থিংস ফল অ্যাপার্ট

থিংস ফল অ্যাপার্ট

ডেডিকেটেড টু চিনুয়া আচেবে [১৯৩০-২০১৩]

সবকিছু ভেঙে পড়ে দেখি
নতজানু হয়ে আসে সব
কত-কী ভেবেছি কিন্তু এ কী
মূষিকের পর্বত প্রসব!

সবকিছু মুছে যাবে যদি
কেন এত হাতিঘোড়া আঁকা
ব্ল্যাকবোর্ডে ফুল পাখি নদী
নীলিমা নক্ষত্রহীন ফাঁকা

যায় ভেস্তে যেমন সহসা
পরিকল্পিত পিকনিক
বাদামের পরিত্যক্ত খোসা
হাতে নিয়ে বিমূঢ় পথিক

যাচ্ছে না দেখা ভালো করে
কিছুই আগের মতো আর
কুমিরেরা কাঁদিছে অঝোরে
চাঁদ দিচ্ছে পুজো মনসার

চাঁদের মতন তরুণেরা
চালশে বুড়োর আচরণ
বাঘের ভাওতা মেরে ভেড়া
দেশে দেশে তোলে শিহরণ

ঝাপসা কাচের মতো ঘষা
খেতে খেতে আমরাও আজি
হয়ে গেছি অন্ধ ও ঠসা
গাইহীন গোয়ালের কাজি

ভেঙে পড়িতেছে হুড়মুড়
ভাগাড়ে বিনষ্ট সবকিছু
ঋজুবৃক্ষ ব্যক্তিও উপুড়
দরবেশেরা নষ্টের পিছু

নষ্ট হতেছে দিকে দিকে
যা-কিছুই ছিল গরিমার
ভোর হতে না হতেই ফিকে
দিবসের বর্ণবিথার

দিকে দিকে এত তিরন্দাজ
ঈশ্বরের নাম ভেঙে তাক
করিছে তোমার দিকে আজ
বিষাক্ত ধনুকের নাক

সেন্টার ক্যানট হোল্ড আর
চৌদিকে থিংস ফল অ্যাপার্ট
জেনো তুমি নহ মচকাবার
দাঁড়ায়া থাকাটা আজ আর্ট

দাঁড়ায়াই থাকো সুতরাং
মনে রেখো মচকাবার আগে
প্রত্যুষে মোরগের বাঙ
দ্রোহী মানুষের অনুরাগে

ভাঙো যদি নিজের ভেতরে
ভেঙে নিয়ো নলচে ও খোল
নিজের নাড়িটা নিজে ধরে
নিয়ো চিনে নিজেরে নির্ভুল

দিয়ো দৃষ্টি হৃদয়নির্দেশে
মাটির রক্ত বুঝে নিয়ো
কেননা হাজার হল্লা শেষে
মাটিতেই ফিরে যাবা প্রিয়!

এবং এ-মাটি থেকে তুমি
দাঁড়াবা আবার মাথা তুলে
প্রেম-দ্রোহ-বিষাদে এ-ভূমি
রেখো রোজ মরমের মূলে।।

জাহেদ আহমদ ২০১৩

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you