টেন ইয়ার্স অ্যাগো, অন দিস ডে

টেন ইয়ার্স অ্যাগো, অন দিস ডে

এইমাত্র, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্দ্বন্দ্ব উৎসবমুখর মরশুমে, এই শীতকুঁড়ি ডিসেম্বরে, একটা টেক্সট ইনকাম হয়েছে এই সিভিলিয়ানের সেলফোনে, গবর্মেন্ট ইনফো মোড়কে, সেইটা অবিকল এই : “ভোট বিক্রি তো বিবেক বিক্রি, ভোট বিক্রি করবেন না। নির্বাচনে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন” — জানিয়েছেন বিলাভেড ইলেকশন কমিশন। টেক্সট-মেসেইজখানা ইনকাম করে আমি প্রীত ও পরিতৃপ্ত। অতিশয় নির্লিপ্ত, যদিও।

যদিও পুণ্যাত্মাদের এই টিল্লাটাল্লা হাওরবিধৌত অঞ্চলে, এক নম্বর কন্সটিট্যুয়েন্সিতে, বিবেকমোহন নির্বাচন তথা শাদাসিধা বাংলায় ইলেকশন এইবার নাই। যিনি খাড়াইসেন তিনি হান্ড্রেডে হান্ড্রেড একলাই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। সারাদেশেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বি ইড়িঙ্গি। কিন্তু আগ্লিবারে-মে ইয়ে টেক্সট-মেসেইজ জরুর কামে আয়ে গা। বা, আরও বছর দশ পরে। এইবার ইলেকশন খেলি বিবেকের বদন বিরস রেখে।

এমনিতে ময়মুরব্বিদের অঙ্গুলিহেলনে দেশ তো উন্দা-মান্দা ব্যজস্তুতিকীর্ণ চলতেসে। ব্যবসাবাণিজ্যের অবস্থা নিয়া আমি ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি, যদিও গরিবের ব্যবসাপাতিও নাই; থাকার মধ্যে আছে একটা সাতিশয় চাটুকারপনা; আছে একটা বালের ধামা ধরা। বালটা বাংলা স্পেলিঙের নয়, অ্যাব্রিভিয়্যাশন, ইংলিশে বেশ লাম্বাডাম্বা লাইনটা। অ্যাডমিন ক্যাডারদিগের উদয়াস্ত জপমালা।

শালার লাইফ! খালি নাই নাই আর নাই নাই … নির্বাচন নাই, ব্যবসাপাতি নাই, ভোটবেচা নাই, গণতন্ত্র সেচার ব্যবস্থা ব্যাহত, জলপানি নাই তো নোবেল কমিটিরে ক্যামনে পটাই! কৃপা চাই, ঠাকুর, অশেষ তোমার দারিদ্র‍্যদূরকরণকৃপা ছাড়া আমরার চাইবার কিছু নাই। ঋণ নাই তো ক্যামনে ঘি খাই! দুই-হাত-প্রসারিত ফুর্তিরাজা হাস্যখুশ্য ক্ষুদ্রসিংহ নোবেল লোরিয়েট ফিল্ডে নাই … কিয়ৎকাল পূর্বে উনি খাড়াইসিলেন, জনৈক পত্রিকাসম্পাদকেরে হোমটাস্ক দিয়া উনি বিদেশে গেসিলেন, অ্যাব্রডে, ব্যাক করে দেখেন চেসবোর্ড দলামোচানো। অগত্যা রাজাপ্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে হলো। উহার নাচাগানা খাইতে তো পূর্বে বেহতর লাগসিলো লাগাতার কয়দিন, ‘ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কুথায়’ … খালি নাই নাই নাই … শালার লাইফ …

কৃপা চাই না, মাতঃ! তোমার উন্নয়না ডালকুত্তাটা সামলাও! খুশিতে ঠ্যালায় ঘুরতে ঘুরতে মরতে শুরু করে দিসি ইতোমধ্যে।

এইবার তো পরীক্ষাটাতেও বসতে পারলাম না, বাবার দেশের মানুষ আমরা, আমাদের লগে কেউ শিং ধারাইতে আসবার হিম্মৎ দেখায় নাই।  বিবেক নবায়ন করা হইল না এইবার, সুযোগটাই মিলল না শালার, পরিতাপেরই জিনিশটা। … বাঁচি যদি তো আবার বছর পাঁচ পরে … বা, আরও বছর কুড়ি তীব্র পতনবন্ধুর অন্ধকারের অনন্ত দূরে … দেখা যাবে বিবেকবুদ্ধিবিবেচনা শানিয়ে নেয়া যায় কি না।

অ্যানিওয়ে, য়্যু হ্যাভ ডান অ্যা প্রেটি গ্যুড জব, ডিয়ার ইলেকশন কমিশন, উই আর প্রাউড অফ য়্যু। রিয়্যালি, আই মিন ইট, ফাঁকাফাকিং কথার কথা নয়, য়্যু হ্যাভ ডান সামথিং লার্জার দ্যান দি ফ্রিক ডেমোক্রেইসি … অ্যা রিয়্যাল গ্যুড জব ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড। … মা’ ফ্রেন্ড, ব্লোয়িং ইলেকশন ওয়েইভ, গ্যুড জব … ব্লো … ব্লো … ব্লো … জব … ব্রো, উই ল্যভড ইট। উই, বিন্দুমাত্র সন্দিহান নই, ল্যভ ইউ! … কনগ্র্যাটস্! — জাহেদ আহমদ / ডিসেম্বর ২০১৩


বিচিত্র গদ্যের গানপার

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you