ম্যাডোনার গান আমরা যত-না শুনেছি, নিশ্চয় কবুল করব যে, দেখেছি তারচেয়ে বেশি। কিংবা ম্যাডোনার গান আমরা আদৌ শুনিই নাই, মন দিয়া শোনা তো অনেক-বাদ-কা-বাৎ, গিয়াছি নিছক কৈশোরপাখনায় তিড়িংবিড়িং দেখিয়া। ম্যাডোনার গান দেখেছি, মিউজিক ভিডিয়ো অথবা নানাবিধ ভিনদেশী বিনোদনচ্যানেল মারফতে, এই দাবিটাও পুরোপুরি ঠিক না। আজকাল আমরা ‘দেখা’ ব্যাপারটাকে সেকেলে কনোটেশনের বাইরে থেকে দেখতে শিখেছি। জীবনানন্দের কবিতার ব্যাপারে সেই-যে রবীন্দ্রনাথ একটি চির্কুটক্রিটিক করেছিলেন, বলেছিলেন ‘চিত্ররূপময়’, বলেছিলেন “তাকিয়ে দেখার আনন্দ আছে” ইত্যাদি, এখনকার গানে এবং বিশেষভাবেই গত কয়েক দশকের দুনিয়াজোড়া গানে-বাজনায় এই ‘দেখা’ ব্যাপারটার জয়জয়কার। দার্শনিক ও দৈহিক উভয় অর্থেই দেখা। কাজেই রিবিউক করা বা রিডিকিউল করার অবকাশ নাই আগের কালের ন্যায় এহেন রদ্দি কথা কয়ে যে, “কী ছিরির দিনকাল এয়েচে দ্যাখো হে, গানবাজনা আজিকালি হৃদয়ের নয় শরীরের ব্যাপার হয়ে গেছে, এখনকার গানে তেমন শোনার কারবার নাই, আছে দেদার দেখার” … ইত্যাদি। না, আজ আর এইসব ছেঁদো কথায় চিঁড়ে ভেজাবার নয়। এখন চক্ষু দিয়াই দেখতে হয় আপনারে-আমারে, সেইটা আপনি হৃদয়ের দেখা বলেন বা মননের দেখা বা সৃজনের দেখা যা-ই বলেন ভাই চামড়ার দুই চক্ষু দিয়াই দেখা চাই। মিউজিক শুনতে চান তো চক্ষু দিয়াই শুনতে হবে। এখন চক্ষুর ক্ষ্যামতা বাড়াতে হবে আপনাকে এবং থ্রু চক্ষু কর্ণকুহরে এন্টার করার কলা জানতে হবে।
ট্যাগোরের কথাটা, ‘তাকিয়ে দেখার আনন্দ’ ইত্যাদি, ম্যাডোনার ব্যাপারে একদম অক্ষরে-অক্ষরে ফলানো যাবে না। বাঙালির ক্ষেত্রে তো মুশকিল আরও অধিকতর। আমরা ‘নারী শিল্পী’ হিশেবে যে-একটা লালিত্যভরা আবেদনের লতানো মুরতি ও দেহাবয়বের দেখা পাইয়া আসছি, ম্যাডোনা সেসব থেকে একশআশি ডিগ্রি উল্টানো। ‘পুরুষালি’ বলতে যে-একটা ব্যাপার আমাদেরে আবাল্য দেখানো এবং শেখানো হয়েছে, ‘মেয়েলি’ বলতে তেমনি কিছু অঙ্গভঙ্গি, ম্যাডোনার মধ্যে সেসবের প্রেজেন্স অত সহজে সনাক্ত করা যাবে না। ম্যাস্কুলিনিটি তার পার্ফোর্ম্যান্সে দেখতে পাই বিরাজ করতে, সেই জিনিশ এমনই যে এমনকি তীব্র পুরুষটিও উশখুশ করবেন এর তজল্লায়; মেইল-ইগোটাকে, পুং-অহং জিনিশটাকে, চাবকিয়ে ম্যাডোনা তার মঞ্চহাজিরায় বিকট সমস্ত কায়কারবার করে বেড়ান, উৎকট সব কাণ্ড করে বেড়ান, আমরা সেগুলো প্যপসম্রাজ্ঞীর খামখেয়াল ভাবলেও মনে হয় একেবারেই খামখেয়াল তা নয়। পেলবতা নাই, সিল্কি মসৃণতা অ্যাভোয়েড করেন, বেতস লতার বাতাসিয়ানা নাই, নিজেরে নারীসুলভ নমনীয়তায় মেদুর মৃদু রমণীয় করে রাখেন না, আমাদের এই পুংপৃথিবীতে এমন দ্বিতীয় কোনো মঞ্চনারী দেখানো যাবে? এত সহজে নয়। কিশোর বয়সে ম্যাডোনা আপনাকে একভাবে এন্টার্টেইন করেছেন হয়তো, বয়স বাড়তির দিকে গেলে লক্ষ করে থাকবেন মঞ্চে ম্যাডোনার উদ্ভটতার পিছনে খেয়ালি বিদঘুটেপনা ছাড়াও রয়েছে অন্যকিছু।
মোদ্দা কথা, আনন্দফানন্দ বলতে যে-নায়্যিভিটি ভাবতে এবং বুঝাইতে অভ্যস্ত আমরা, ম্যাডোনা চালু অর্থে তেমনটা আনন্দব্যবসায়ী নন। অনেক পরের শাকিরা দেখার আনন্দ যদি ম্যাডোনায় আশা করেন তবে তো মহাবোকামো। খুব বেশিক্ষণ তাকিয়ে দেখতেও সম্ভবত অপারগ হবেন আপনি, অবশ্য যদি-না ডাইহার্ড ম্যাডোনাফ্যান হয়ে থাকেন। তবে এই কথাগুলো দিয়া ম্যাডোনার সমস্ত সংগীতক্যারিয়ারের বিবেচনা সাঙ্গ করে দেবেন আপনি, যদি ভেবে থাকেন এমনটা, নিশ্চিত গণ্ডগোল পাকাবেন। কোমল কণ্ঠের, রিনরিনে নরম রেন্ডিশনের গানগাওয়া ম্যাডোনা আরেক ঘটনা। তাছাড়া তার ট্যাবুভাঙা গানরাইটিং নিয়াও বলা দরকার ছিল। যদিও বর্তমান পরিসরে সেই সুযোগ নেয়া যাচ্ছে না। বাদে একদিন অন্য কোনো মওকায় ম্যাডোনার গানের গীতিভাগ নিয়া আলাপ তোলা যাবে।
এর বাইরে ম্যাডোনা সম্পর্কে আপনার যা-কিছু জানতে মন চাইবে, একক্লিক দূরেই বিরাজিছে তা। খালি উইকিপৃষ্ঠাতেই ম্যাডোনার গোষ্ঠীবংশলতিকা নিয়া ব্যাপক ফিরিস্তি মজুদ রয়েছে, অফিসিয়্যাল পেইজ তো রইলই, বিস্তর স্কলার্লি নিবন্ধপ্রবন্ধাদির শুমারি ইহজন্মে একব্যক্তির পক্ষে দুঃসাধ্যপ্রায়। যারা জ্ঞান চান, গ্যুগল্ করেন। গ্যুগলজ্ঞানীরা স্মাগল্ করতে পারবেন নিশ্চিন্ত মনে, নির্বিঘ্নে, হেথা ম্যাডোনার পিআর কোনো বাগড়া দিতে পারবে না। তা, আপনি বুদ্ধিমান হলে এই নিবন্ধকারের ন্যায় নিশ্চয় স্বীয় মনগড়া ধ্যানধারণা দিয়া ঠাট্টাতামাশার টার্গেট বানাইবেন না নিজেরে।
ম্যাডোনার পাঁচটা গানের বাংলা রইল নিচে। এগুলো মোটেও মঞ্চতুখোড় ম্যাডোনার চেহারা হাজির করে নাই। নিছক গীতিকার ম্যাডোনার দিকে খেয়াল করি না আমরা, আদৌ করি নাই এখানেও, কাল হোক বা পরশু করতে পারলে বেজায় বিস্ময়ের জিনিশ হতো। সত্যি কিন্তু! স্যংরাইটার ম্যাডোনা আলাদাভাবে অ্যাক্লেইম পাবার যোগ্য। তবে এখানে পত্রস্থ বাংলা চেষ্টাগুলো দুর্বল হলেও ভবিষ্যতে একটা আরও স্বচ্ছ কোশেশ চালানো সম্ভব হতেও পারে।
_______________________________________________
গগনজোড়া গানের ডানা
ম্যাডোনার ৫টা গানের বাংলা
রে অফ লাইট ।। লাইক অ্যা প্রেয়ার ।। স্প্যানিশ্ লালাবাই ।। পাপা ডোন্’ট্ প্রিচ ।। ফ্রোজেন
তর্জমা ও ভূমিকা : জাহেদ আহমদ
_____________________________________________
রে অফ লাইট
ডেকে ডেকে বলি নিশিরাত ওগো বাঁকা চাঁদ শোনো শোনো
মনোবেদনার কান্না আমার ভোলাও সূর্যোদয়ে
একপৃথিবী আটগ্রহ নিয়া সূর্য দর্পধন্য
জড়সড় করে রেখেছে আমারে দিনের ঝঞ্ঝাভয়ে
কেবল আমার একটামাত্র সুখ
একটুকুনি গৃহেই আমার সমস্ত ত্রিলোক
উড়ে উড়ে সে যে ঘুরিয়া বেড়ায় তীব্র আলোর বেগে
হেন পরিক্রম শুরু হয়েছিল কবে থেকে কে জানে
একটুকরো স্বর্গ লভেছে যেনবা সে এইখানে
একদিন যাবে ন’-খানা ভুবন বিন্দুতে জোড়া লেগে
উড়িয়া সে তাই ঘুরিয়া বেড়ায় তীব্র আলোকবেগে
উড়িয়া সে তাই ঘুরিয়া বেড়ায় তীব্র আলোকবেগে
আমারও তখন সহসাই মনে হয়
এক-লহমায় জাগে হেন বোধোদয়
ফের দুম করে যাই ভুলে
কেউ-না-কেউ তো রয়েছেই শেষপ্রান্তে
শেষহীন এই সময়েরও অজান্তে
নেবেই সে নেবে বেদনাপতাকা তুলে
পেয়েছে সে যেন ব্রহ্মাণ্ডের বৈভব
নাই নাই তার ‘আরও চাই’ কলরব
আমার কেবল একটামাত্র সুখ
একটুকুনি গৃহেই আমার সমস্ত ত্রিলোক
উড়িয়া সে তাই ঘুরিয়া বেড়ায় তীব্র আলোকবেগে
উড়িয়া আমিও ঘুরিয়া বেড়াই তীব্র আলোকবেগে
লাইক অ্যা প্রেয়ার
জিন্দেগি যেন কুহকিনী এক চিজ
প্রত্যেকে যেন প্রত্যেকের তরে একা
আৎখা আমারে ডেকেছ তোমার দিকে
একাকী জীবনে পেয়েছি দোকার দেখা
ডাক দিলে তুমি আমার নামটি ধরে
যেন মনে হয় প্রার্থনাশ্লোক ঝরে
হাঁটু গেড়ে আমি বসে পড়ি ভূমি ’পরে
এবং তোমারে নিতে চাই দেহ ভরে
ঘনযামিনীর ঘোরলাগা ঘণ্টিকায়
চাতক আমার শরীর তোমারে চায়
যেন মনে হয় তুমি এক-লহমায়
ব্যাকুলা আমারে নিতে চাও প্রার্থনায়
আওয়াজ শুনেই বোঝার থাকে না বাকি
নিঃশ্বাসে দেবদূতেরই রতির ঝাঁকি
কি করি কি করি শ্যাম নাকি কুল রাখি
জিসম্ জুড়িয়া ঢাকে তড়পাতে থাকি
নিধুয়া আকাশে ভেসে ভেসে যেন ডুবি
ঝিরিঝিরি হৃদি বিপুলা আঁধির ছবি
শিখরের সুখ অতলের দরিশন
চোখ বুঁজে ফের দেখি শীর্ষের স্পন্দন
জিন্দেগি যেন কুহকিনী এক চিজ
প্রত্যেকে যেন প্রত্যেকের তরে একা
আৎখা আমারে ডেকেছ তোমার দিকে
একাকী জীবনে পেয়েছি দোকার দেখা
যেন মনে হয় তুমি এক-লহমায়
ব্যাকুলা আমারে নিতে চাও প্রার্থনায়
যেন মনে হয় দেহদর্দের মজ্জায়
তাপিত শরীর খোয়াবে তোমারই শিশিরস্পর্শ চায়
যেন মনে হয় নিয়ে চলো সখা আমারে
অশ্রুনদীর সুদূরে নম্র নোনাস্বাদ পারাবারে
স্প্যানিশ্ লালাবাই
গতরাতে আমি খোয়াবে দেখেছি নিরালা গানের দেশ
যেইখানে যেন কখনোই আমি যাই নাই তবু চেনা
আর সেই দেশে ভেসে ফেরে এক তন্বী সুরের রেশ
মেয়েটির সনে যেনবা আমার আজন্ম লেনাদেনা
আহা সেই দেশ দ্বীপভূমি এক গ্রীষ্মমণ্ডলীয়
প্রকৃতি সেখানে পরমার মতো মুক্ত ও সক্রিয়
খোয়াবে পেয়েছি দ্বীপদেশটিরে যেন জনমের প্রিয়
জন্মান্তরে সেই দ্বীপটাই চিরপরমাত্মীয়
সেখানে যখন ভরদুপুরের সূর্য ছড়ায় কিরণ
ঘর্মাক্ত লোকের নৃত্য উদ্বাহু চরাচর
মরমে তখন পশে যেন কোনো অবারিত বরিষন
ঘুমপাড়ানিয়া আশ্চর্য সুরের ঝরোখা-ঝালর
হয়েছি দিওয়ানা আমি বিলকুল সেই দ্বীপদেশপ্রেমে
যেখানে সাগর বয়ে আনে হাওয়া আতপ্ত রোদে ঘেমে
ডেকে বলে যায় হাওয়ারা আমায় ‘ভালোবাসি … ভালোবাসি …’
দিনগুলো মোর যেন কর্পূর উবে যায় রাশি রাশি
ফিরে যায় দিন ফিরে যায় রাত রভসের হাসাহাসি
ফিরে যেতে যেতে সুরে বলে শুধু ‘ভালোবাসি … ভালোবাসি …’
চিরদিন আমি আকাশ-খচিত সূর্যতারার সঙ্গী
নিদাঘ দুপুরে ঘেমো ঘুমে দেখি দিনাবসানের ভঙ্গি
দেখে যাই চুপে কুঁড়েদের ভিড়ে প্রসন্ন মুখরেখা
পারস্পরিক প্রণয়ের দেশে একজনও নাই একা
গতরাতে আমি খোয়াবে দেখেছি নিরালা গানের দেশ
দূরে নয় তবু মনে হয় যেন ধূসর স্মৃতির রেশ
ফিরে যায় দিন ফিরে যায় রাত রভসের হাসাহাসি
ফিরে যেতে যেতে সুরে বলে শুধু ‘ভালোবাসি … ভালোবাসি …’
দিনগুলো মোর যেন কর্পূর উবে যায় রাশি রাশি
উবে যেতে যেতে বলে ঘুরে ঘুরে ‘ভালোবাসি … ভালোবাসি …’
পাপা ডোন্’ট্ প্রিচ
কথাগুলো শুনে আঁৎকে উঠবে জানি
চিরদিন চাও ভোলাভালা যাই থেকে
এতদিনে কেন বুঝতে পারোনি আব্বু
হয়েছি ডাঙর খুকিটি তো নই আর
বুরা থেকে ভালো খুঁজে নিতে হয় কীভাবে
একদিন আমি শিখেছি তোমারই কাছে
এখনও বয়সে নবীন এবং আনাড়ি
কিন্তু আমি যা বলছি তা নয় মিথ্যে
চেনায়েছ তুমি জীবনের খানাখন্দ
করেছ আমারে পদে পদে সাবধান
যখন দুচোখে দেখছি সর্ষেফুল
সতর্কতায় ভাঙবে কি এই ভুল?
পড়েছি বিপদে বেদম গর্তে উবে গেছে ঘুমনিদ্রা
আমারে এখন বুঝায়ে কি হবে ভুল আমি করবই
রাখবই তারে পেটে যে এসেছে এটুকু করেছি পণ
কুমারী মায়েরে দুয়ো দেবে লোকে তাবুও অনড় রই
বিবাহ করবে কথা দিয়েছে সে শিগগিরই যথাসাধ্য
দুইজনে মিলে একটা ছোট্ট সংসার গড়ে তুলব
সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে দ্যাখো সময়ের কিনারায়
জীবনে অনেক ছাড় দিতে হয় নিয়মনীতির বাইরে
বন্ধুরা দ্যাখো বুদ্ধি দিতেছে ছেড়ে দিতে এই হ্যাপা
আমার বয়স অল্প বলিয়া শাদি করা আরও বিপদের
বলে যায় তারা যেন করি আমি বিবাহ বহোৎ ভাবিয়া
আব্বা তুমি তো দেখিবারে পাও অন্তরাত্মা আমার
আমি তার কত কামনার তুমি কি দেখিয়াও দেখছ না?
ভালোবাসা আছে এইখানে তাই দোয়া দাও দুইহাতে
প্রেমে আর কামে যেন দোঁহে থাকি চিরদিন আশ্লেষে
এখন তোমার উপদেশবাণী বিপদে দেবে না উদ্ধার
নয়নের নিঁদ টুঁটিয়া গিয়াছে এখন ঘুমেরই দরকার
সাফ কথা আমি জানাইয়া রাখি বাচ্চাটা ফেলছি না
মারোধরো আর যা-ই করো আমি বাচ্চাটা ফেলছি না
আমারে মন্দ মেয়ে ভেবো তবু বাচ্চাটা ফেলছি না
ফ্রোজেন
দেখছ বলতে সেটুকুই শুধু তোমার দু-চোখ তোমায় দেখায়
কীভাবে তাইলে দেখবে জীবন কোনদিকে যেতে চায়
আসলে তো তুমি হিমের মতো করুণ কঠিন প্রাণ
হৃদয় তোমার জবড়জং আর আত্মাটা সুনসান
ধনমান নিয়া আছো তুমি খুব মত্ত
হুদাই নিজেরে ব্যয়িত করছ অপচয়ে সন্তপ্ত
তুমি তো প্রকৃত বহুকাল আগে ভেঙে-যাওয়া খানখান
হৃদয় তোমার জবড়জং আর আত্মাটা সুনসান
মন গলাইবার টোটকাটা আহা পারতাম যদি শিখতে
দেখতে তখন রহিতাম দোঁহে মম চিত্তে নিতি নৃত্যে
এসো তবে প্রিয় সমর্পণে বেঁধে রাখো এই দাবি
তোমার হাতেই রয়েছে আমার হৃদয়লোকের চাবি
কিসের ফায়দা বলো দেখি এই নিদারুণ দোষারোপে
এভাবে এতটা যাতনায় দ্যাখো পুড়ছি দুজনে চুপে
জেনে রাখো যদি হারাই তোমারে আমি
হৃদয় ভোগাবে ধিকি ধিকি দিবাযামী
প্রেম হয় সেই পাখিটার নাম উড়ালেই যার উদ্ধার
এসো অতএব ক্ষতে দেই মধু সন্দেহ করি সংহার
আসলে তো তুমি হিমের মতো করুণ কঠিন প্রাণ
হৃদয় তোমার জবড়জং আর আত্মাটা সুনসান
… …
- বাগেশ্বরী শিল্পপঙক্তিমালা - February 4, 2025
- শীতসকালের স্মারক বক্তৃতা : ব্যান্ডেজ ও বৈদ্য - January 31, 2025
- মাধবী, বিপ্লব ও অন্যান্য মদন প্রসঙ্গ - January 24, 2025
COMMENTS