ট্যাগগুলো: অটোবায়োগ্রাফি
জয়ধরখালী ২০ || শেখ লুৎফর
আশপাশের কয়েক গ্রামে কলেরা লেগেছে; জয়ধরখালীতেও কেউ কেউ কলেরায় পড়েছে। তাই সন্ধ্যা হতেই পাড়ার চ্যাংড়ারা খড়কুটার আগুন জ্বালিয়ে জোর গলায় চিৎকার দেয়, —
আ...
ইচ্ছেশ্রাবণ ৩ || বিধান সাহা
অকারণ বসে আছি। ভররাত জেগে থেকে একটু আগেই ঘুমাতে গেল একজন। দূরে কোথাও শব্দ হচ্ছে। একজন গতকাল বিগত স্মৃতিকে উসকে দিয়েছিল। সেই থেকে মনখারাপের মেঘে মেঘে...
বনজুঁই ঘুমিও না ৫ || নিবেদিতা আইচ
উনিশশো অনন্তের কোনো-এক দুপুর। উত্তল ছায়ামেঘের মাঝে বসে ঝিল্লিময় সেই দুপুরটা আচমকা কথা বলে ওঠে। ঠাকুমার মতো মাথা নেড়ে নেড়ে সে আমাকে 'পরস্তাব' শোনায়৷ ...
জয়ধরখালী ১৯ || শেখ লুৎফর
নাম তার চান্দু মড়ল। তাই বলে মনে করার কোনো কারণ নাই যে রূপ-চেহারায় সে চান্দের মতন এক পুরুষ। সত্তর বছর পেরিয়ে আসা একজন রগচটা বুড়ো সে। একটু উনিশ-বিশ হল...
সুরমাসায়র ১২ || পাপড়ি রহমান
সিলেটের মেঘেরা যেন উড়ে আসত সোজা মেঘালয় থেকে। ফলে সেসব মেঘেদের ছিল নানান বরন ও খেয়াল। শাদা শাদা মেঘেদের গুচ্ছ ভেসে-বেড়ানো দেখতে না দেখতেই তারা হাতির ...
ইচ্ছেশ্রাবণ ২ || বিধান সাহা
১.
রাস্তার ঠিক মাঝপথে আকাশ অন্ধকার করে সন্ধ্যা নামল। অথচ এখন সকাল। এখন উজানী সময়। আমরা বসে আছি একটা গুদামের বাইরের রাস্তা-লাগোয়া বারান্দায়। দুজন চটের...
জয়ধরখালী ১৮ || শেখ লুৎফর
ছয়েব আলী মিয়াকে জয়ধরখালীর মানুষ ছয়বালী ডাকে। মানুষের লম্বা লম্বা আর সুন্দর নামগুলাকে তারা এক কোদাল পরিমাণ ছেঁটে ফেলে নাগালের মধ্যে নিয়ে আসে। সুখ-দুঃ...
সুরমাসায়র ১১ || পাপড়ি রহমান
নিজ পরিবারের সকলের জন্য আব্বার ছিল প্রচণ্ড দরদ। নিজের বাবা-মা, ভাইবেরাদর-আত্মীয়স্বজন তো আছেই, এমনকি নামকাওয়াস্তেও যারা আত্মীয়তার সূত্রে বাঁধা তাদের ...
জয়ধরখালী ১৭ || শেখ লুৎফর
জিলহজ মাসের চাঁদটা উঠার পর থেকে জয়ধরখালীর লেকুচাচার হাত থেকে যেন হুঁক্কা আর নামতেই চায় না। একটু ভালো করে তাকালেই আপনারা লেকুচাচাকে চিনবেন। ছোটখাটো চ...
সুরমাসায়র ১০ || পাপড়ি রহমান
পঞ্চম ক্লাসে ওঠার পরে আমার আরও কিছু বন্ধুবান্ধব জুটে গেল, যারা অকারণেই বেঙ্গলি ভাষায় কথাবার্তা বলে। তারা যে সত্যি সত্যি সিলেটি তা ধরার উপায় নাই। কার...