনেককিছু পড়া হয়, অনেক আবার বাকি থেকে যায়, কিছু আবার পড়তে ইচ্ছে করে কিন্তু পড়া হয় না, অথবা পড়ব বলে সেই-যে রেখে দেই নানা দুর্ঘটে আর মনেও পড়ে না! তবে লিখতে বসে যখন কোনও টেক্সট বা রচয়িতা প্রসঙ্গবিচারে অমোঘ হয়ে পড়েন, তাকে না-জেনে লোকে কী করে দিব্যি লিখে যান সেটা সত্যি মাথায় ঢোকে না।

ব্যক্তিগতভাবে পাঠের সময় এ-রকম অনেক গুরুতর টেক্সট থাকে যেখানে হালকার ওপর চোখ বুলিয়ে যাওয়াকে আমি দোষের মনে করি না, তবে এটা সেই পাঠকের বেলায় দোষের নয় যিনি পেসোয়ার মতো ভাবেন :— সুপারফিশিয়্যাল বা ভাসা-ভাসা পড়ে যাওয়াটা কাজে দেয় যদি পাঠক রচয়িতার মূল বক্তব্যকে পিনপয়েন্ট করতে জানে এবং সেটাকে কেন্দ্র করে তার নিজস্ব কল্পনাপ্রতিভার বিস্ফোরণ ঘটাতে সে পারঙ্গম হয়। ঈর্ষণীয় এই ক্ষমতাটা পেসোয়ার ছিল বলে অন্য রচয়িতার টেক্সট সে এমনভাবে পাঠ করে গেছে যেন তাকে পড়ছে না! সে কিন্তু পড়ছে ঠিকই তবে তার মন আর পাঠের মধ্যে নেই, পাঠে ব্যক্ত কথামালার সূত্রে কল্পনাপ্রতিভা ও ভাবুকতার সেই তরঙ্গে সে ডুব দিয়েছে যেটি অন্যভাবে তার নিজেকে উন্মোচিত করার খেলায় তাকে মাতিয়ে তুলেছে। এ-রকম পাঠক যদি কোনও বিষয়ে লিখে সেটা আলাদা মাত্রা তৈরি করে ও মূল্যবান হয়ে ওঠে। যেমন ধরুন, বুদ্ধদেব বসুর ‘বোদলেয়ার অনুবাদ’ নিয়ে অনেকেই বাঁকা মন্তব্য করেন। তাঁর তরজমার সঙ্গে মূল কবিতার মিল খুঁজে পান না বলে অনুবাদটিকে খারিজও করে থাকেন আজকাল। পাঠকের এই অভিযোগ মিথ্যা এমন নয়। ফরাশি-জানা অনুবাদকের হাতে বোদলেয়ারের ভিন্ন তরজমা আমরা বাংলায় পেয়েছি, ফলে বুদ্ধদেবের তরজমার দোষ চোখে লাগাটাই স্বাভাবিক। আমার কিন্তু বসুকে ভালো লাগে, কারণ, বোদলেয়ার অনুবাদ করতে গিয়ে তিনি আর সেখানে থাকেননি, তাঁকে অতিক্রম করে নিজের গহীনে ঢুকেছেন; সুতরাং বোদলেয়ারকে উপলক্ষ করে আদতে নিজের কল্পনাপ্রতিভার একটা বিস্ফার সেখানে ঘটেছে। এটা এক অর্থে বসু কর্তৃক বোদলেয়ারের সুপারফিশিয়্যাল রিডিং, যেটি তাঁর নিজের কল্পনাপ্রতিভার গুণে দারুণ উতরে গেছে। তো এ-রকম পাঠক যখন কোনও টেক্সটকে নতুন ভাষা দেন, আমি সেটা মূল টেক্সটকে ভুলে যেয়ে পড়তে রাজি। কিন্তু সেটা যদি না-ঘটে তবে এহেন পাঠ শুধু বিরক্তিকরই নয়, মূলের অপমান।

প্রচণ্ড কল্পনাপ্রতিভা ছাড়া ভাসা-ভাসা পাঠের ওপর ভর করে টেক্সটের নতুন রূপান্তর ঘটানো বিপজ্জনক। পেসোয়াকে নির্ঘাৎ মানায়, কিন্তু সে-রকম কল্পনা ও ভাবুকতায় দড় নয় এমন ব্যক্তির জন্য সুপারফিশিয়্যাল রিডিং বোকামির নামান্তর। রবীন্দ্রনাথের এই ক্ষমতাটা ছিল মনে হয়। একটা টেক্সটকে পাঠের সময় তিনি অনেকক্ষেত্রে ভাসা-ভাসা পড়ে যাওয়ার সুযোগটা নিতেন কিন্তু যখন মন্তব্য করতেন বোঝার উপায় থাকত না যে তিনি এভাবে পাঠ গেছেন। যেহেতু, টেক্সটকে ঠিক কোন জায়গা থেকে পিনপয়েন্ট করে নিতে পারলে রচয়িতাকে ধরে ফেলা যায় সেটা বোঝার ক্ষমতা তাঁর ছিল। যেমন ধরুন, জীবনানন্দের কবিতাকে তিনি ‘চিত্ররূপময়’ বলেছেন, এখন জীবনবাবুর কবিতার শতেক আকারের ব্যাখ্যা আমরা নিজের কল্পনাপ্রতিভা দিয়ে নিষ্কাশিত করে নিয়েছি, কিন্তু রবি যে-সময়ে বসে মন্তব্যটি করেছিলেন সেটি কিন্তু তামাদি হয়ে যায়নি। রবির সীমাবদ্ধতা বলতে তিনি সেই রূপময়তার পেছনে একজন ব্যক্তির মনস্তাত্ত্বিক সংকট বা তাঁর আক্রোশপ্রবণ নিঃসঙ্গতা ও নির্বেদকে ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি, পারতেন যদি জীবনবাবুর অন্যান্য টেক্সট পড়ার সুযোগ ও সময় তাঁর থাকত। তথাপি তাঁর এই সুপারফিশিয়্যাল রিডিং একবারে বৃথা যায়নি। জীবনবাবু ‘চিত্ররূপময়তা’ দিয়েই নিজের নিঃসঙ্গতা ও নির্বেদকে ভাষা দিতেন তাতে সন্দেহের কারণ দেখি না।

সমস্যা হলো সাহিত্য বা এ-রকম বহু বিষয় এমনকি দর্শনের পাঠ এভাবে সম্ভব হলেও ধর্ম বা বিজ্ঞানের মতো টেক্সটের ভাসা-ভাসা পাঠ ঝুঁকিপূর্ণ। তার ওপর এসব নিয়ে যদি লিখতে বসেন যেখানে আপনি হয়তো কোনও রেফারেন্স ব্যবহার করছেন অন্য রেফারেন্সকে কাটার জন্য, যেখানে আপনি মত অথবা সিদ্ধান্ত ঠুকে দিচ্ছেন … কী বলব, এসব ক্ষেত্রে সুপারফিশিয়্যাল পাঠের সুযোগটা অল্প, বরং গাধার খাটনি সেখানে ফরজ হয়ে ওঠে। পাঠের সময় না-হলেও লেখার সময় অন্ততপক্ষে কল্পনা, ভাবুকতা, বিচার-বিবেচনা এবং যাচাই-বাছাই তো লাগবেই, নিজের বলা কথা বা ব্যবহৃত তথ্যের উৎস বিষয়ে নিশ্চিত হওয়াটাও জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ এখানে আপনি পেসোয়ার জায়গায় মোটেও দাঁড়িয়ে নেই। তাঁর মতো অনুভবের রথে সওয়ার হয়ে খালি নিজের কথা অবিরত বলে যাচ্ছেন না, বরং বিচারিক তদন্তের মধ্য দিয়ে নিজের বক্তব্য ও মতামত এমনকি রায় বা সিদ্ধান্ত আপনাকে সেখানে জানিয়ে দিতে হচ্ছে। ফলে আমাদের চারপাশে বিদ্যমান গুণীজনরা ইসলামের পক্ষে-বিপক্ষে যেসব বাতচিত করেন সেখানে তাদের সৃজনশীলতার দৈন্য ও রেফারেন্সের যথেচ্ছ ব্যবহারের নমুনা আমার জন্য পীড়াদায়ক অভিজ্ঞতা হয়ে রইল বলতে পারেন! সত্যি বলতে কি অবস্থা এতদূর খারাপ সেটা নিজেও ভাবিনি।

কথাগুলো কেন বলছি সেটা লেখা হাতে পাওয়ার পর আশা করি আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন। সত্যি কথাটি এইবেলা কবুল করি, লিখতে গিয়ে নিজে কোথায় কী হঠকারিতা করে ফেলেছি সে-কথা ভেবে এখন ভয় হচ্ছে। আমার এই যৎসামান্য ইসলামচর্চায় নিজের জানাবোঝার দৈন্য তাই ভালোই টের পেয়েছি। এখনও বলার সময় হয়নি যদিও তবু আপনাকে জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, আরববিশ্বে বসে যেসব বিদ্বান কোরান-হাদিস ঘেঁটে এর সপক্ষে বক্তব্য সাজিয়েছেন, তাদের টেক্সট বরং তথাকথিত ইসলাম-সমালোচকদের তুলনায় আলোচনার গভীরতা আর যুক্তি নির্মাণের কুশলতায় সমৃদ্ধ মনে হয়েছে। তাঁরা বিশ্বাসের সপক্ষে লিখেছেন কিন্তু সেখানে তাঁদেরকে সৎ মনে হয়েছে; সে তাঁদের বক্তব্য স্বীকার যাওয়া বা না-যাওয়া ভিন্ন প্রসঙ্গ। অথচ বিশ্বাসকে বাতিল করতে গিয়ে যারা লিখলেন তাদের রেফারেন্স ব্যবহার থেকে শুরু করে আলোচনার ধারা কোনোকিছুর মধ্যে খনিশ্রমিকের খাটুনির পরিচয়টি পেলাম না! ইসলাম নিয়ে ঘাঁটতে গিয়ে অনেকের দেখা মিলেছে যারা আসলে পরের মুখের ঝাল খেয়ে দিস্তার-পর-দিস্তা লিখেছেন, অথচ কষ্ট স্বীকার করে হাতের নাগালে থাকা টেক্সট খুলেও দেখেননি। কোরান নিয়ে কথা বলছেন কোরান না পড়েই। হাদিস আওড়াচ্ছেন সহি/জাল বিবেচনা না করে। বিদেশি বইপত্তর থেকে উদ্ধৃতি টুকলি করেছেন সেটার সত্যতা বা তাৎপর্য সম্পর্কে খবর না করে। ধর্মের মতো বিতর্কিত বিষয়ে লিখতে গেলে এহেন প্রবণতা খাপ খায় বলে মনে হয় না।

ভাবুকতার জায়গা থেকে ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার-বিচার বা যেসব টেক্সট এ-সংক্রান্ত যুক্তি তুলে ধরে তাদেরকে বাতিল করা এক কথা আর রেফারেন্স ধরে তার বিচার ও তাকে প্রশ্নবিদ্ধ বা খারিজ করা সম্পূর্ণ পৃথক ঘটনা। ভাবুকতা ব্যক্তির দার্শনিক ভাবনার ফসল এবং সেখানে সে সম্পূর্ণ স্বাধীন, যেমন পেসোয়া স্বাধীন ছিলেন নিজের এই জায়গায় বিহার করার জন্য। অন্যটি বিচারপ্রবণ; জ্ঞানের উৎস যাচাইপূর্বক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হচ্ছে বলে সেখানে তার খাটনি ও সতর্কতা দুটোই থাকা প্রয়োজন। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, আমার এই সীমিত ইসলাম বিষয়ক অনুসন্ধানে এর অভাব পীড়াদায়ক মনে হয়েছে। রচনাটি আমাকে শিখিয়েছে যে-কোনও বিষয়ে বাতচিতে সেই বিষয়ের ধরতাই আগে বোঝা প্রয়োজন, তারপর যেমন ইচ্ছা কল্পনাপ্রতিভার ব্যবহার চলতে পারে।


লেখকের সঙ্গে মেইলবিনিময়ের একপর্যায়ে এই পত্র কতিপয় পার্সোন্যাল রেফ্রেন্সেস ইরেইজ করে এই তাৎক্ষণিকাটা পাঠের জন্য উন্মুক্ত করা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, তাৎক্ষণিকা বিভাগে এই লেখকের সঙ্গে মেইলালাপের অন্যান্য ভুক্তিগুলো কৌতূহলীরা চাইলে দেখতে পারেন : তাৎক্ষণিকাসমগ্র — সঞ্চালক, গানপার

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you