আমাদের মঈনস্যার || আসাদুজ্জামান রাকিব

আমাদের মঈনস্যার || আসাদুজ্জামান রাকিব

নয়ন সমুখে তুমি নাই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছো যে ঠাঁই…

মঈনস্যার! হ্যাঁ, আমাদের মঈনস্যার। এক-রকম দাবি নিয়েই বলছি মনে হচ্ছে। মনে না-হবার কিছু নেই, কারণ স্যারের সাথে আমাদের ইউনিটের সবার সম্পর্কটা এমনই ছিল যে স্যার আমাদের সবারই নিকটতম একজন মানুষ হয়ে গিয়েছিলেন। শিক্ষক হয়েও যিনি আমাদের খুব কাছের বন্ধু। রক্তসম্পর্কের কেউ না-হলেও যিনি আমাদের কাছে রক্তসম্পর্কের চেয়েও গভীর এক বন্ধনে আবদ্ধ কেউ-একজন। বয়সে বড় হলেও আমাদের বয়সের কাছাকাছি যে-কেউ যাঁর সাথে সব কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারতাম। যিনি আমাদের কাছে ‘আপনার চেয়েও আপন যে-জন’।

এমন একজন মঈনস্যার তাই সমস্ত গণ্ডির বাইরে গিয়ে আমাদের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। উনাকে ছাড়া ঠিক ‘আমরা’ শব্দটা আমাদের কাছে পরিপূর্ণ কোনো শব্দ হয় না।

স্যারের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ২০১৬ ডিসেম্বরে। তখন সবেমাত্র সরকারি নির্দেশে মেডিসিন ইউনিট-৩-এ সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দিলাম। প্রথম বেশ-কিছুদিন খেয়াল করলাম একজন সিনিয়র লোক আমাদের ওয়ার্ডের রুমের এক কর্নারে বসে পত্রিকা পড়ছে। তখন দেখতাম, তখনকার আমাদের ইউনিটের মিড-লেভেল রুহানভাই, খোকনভাই, রেজওয়ানভাই, কনকভাই, সুশান্তদা — এদের সাথে ঐ লোকটি কেমন যেন এক-রকম আড্ডা দিচ্ছে বলা যায়। সবকিছু নিয়েই কেমন যেন খোলামেলা আলোচনা। শেষপর্যন্ত কৌতূহল আটকাতে না পেরে সিনিয়র একজনের কাছে ঐ লোকটির পরিচয় জানতে চাইলাম। উত্তর শোনার পর আমি পুরাই কেমন যেন অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। তারপর থেকে উনি যখনই ওয়ার্ডের রুমে আসত আমি সালাম দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। কিন্তু তখনই উনি একদিন বলে বসল,

— এই আসাদ, দাঁড়িয়ে কেন? আরে বসো, কেমন আছো?

আমি ঠিক বিশ্বাস করতে পারতেসিলাম না যে আমি ঠিক শুনছি কি না! স্যার তখন আবার বলল,

— এই বসো। তোমার বাসা কোথায়? কোন উপজেলায় ছিলা?

এভাবে বলতে বলতে ধীরে ধীরে উনার উপজেলায় চাকরির অভিজ্ঞতাগুলো বলতে শুরু করলেন। এবং বলতে থাকলেন,

— বুঝছো, উপজেলায় কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকা খুব দরকার। এই যে দেখো, আমার সময়ে আমি ছাতক উপজেলায় একমাত্র মেডিক্যাল অফিসার ছিলাম। সারাদিনই হাসপাতালে থাকতাম। মাঝে মাঝে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বেও ছিলাম। ভালোই লাগত। সপ্তাহে একদিন বাসায় আসতাম। মানুষদের জন্য একটু করতে পারলেই তারা খুব খুশি হতো। তোমরাও কাজ করো।

এইভাবে সারাক্ষণ আমাদের উৎসাহ দিত।

স্যারের রাউন্ডের সময়টাও ছিলো অন্য ধরনের। প্রতিটি রোগীর সামনে গিয়ে অনেক ধরনের সামাজিক কথাবার্তা বলতে শুরু করতেন। ফেসবুকে কে কি লিখল, ঠিক লিখল কি না, পত্রিকায় আজ কি নিউজ এল, লন্ডনে কীভাবে মেডিক্যাল সিস্টেম চলছে এমনকি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলতেন। সারাদিনের একঘেয়ে কাজের ফাঁকে স্যারের এইসব কথাবার্তা তাই এক-ধরনের অবকাশ এনে দিত আমাদের। এরই ফাঁকে ফাঁকে আমাদের বিভিন্ন প্রশ্নও চলত, স্যার উত্তর দিত। তবে কার্ডিওলজির বিষয়গুলো নিয়ে স্যার যথেষ্ট তথ্যনির্ভর আলোচনা করত। প্রতিদিনের কমন বিষয়গুলো নিয়ে স্যার ইন্টার্নদের প্রতিদিনই প্রশ্ন করত। তবে চোখে লাগার মতো বিষয় যেটি তা হলো কেউ না পারলে স্যার বিন্দুমাত্র কোনো তিরস্কার করতেন না, বরং খুব ভালোভাবে সহজ ভাষায় সেটি বুঝিয়ে বলতেন। শিক্ষকতার এমন গুণ আমরা মূলত নির্দেশনামূলক বক্তব্যে কিংবা বইয়ের পাতায় দেখে অভ্যস্ত। তবে মঈনস্যার আমাদের কাছে সেই আদর্শ শিক্ষক যিনি এতসব গুণ নিজের মাঝে ধারণ করেছেন, আমাদের দেখিয়ে গেছেন, আমাদের শিখিয়ে গেছেন।

স্যারের গ্রামের বাড়ি ছাতক হওয়ায় প্রায়ই উনার গ্রামের রোগীরা আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হতো। আমরা কিছু জিজ্ঞেস করলেই রোগীরা বলত, — “আমরারে মঈনুদ্দিন পাঠাইছে”। ঠিকই দেখতাম কিছুক্ষণ পর স্যার এই রোগীদের দেখতে ওয়ার্ডে আসত। আমাদের বলে যেতেন, “যা যা দরকার করে ফেলো। ওরা পারবে না, আর বুঝবেওনা সবকিছু। বাইরে পরীক্ষা করানোর দরকার হলে আমি টাকা দিবো নে, করে ফেইললো”। যাবার সময় দেখতাম বেশকিছু ১০০০ টাকার নোট রোগীর হাতে দিয়ে বলতেন, “আপাতত রাখো, পরে লাগলে বইললো”।

এমন দৃশ্য একটি/দুটি না, গত তিনবছরে অসংখ্যবার দেখেছি। আর প্রতিবারই প্রচণ্ডরকম শ্রদ্ধায় আমি উনার প্রস্থানের দিকে চেয়ে থাকতাম। এমন দৃশ্য দেখতে পারার সৌভাগ্যও সবার কপালে জোটে না।

আমার স্যার ছিলেন এমনই। গ্রামের মানুষ যাকে তাদের পরিবারের একজন মনে করত, তাই দেখতাম এক-ধরনের অধিকার নিয়েই কথা বলত তারা। স্যার, আপনি তাদের এত কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন যার গভীরতা হয়তো আপনি খেয়ালই করেন নাই।

আরেকবার আমাদের শিশুবিভাগে গেলেন আমাকে নিয়ে, বললেন যে এক মেয়ে একসময় স্যারের বাসায় কাজ করত। গতকাল তার একটি বাচ্চা হয়েছে। ঐ বাচ্চার নাকি শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আমরা গেলাম। গিয়ে দেখলাম, বাড়িতে প্রসবের ব্যবস্থাপনায় ঝামেলা হওয়ায় অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে বাচ্চার মাথায় ইনজুরি হয়েছে। এদিকে আবার নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। স্যার কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা আর দামি অ্যান্টিবায়োটিক কেনার জন্য বেশকিছু টাকা দিলেন ঐ মহিলার হাতে।

তার দুইদিন পর বোধহয় স্যার আমাকে ডেকে বললেন, — “চলো, ঐ রোগীটা দেখে আসি।” গিয়ে দেখলাম বাচ্চাটা এখন বেশ ভালো। আমি বললাম, — “যাক স্যার, ভালোই হলো, আইসিইউ সাপোর্ট আর লাগল না।” কিন্তু তখন স্যার যে-তথ্য দিলেন আমাকে তা শুনে আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম। স্যার বললেন ঐদিন (যেদিন প্রথমবারের মতো বাচ্চাটাকে দেখতে গেলাম) বিকেলেই বাচ্চাটার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। তখন ওসমানীতে এনআইসিইউ না-থাকায় উনি দ্রুত বাচ্চাটাকে একটি প্রাইভেট হসপিটালের আইসিইউতে নিয়ে গেলেন। দুইদিন ঐখানে থাকার পর বাচ্চাটির অবস্থার উন্নতি হলে তাকে আবার আমাদের ওসমানী হসপিটালে নিয়ে আসা হয়। বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই পুরো প্রক্রিয়ায় যত টাকা লেগেছে পুরোটাই মঈনস্যার দিয়েছেন। ততক্ষণে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। চোখের সামনে দেখছি যাকে, যাকে আমরা মঈনস্যার বলি, উনি মানুষ তো! নাকি তার অনেক উপরের অন্যকিছু!

এই-রকম ঘটনাগুলো চোখের সামনে ভাসছে। আমি বুঝি না, এই পৃথিবী ছেড়ে মঈনস্যাররা কেন এত দ্রুত চলে যাবে? আমার মতো অথর্বরা কেন এখানে থাকবে?

হসপিটালের তিন নং ওয়ার্ডে স্যার রাউন্ড দিতেন। ঢুকেই আমাদের ডেকে নিয়ে বলতেন, “এই চলো, রাউন্ড শুরু করি”। রাউন্ড শুরু করার আগমুহূর্তেই বলতেন, “কেমন আছো?” অথচ এই প্রশ্নটি এতটাই, এতটাই দুর্লভ আমাদের পেশায় যে আমি প্রায়ই অবাক হয়ে যেতাম। হেসে বলতাম, “স্যার, কী বললেন!” স্যার প্রায়ই দ্বিতীয় প্রশ্নটা এমন করত, “কোন ঝামেলা নাই তো?”

একবার পিকনিক নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। সব স্যারদের নিয়ে দিনক্ষণ ঠিক করতে গিয়ে এমন অবস্থা হলো যে শেষমেশ মনে হচ্ছিল যে এবারের পিকনিকটাই বোধহয় ক্যান্সেল করতে হবে। এই অবস্থায় মঈনস্যারকে সব খুলে বললাম। স্যার বললেন, “না, পিকনিক ক্যান্সেল কইরো না। ইন্টার্নরা অনেক কষ্ট করে। একটা পিকনিকের জন্য ওরা অনেক আশায় থাকে।” আমাকে পরামর্শ দিলেন যে, “কোনো স্যারকে বলার দরকার নাই। তোমরা ইন্টার্নদের কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাও এবং পিকনিক করে আসো।” সে-সময় ঐ ব্যাচের সম্ভবত শেষ কর্মদিবস অথবা একদিন আগে বোধহয় আমরা হাকালুকি হাওরে গিয়েছিলাম। আসার পর আমাদের ছবিগুলো দেখে স্যার বলছিলেন তিনি ঐখানে যেতে চান। তথ্যও নিলেন, কিন্তু যেতে পারেন নাই বোধহয়।

আমাদের প্রায়ই বলতেন, “তোমরা ইন্টার্নদের পড়াবা। না-শিখলে ওরা তো উপজেলায় গেলে ঝামেলায় পড়বে।”

আমাদেরকে সবসময়ই উৎসাহ দিতেন স্যার। ফেসবুকে কেউ ভালো কিছু লিখলে ঐটা স্যার শেয়ার দিতেন। একটু ঝামেলাপূর্ণ কিছু লিখলে আবার ফোন দিয়ে বলতেন, “তুমি সত্য কথাই তুলে ধরেছ। তবে সব কথা লিখা ঠিক না।” এমনভাবেই আমাদের সারাক্ষণ আগলে রাখতেন, আমাদের সেইফটি নিয়ে ভাবতেন।

স্যারের সাথে আমি শেষ রাউন্ড দেই ২৩ মার্চ। স্যার সম্ভবত নয়টার দিকে ফোন দিয়ে বললেন যে উনি রাউন্ড দিবেন। দেখলাম নীল রঙের একটা ভিজিটরগাউন (যেটি আইসিইউতে কোনো রোগীকে ভিজিট করার পূর্বে পরতে হয়, যেটি কোনোভাবেই আদর্শ পিপিই  না) আর একটা মাস্ক হাতে করে নিয়ে এলেন। ঐদিন আমরা অনেকেই রাউন্ডে ছিলাম। স্যার বারবার বলতেসিলেন, “এই তোমরা এতজন একসাথে রাউন্ড দিও না, সময়টা ভালো না”। আমি বললাম, “কাল থেকে আর সবাই থাকব না স্যার। রোস্টার করে ফেলছি। ভাগ ভাগ করে থাকব।” এখন কেন যেন মনে হচ্ছে স্যার এত ভয় পাচ্ছিলেন কেন! এর বেশ কিছুদিন আগেও স্যার আমাদের নাসাদভাইকে বারবার বলছিলেন যে সিলেটে করোনাপজিটিভ কোনো রোগী ধরা পড়লে স্যার উনার নিজের বাসায় যাবে না, নাসাদভাইয়ের বাসায় থাকবে। তখন আমরা ভাবতাম, স্যার এত ভয় পাচ্ছেন কেন? এখন বুঝতেসি সম্ভবত সৃষ্টিকর্তা উনাকে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

তারপর থেকে আমার সাথে স্যারের আর দেখা হয়নি।এক সন্ধ্যায় একজন ফোন করে জানাল যে সিলেটে নাকি একজন করোনাপজিটিভ রোগী সনাক্ত হয়েছে যিনি আমার স্যার। প্রচন্ড ভয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। শরীরটা তখন কাঁপছে। অথোরিটিকে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হব কি না সেই সাহসটা পাচ্ছিলাম না। পরে শামসুদ্দিন হাসপাতালের আরএমও সুশান্তদাকে ফোন করে যা শুনলাম ততক্ষণে আমি পুরোই ভেঙে পড়লাম। ফোনটা দ্রুত কেটে দিয়ে কতক্ষণ যেন বিছানায় পড়ে রইলাম। কারো ফোন তখন আর ধরার সাহস করতে পারিনি। তারপরও বারবার আশায় ছিলাম স্যারের কিছু হবে না ইনশাআল্লাহ। স্যারের শারীরিক অবস্থার একটু উন্নতির খোঁজ পেলেই সবাইকে দ্রুত জানিয়ে দিতাম। কত যে শান্তি লাগত তখন! শেষ কয়দিন স্যারের অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না, তখন থেকে আর কাউকে কোনোকিছু বলতাম না।

শেষপর্যন্ত স্যার আমাদের ছেড়ে চলেই গেলেন। যে করোনা নিয়ে আমাদেরকে এত সতর্ক করলেন সেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি নিজেই পরম করুণাময়ের কাছে চলে গেলেন। আমরা এখন আর ‘আমরা’ নেই।

হসপিটালের তিন নাম্বার ওয়ার্ডটা চোখের সামনে ভাসছে এখন। লম্বাহাতা সাদা শার্ট আর কালো বেল্টের ঘড়িপরা মঈনস্যার ওয়ার্ডে ঢুকেই ডাকলেন, “এই চলো রাউন্ড শুরু করি”। রাউন্ড শুরু করার মুহূর্তেই জিজ্ঞেস করলেন, “নাস্তা করছো?” নাসাদভাই বলছেন, “না স্যার, করি নাই।” স্যার বললেন, “তাহলে চলো তাড়াতাড়ি রাউন্ডটা শেষ করে ফেলি।” কিন্তু সে-কথা স্যার ভুলে গেলেন একটু পরেই। বলতে শুরু করলেন, “এই, কনক আর আসাদ গতকাল যেন কই ঘুরতে গেছিল? আচ্ছা, ঐখানে কীভাবে যেতে হয়? না না, আসলেই ঘোরাঘুরি করা উচিত। এই দেখো আমি সময় পাই না। এই চেম্বার আর ভাল্লাগে না। না-গিয়েও পারি না। পরিচিত মানুষেরা ফোন দেয়। দেখি আগামীতে চেম্বার সপ্তাহে দুই/তিনদিন করে বন্ধ রাখব।” একটু পর চোখের চশমাটা হাতে নিয়ে গ্লাসটা মুছতে মুছতে বলছেন, “এই-যে প্ল্যাটফর্মে যে-লেখালেখি হয় অনেককিছু আমার অপছন্দ। সবকিছু নিয়েই এত সমালোচনা কেন? পজিটিভভাবে দেখলেই তো হয়। অপেক্ষা করো, ধীরে ধীরে সবকিছুরই সমাধান হবে। এত অধৈর্য হলে ক্যামনে হবে?” এদিকে কনকভাই অথবা রেজওয়ানভাই কোনো-এক কারণে এক রোগীর সাথে রেগে গিয়ে কথা বলছে, তখনই স্যার বলছে — “এই কনক আর রেজওয়ান শোনো, এত রাগারাগি কইরো না। এদের বুঝিয়ে বলো। এরা বুঝবে।” একটু পর শরীরফোলা এমন কোনো রোগী সামনে পড়ল। তৎক্ষণাৎ স্যার বলছেন, “এই বেডের ইন্টার্ন কে? এই তুমি বলো তো এই রোগীর ফলোআপে কি কি জিনিস দেখতে হবে? তার ফ্লুইড ইনটেক কত? আউটপুট কত?” ইন্টার্ন পারল না। চোখের সামনে দেখতেসি স্যার পুরো বিষয়টাই সহজভাবে বুঝিয়ে বলছেন। একটি শব্দও উচ্চস্বরে বলছেন না। শেষের দিকে স্যার বলছেন, “শোনো তোমরা একবার গ্র্যান্ড সুলতান অথবা প্যালেসে ঘুরে আসো। টাকার চিন্তা কইরো না। আমি দেখছি।”

আমার কর্নিয়া ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে।

স্যার, এই রাউন্ডটা কি আবার সত্য হতে পারে না?

পরম করুণাময় আমার মঈনস্যারকে জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করে নিন। আমিন!

… …

আসাদুজ্জামান রাকিব
Latest posts by আসাদুজ্জামান রাকিব (see all)

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you