শহীদ কাদরীর দেশে || বিজয় আহমেদ

শহীদ কাদরীর দেশে || বিজয় আহমেদ

শেয়ার করুন:

 

এম্রিকা আমার কাছে শহীদ কাদরীর দেশ। এখানে শহীদ কাদরী থাকতেন, এই দেশে, কখনো-বা বোস্টন কখনো-বা নিউইয়র্কে। নিউইয়র্কে আমার প্রথম যাওয়ার সুযোগ হয় ২০১৯ সালে। ততদিনে কাদরী জীবিত নেই আর। বাংলাদেশের আর বাংলাভাষার তুমুল এই কবি দেহত্যাগ করেন তারও বছর তিন আগে। ২০১৬ সালে। এমন না যে, কাদরী জীবিত থাকলেই আমার সুযোগ হতো তার সাথে দেখা করার। তা না।

শামসুর রাহমানের চেয়ে বয়সে ছোটই ছিলেন ভদ্রলোক। তুমুল আড্ডারু ছিলেন। পুরান ঢাকার বিউটি বোর্ডিং কি নিউমার্কেটে কোনো রেস্তোরাঁয় সেই সময়ে তার উপস্থিতি ছিল তুরীয় মাত্রায়। দেশ যখন ছাড়েন প্রথমে যান ইউরোপে তার পরে সেখান থেকে এম্রিকায়।

মনে পড়ে, কাদরীর কবিতা গেয়েছিলেন কবীর সুমন। ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা… ভয় নেই…

আহা, কবীর সুমনের সেই ভরাট কণ্ঠ! বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি শহীদ কাদরীর কবিতা গাইছেন।

আমি যখন ইন্টার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, আজিজ মার্কেটে তপনদার কাছ থেকে কখনো কখনো শহীদ কাদরীর কথা শুনতাম। মানে শারীরিক অবস্থা। মানে কাদরীর প্রেম, নারী।

এখন, ঘটনাচক্রে, এই দেশে আমার বসতি। নিউইয়র্কের কথা মনে এলেই আমার কাছে কাদরী আর তানিম জাবের ভেসে ওঠে। কী চাকরি করতেন কাদরী এখানে, কোথায় আড্ডা দিতেন, কারা ছিল তার বন্ধু। তানিম জাবেরকে আমি তাই ফোনে বলি, শহীদ কাদরী কোথায় আড্ডা দিত জানেন, তানিম?

আমি চমকিত হই যখন জানি, কাদরী বোস্টনে থাকতেন প্রথমে। আর সাথে সাথে প্রবল ঠাণ্ডার বোস্টনে বাংলাভাষার একজন প্রখ্যাত কবি, স্নোফলের ভিতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন কোথাও, লম্বা ওভারকোট পরে, এমনটা ভেসে ওঠে আমার চোখে।

কী যে মায়া লাগে শহীদ কাদরীর কথা ভেবে… বাংলাদেশের একজন সফল কবি, বোস্টনে কাজ করছেন কোথাও বা নিউইয়র্কে। বা কারো সাথে আড্ডা দিচ্ছেন। বাংলাদেশে না। এম্রিকায়।


বিজয় আহমেদ রচনারাশি
গানপারে কাদরী

বিজয় আহমেদ
শেয়ার করুন:

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you