পিটার উইলিয়াম মুজিব ও বঙ্গবন্ধুর বিলেতপ্রবাসী বাঙালিরা || উজ্জ্বল দাশ

পিটার উইলিয়াম মুজিব ও বঙ্গবন্ধুর বিলেতপ্রবাসী বাঙালিরা || উজ্জ্বল দাশ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বহু অজানা ইতিহাসের সরব সাক্ষী লন্ডন তথা আমাদের বিলেত। স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতিপর্ব থেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন দীর্ঘ নয়মাস বিলেতের প্রতিটি শহরে বিলেতপ্রবাসী মুক্তিকামী বাঙালিরা জোরালো দাবি তুলেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের সমর্থনে।

বিলেতে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বের বিক্ষুব্ধ সেই দিনগুলো থেকে লন্ডন হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন — পুরো সময়কাল নিয়েই আমার ব্যক্তিগত গবেষণা ও সংগ্রহের শিরোনাম ‘লন্ডন ১৯৭১ : ভিনদেশে বাঙালির আগুনঝরা দিনের গল্প’।

২০০৮ থেকে শুরু করে আজ অবধি সৌভাগ্য হয়েছে সেই সময়ের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে তাদের বীরত্বগাথার গল্প শোনার, — যারা সেই উত্তাল সময়ের জীবন্ত সাক্ষী, ইতিহাসের অনেকটাই অপ্রকাশিত, অব্যক্ত অংশ।  অতিসম্প্রতি কথা হয় ব্রিটিশ নাগরিক বাংলাদেশের  অকৃত্রিম বন্ধু পল কনেট-এর সাথে। পল ও এলেন কনেট দম্পতি কী করেননি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনে!  তাদের রোমাঞ্চকর গল্প থেকেই দেখা মিলবে পিটার উইলিয়াম মুজিব কনেট-এর — এক ভিনদেশি, ভিন্নভাষী মুজিবের সাখে।  ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন এবং যুদ্ধাঞ্চলে খাদ্যদ্রব্যসামগ্রী ও ওষুধপত্র পাঠানোর তাগিদ থেকে এই দম্পতি লন্ডনে ‘অপারেশন ওমেগা’ নামে একটি সংস্থা করেন। শহরের ক্যামডেন এলাকায় বাংলাদেশের জন্য আরেক নিবেদিতপ্রাণ ম্যারিয়েটা প্রোকপের বাসায় ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ নামে অফিস চালু করেন তারা। তাদের কাজে পূর্ণ সমর্থন করলেন সেই সময়ে বিলেতেপড়ুয়া উচ্চশিক্ষার্থী বাঙালিরা।

পাকিস্তানি সামরিক সরকারের গণহত্যার প্রতিবাদ এবং বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ে ১ আগস্ট লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে আয়োজিত বিশাল মহাসমাবেশের অন্যতম শক্তি ছিলেন কনেট দম্পতি।  ট্রাফালগার স্কয়ারে বিশাল জমায়েত শেষে একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে কনেট ভারতে আসেন। সেখান থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে যুদ্ধাঞ্চলে ঢুকে পড়েন। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে পাকিস্তানের সামরিক আদালত তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি মুক্তি পান।

১৯৭০ সালে বিয়ে করেছিলেন এই দম্পতি। ঠিক পরের বছরই তাঁরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসংগ্রামে নিজেদের জড়ান। দেশ স্বাধীন হয়।  এই দম্পতির পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে মিলিয়ে তারা ছেলের নাম রাখেন পিটার উইলিয়াম মুজিব কনেট। আর এভাবেই পল ও কনেট দম্পতি তাদের পরম্পরায় বহন করে চলেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের  অসামান্য স্মৃতি।

এই দম্পতিকে দেশের স্বাধীনতার জন্য মরিয়া প্রবাসী বাঙালিরা সরব থেকে বুঝিয়েছিলেন, সক্রিয় হতে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন।  বাঙালিদের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনে বিশ্বজনমত গঠনে ব্রিটিশ এমপি, রাজনীতিক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরাও সেই সময় রেখেছিলেন অনন্য ভূমিকা।

বিলেতের সাথে আমাদের রয়েছে ঐতিহাসিক যোগসূত্রতা। বিলেতেপ্রবাসীদের দুর্বার আন্দোলন বিশ্ববাসীর কাছে সেদিন তুলে ধরতে সাহায্য করেছিল গণহত্যার প্রকৃত চিত্র আর স্বাধীনতার জন্য জেদি বাঙালিদের তৎপরতা।  শেখ মুজিবের প্রিয় বিলেতপ্রবাসীরা নানাভাবে তাঁর পাশে থাকার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালিয়েছেন সবসময়।  সেইসব ইতিহাস থেকে উল্লেখযোগ্য দু’টি ভালোবাসার, সংগ্রামের কথাই তুলে ধরছি।

১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জেলে গেলেন শেখ মুজিব। তাঁকে জেল থেকে আইনী প্রক্রিয়ায় ছাড়িয়ে আনতে উদ্যোগী হলেন বিলেতপ্রবাসী বাঙালিরা।

১০ জুন ১৯৬৮; বিলেতপ্রবাসীরা গঠন করলেন ‘শেখ মুজিব ডিফেন্স ফান্ড’।  অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় লন্ডনের নামী আইনজীবীপ্রতিষ্ঠান বার্নার্ড সেরিডানের মাধ্যমে স্যার টমাস উলিয়ামস কিউ.সি এমপিকে মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগ করা হলো। শেখ মুজিবকে মুক্ত করতে মামলা পরিচালনার জন্য প্রবাসীরা চাঁদা জমা করেন ‘শেখ মুজিব ডিফেন্স ফান্ড’ ব্যাংকহিসাবে।

উল্লিখিত রসিদের চাঁদাদাতা বার্মিংহ্যামপ্রবাসী আলোকচিত্রী ইউসুফ চৌধুরী, যার ক্যামেরায় তোলা রয়েছে বিলেতে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অসংখ্য দুর্লভ চিত্র। খ্যাতনামা ব্রিটিশ আইনজীবী টমাস উইলিয়ামসকে ঢাকায় পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন তারা।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেলেন বঙ্গবন্ধু।  বিলেতপ্রবাসী বাঙালিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাতে ২৬ অক্টোবর ১৯৬৯ লন্ডনে পৌঁছেন বঙ্গবন্ধু। উঠেছিলেন লন্ডনের অক্সফোর্ড স্ট্রিটস্থ মাউন্ট রয়্যাল হোটেলে। তাঁর বড়কন্যা  শেখ হাসিনা ও জামাতা ড. ওয়াজেদ মিয়া সেইসময় লন্ডনে ছিলেন। ০১ নভেম্বর ১৯৬৯ পূর্ব লন্ডনের গ্র্যান্ড প্যালেস হল্ এবং ০২ নভেম্বর বার্মিংহ্যামের ডিগবিথ হলে প্রবাসীদের দেয়া দুটি সংবর্ধনায় বক্তৃতা করেন শেখ মুজিব। পরপর দুটি জনসমাবেশে মানুষের উপচে-পড়া ভিড় ও স্বাধীনতার জন্য ব্যাকুলতা বঙ্গবন্ধুকে প্রাণিত করে।

তবে বিলেত সফরের প্রাক্কালে ২৩ অক্টোবর ১৯৬৯ ইত্তেফাক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে  বঙ্গবন্ধু লন্ডন সফর সম্পর্কে বলেছেন, “আইয়ুব সরকার যখন উহার একদশকের রাজত্বের শেষ পর্যায়ে পর্বপাকিস্তানিদের ন্যায্য দাবিদাওয়া আদায়ের সংগ্রামকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করিয়া দেয়ার জন্য সম্ভাব্য সবদিক হইতে নির্যাতন আর নিপীড়নের যাঁতাকল ভীমবেগে পরিচালিত করিয়াছিল, পূর্বপাকিস্তানের সংগ্রামী নেতৃবৃন্দ এবং সংগঠন হিসেবে আওয়ামীলীগ এক মহান সংগ্রামে আপসহীনভাবে সংগ্রাম করিয়া যাইতেছিল, তখন লন্ডনের প্রবাসী পাকিস্তানিরা, বিশেষ করিয়া বাঙালিরা যেভাবে অপিরসীম সাহায্য ও সহানুভূতির হস্ত সম্প্রসারিত করিয়াছিলেন, সে-স্মৃতি কোনোদিন ভুলিবার নয়। … তথাকথিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যেদিন আমাদের আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল, সেদিন প্রবাসী বাঙালিদের হৃদয় কাঁদিয়া উঠিয়াছিল। তাহারা আমাদের পক্ষ সমর্থনের জন্য নিজেদের অর্থ ব্যয় করিয়া বিশিষ্ট আইনজীবী টমাস উইলিয়ামসকে সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার হইতে কুর্মিটোলার বিচারকক্ষে পাঠাইয়াছিলেন। … সেদিনও প্রবাসী বন্ধুরা আওয়ামীলীগের বন্যাদূর্গত সাহায্য তহবিলে ৫,৬৮০ টাকা প্রেরণ করিয়া ছিলেন। … তাহাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং তাহাদের সংগ্রামী ভূমিকার প্রতি একাত্মতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে লন্ডন যাওয়া আমি কর্তব্য বলিয়া বিবেচনা করি।” (বিলেতে বাংলার রাজনীতি / ফারুক আহমেদ, পৃষ্ঠা ১৪৩)

বিলেতপ্রবাসী বাঙালিদের সমন্বিত আরেকটি ইতিহাস স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রথম বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ। এখানেও রয়েছে বিলেতপ্রবাসী বাঙালিদের বলিষ্ঠ ভূমিকা। বিলেতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে জনমত গঠন ও ‘বাংলাদেশ ফান্ড’ তহবিল সংগ্রহে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ‘স্টিয়ারিং কমিটি অব অ্যাকশন কমিটিস’, সকল আঞ্চলিক অ্যাকশন কমিটি, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, মহিলা সমিতি ইউকে, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ইন ইউকে, অ্যাকশন বাংলাদেশ ও অপারেশন ওমেগা ইত্যাদি সংগঠন সহ দেশটির সাধারণ মানুষ।

যুদ্ধকালীন  প্রবাসী বাঙালিরা নানা প্রচেষ্টায় তহবিল সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ফান্ডে জমা করেছেন। এই তহবিল সম্পর্কে মুজিবনগর সরকারের বহির্বিশ্বমুখপাত্র বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তাঁর ‘প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি’ বইতে লিখেছেন, “এই ফান্ডের (বাংলাদেশ ফান্ড) মোট চারলাখ বারোহাজার তিরাশি পাউন্ড ছাব্বিশ পেনি আদায় হয়। তার মধ্যে মোট তিনলাখ আটাত্তরহাজার আটশ-একাত্তর পাউন্ড একুশ পেনি বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। স্বাধীনতা অর্জনের পর এই টাকাটাই বাংলাদেশ সরকারের প্রথম বৈদেশিক মুদ্রা। চেকের মাধ্যমে কয়েক দফায় দেওয়া হয়। প্রথম চেকটি গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি এই চেকটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেন। বাংলাদেশ ফান্ড অডিট রিপোর্টের সংক্ষিপ্তসার ১৯৭২ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ছাপা হয়েছিল।’’

এমন অনেক ইতিহাসের সাক্ষী বিলেতপ্রবাসী বাঙালিরা। ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে প্রথমে লন্ডনেই এসেছিলেন মুজিব। দুপুরে ক্ল্যারিজ হোটেলে জনাকীর্ণ সেই ঐতিহাসিক সংবাদ সম্মেলন। বিশ্ববাসী দেখেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরকে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিভাগের কর্মকর্তা ইয়ান সাদারল্যান্ড ছাড়া অন্য যে তিনজন বাংলাদেশি সেদিন ভোরে বঙ্গবন্ধুকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য হিথ্রো বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের একজন মহিউদ্দিন আহমদ, লন্ডনস্থ বাংলাদেশ মিশনের দ্বিতীয় সচিব যিনি ইউরোপে পাকিস্থান দুতাবাসে কর্মরত প্রথম বাঙালি কুটনীতিক প্রকাশ্য জনসভায় পাকিস্তান দুতাবাসের চাকুরি ইস্তফা দিয়ে  বাংলাদেশের সমর্থনে যুদ্ধে নেমেছিলেন। অন্য দুজনের একজন বাংলাদেশ মিশনের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রয়াত এমএম রেজাউল করিম ও মিশনের প্রেস-সচিব মহিউদ্দিন জায়গীরদার।

অবসরপ্রাপ্ত কুটনীতিক মহিউদ্দিন আহমদ তাঁর উত্তরাস্থ শিউলিতলার বাসায় শুনিয়েছেন বিলেতপ্রবাসী বাঙালিরা শেখ মুজিবের কত ভরসার ছিলেন। বিলেতপ্রবাসী বাঙালিরা জীবন দিয়ে লড়েছেন দেশের স্বাধীনতার সমর্থনে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিশ্বজনমত গঠনে বিলেতপ্রবাসী বাঙালিদের রয়েছে অনন্য অবদান। তিনি, জনাব মহিউদ্দিন আহমদ, বলেছেন — সেদিনের ঘটনাগুলো আমার স্পষ্ট মনে আছে, কারণ ৮ জানুয়ারি ভোর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত লন্ডনের ক্ল্যারিজ হোটেলে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছি; আমার জীবনের উত্তম দিনের একটি ছিল ১৯৭২-এর ৮ জানুয়ারি।”

বিলেতে বঙ্গবন্ধু ও বিলেতপ্রবাসী বাঙালিদের কাছে শেখ মুজিবের  সুখস্মৃতি চিরজাগরূক হয়ে থাকবে।


প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ ও বিলেতপ্রবাসী বাঙালিরা : কালেক্টেড ফোটোগ্র্যাফস্
কালেকশন ও সিলেকশন : উজ্জ্বল দাশ


বিগত একদশকেরও বেশি সময়ের লেগে-থাকায় বিলেতে একাত্তরকালীন বাংলাদেশ-সমর্থনকারী আন্দোলনসংগ্রামের দুর্লভ অজস্র ছবি, স্থিরচিত্র ছাড়াও অন্যান্য স্মারক সামগ্রী, সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। এই কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন অসংখ্য প্রবাসী বাঙালি। এর মধ্যে কেবল বাংলাদেশি বাঙালিই নন, অন্যান্য ভূখণ্ডের বাঙালিরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, অন্যভাষা আনভূখণ্ডের অসংখ্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি-পরিবার তো রয়েছেনই বলা বাহুল্য।

বর্তমান রচনার সঙ্গে জুড়ে-রাখা গ্যালারিতে যে-আলোকচিত্রমালা আমরা দেখব, তা মূল সংগ্রহের একাংশ মাত্র, সমগ্র সংগ্রহ সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য পৃথক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকৌশল নিয়ে কাজকর্ম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এখনও। বর্তমান ছবিগুচ্ছের সঙ্গে ক্যাপশন, সংগ্রহসূত্র ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্যাদি জুড়ে দেয়া সম্ভব হলো না বলে দুঃখ প্রকাশ করছি। সেইসঙ্গে একটি চিত্রপ্রদর্শনশালা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি বলে এইখানে কেবল জানিয়ে রাখতে চাই। সবকিছু ঠিকঠাকমতো চললে পরিকল্পিত অনলাইন প্রদর্শনশালায় যাবতীয় তথ্যপুঞ্জ প্রকাশ করা সম্ভব হবে।  — উজ্জ্বল দাশ


উজ্জ্বল দাশ। লেখক ও সাংবাদিক। উদ্যোক্তা, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ‘লন্ডন ১৯৭১’ এবং প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংগ্রাহক।

… …

উজ্জ্বল দাশ

COMMENTS

error: