সাহিত্যিক জাকির তালুকদার বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাইছিলেন ২০১৪ সালে। ২০২৪ সালে এই পুরস্কার অর্থমূল্য সহ ফেরত দিলেন। দশ বছর তিনি এই ‘বোঝা’ বহন করছিলেন। সেই বাবদে তাঁরে সমবেদনা। দশ বছর পর তিনি যে ‘ভারমুক্ত’ হইলেন, সেই বাবদে তাঁরে অভিবাদন।
টাকার যে মর্মান্তিক অবমূল্যায়ন ঘটছে, তা জাকির তালুকদারের বাংলা একাডেমির পুরস্কার ফেরত দেয়ার ঘটনায় আরো ভালভাবে বোঝা যায়। বাংলা একাডেমির উচিত পুরস্কারের মূল্যমান বাড়ায়ে সাত লাখ টাকা করে ফেলা। তাতে সম্ভাব্য ফেরতদাতারা কিছুটা হইলেও নিরুৎসাহিত হইবেন।
আর বাংলা একাডেমির ধনাঢ্য ‘অনাবাসী’ সাহিত্যিক বাছাইয়ের বর্তমান পদ্ধতিটিও ভালো, কারণ ভূমিপুত্ররা বেশি ক্যাঁচাল করে। কথায় কথায় গণতন্ত্র , জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা — এসব ছুঁড়ে মেরে মেরে ফেসবুক গরম করে ফেলে।
পাশাপাশি, বাংলা একাডেমি পুরস্কারের সাথে একটা ব্যাংকিং ব্যবস্থাও চালু করতে পারে। যেমন, পুরস্কার ফেরত দিতে চাইলে সার্ভিসচার্জ সহ দিতে হবে। সার্ভিসচার্জের মূল্য পুরস্কারের অর্থমূল্যের অর্ধেক অথবা দুই লক্ষ টাকা — এই দুয়ের মধ্যে যেটি বেশি সেটি। পাশাপাশি, ফেরত দেয়ার সময় ফেরতদাতাকে ইনফ্ল্যাশন অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে হবে। ইনফ্ল্যাশন রেট নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সিপিডির মধ্যে যার রেট বেশি তারটা গ্রহণ করতে হবে।
- গোদিমিডিয়া ভার্সাস ধ্রুব রাঠি || আহমদ মিনহাজ - July 17, 2024
- চিত্রনাট্যনক্ষত্র || সজীব তানভীর - July 15, 2024
- ব্রা… - July 13, 2024
COMMENTS