বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ছবি ছিল আমাদের তূণের তির; — যখন আর্টে সিরিয়াস হয়ে উঠছিলাম, সেই কালে।
লিস্টে খুব বেশি লোক তো ছিল না। উপন্যাসে কমলকুমার, অমিয়ভূষণ, শওকত ওসমান, মাহমুদুল হক, ইলিয়াস, তারাশঙ্কর আর সতীনাথ ভাদুড়ী; কবিতায় বিনয়, উৎপল, আল মাহমুদ; সিনেমায় ঋত্বিক, বুদ্ধদেব, জহির রায়হান। নব্বই দশকে এরাই ছিলেন আমাদের সারথী। বাংলায়।
জেনে আশ্চর্য হয়েছিলাম যে, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত আমার গল্প পছন্দ করতেন। ঢাকায় এসে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর যারা হোস্ট, তারা আমাকে চিনতে চান নাই বিধায় দেখা হয়নি। কিন্তু তিনি আমার নম্বর জোগাড় করেছিলেন। আমরা ফোনে কথা বলেছিলাম। তিনি আমার বই চেয়েছিলেন। করোনার কারণে পাঠাতে পাঠাতে দেরি হয়ে গেছিল। জানি না পেয়েছিলেন কি না।
আজ তাঁর প্রয়াণ স্তব্ধ করে দিলো। হঠাৎ খেয়াল হলো, আমাদের তরুণ বয়সের আইকনদের মাঝে একমাত্র তিনিই জীবিত ছিলেন। সচলও ছিলেন।
বিদায়, বুদ্ধদা!
১০ জুন ২০২১ ঢাকা
- শক্তি || সুমন রহমান - August 12, 2021
- বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত : তূণের তির || সুমন রহমান - July 3, 2021
- ‘কোলাভেরি ডি’ কিংবা ‘বুকটা ফাইট্টা যায়’ : শুধুই কি হুজুগ? || সুমন রহমান - May 4, 2021
COMMENTS