দশকভিত্তিক অর্জন ও স্বকীয়তা : বাংলাদেশের কবিতার সন্ধান ও প্রশ্নজট

দশকভিত্তিক অর্জন ও স্বকীয়তা : বাংলাদেশের কবিতার সন্ধান ও প্রশ্নজট

পূর্ব পরিচ্ছেদ / লোক  দশকতামামি ১ : দশকভিত্তিক অর্জন ও স্বকীয়তা

‘লোক’-র বক্তব্য থেকে পাঠক ‘বাংলা কবিতার গতানুগতিক প্রবহমানতা’ ও নব্বইয়ে এসে এর সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানতে পায়। এই বক্তব্যের ছুতো ধরেই বলি, দশক বা যুগওয়ারী কবিতার মানচিত্রে কবির কাব্যবোধ, কাব্যাদর্শ, ভাষা-প্রকরণে নতুন স্বর সংযোজন প্রধানত বৈশ্বিক ঘটনা ও গতিবিধির ওপর নির্ভর করে। সময়ের পালাবদলে মানুষের সামাজিক জীবনে পরিবর্তন ঘটে। ব্যক্তি ও সমষ্টির জীবনধারায় পরিবর্তনের ছাপ সার্বিকভাবে কবিতার দশক-যুগ ও শতাব্দীকে নির্ধারণ করে যায়। বিগত এক শতাব্দীর বাংলা কবিতায় দশকভিত্তিক যেসব লক্ষণ ধরা পড়ে সেখানে দশকগুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপনের প্রবণতা দুর্লভ নয়, আবার ঘটনার বিচিত্র চোরাটানে পরস্পর থেকে সরে গিয়ে নিজস্ব পথ খুঁজে নেওয়ার তাড়নাও চোখে পড়ে। বিশ্বকবিতার মানচিত্র জুড়ে প্রবাহিত ভাষা-প্রকরণ ত্রিশ ও পরবর্তী প্রতিটি দশকে ছাপ রাখলেও বাংলা কবিতায় এর স্থানিক ভাষান্তরের প্রয়াস সকল দশকে কমবেশি বিদ্যমান ছিল। নব্বইপূর্ব সময়ের কবিতায় ধারাবাহিকতার ফোকর গলে যেসব তফাত এখন চোখে পড়ে তার কারণে ত্রিশের কপিক্যাট শিরোনামে দশকগুলোকে দেগে দিতে পাঠকমন সায় দেয় না। সামাজিক পালাবদল ও সময়চেতনার প্রভা অনুসারে তারা স্বতন্ত্র বৈকি!

বাংলা কবিতায় ত্রিশপরবর্তী দশকগুলোর স্বকীয়তা অনুভব করা সম্ভব যদি স্বীকার যাই কবি নিজে ভাষা সৃষ্টি করছেন না বরং সময় তাকে দিয়ে দশকি চরিত্রের সঙ্গে খাপ খায় এমন ভাষা সৃষ্টি করিয়ে নিচ্ছে। প্রশ্ন তাই ওঠে, — চল্লিশ দশকে বহমান কাব্যভাষা কি ত্রিশের অনুবর্তী ছিল? পঞ্চাশ থেকে সত্তর দশকের কালপর্বে আবির্ভূত কবিদের কাব্যাদর্শ ও ভাষা-প্রকরণে ত্রিশ ছাপ রাখলেও প্রতিটি দশকে নিহিত প্রবণতার বিচারে তাঁরা কি অভিন্ন? অথবা নতুন বাঁক ও চড়াই-উৎরাই সেখানে রয়েছে কিন্তু প্রথাগত পাঠপদ্ধতি অনুসরণের কারণে পাঠক তা আন্দাজ করে উঠতে পারছেন না? বিষয়টি উপলব্ধির খাতিরে কবি ফররুখ আহমদ-র জন্মশতবর্ষে ‘ঋতি’ ছোটকাগজে মুদ্রিত গদ্যের সম্প্রতি পরিমার্জিত অংশ থেকে উদ্ধৃতি শ্রম লাঘবে সহায় মনে করি। বাংলা কবিতায় ত্রিশের ধারাবাহিক প্রভাব সেখানে অস্বীকার যাইনি, তথাপি পরবর্তী দশকগুলো কেন গতানুগতিক ছিল না উদ্ধৃতি পাঠের পর পাঠক সেটি বিবেচনায় নেবেন আশা করি :—

…ভারতবর্ষ তথা তৎকালীন বঙ্গদেশে আমজনতার কাব্যবোধে ত্রিশ ও অনতি পরবর্তী দশকগুলোর কাব্যভাষা কৌতূহল উসকে দিলেও প্রথমে সাড়া জাগাতে পারেনি। কবিতালেখার কারিগর, তাত্ত্বিক ও ইংরেজি শিক্ষিত পাঠককে মাত্র আকৃষ্ট করতে পেরেছিল। আধুনিকতাবাদী কবিতা জীবনবাদী না কলাকৈবল্যবাদী এই মতান্তর শুরু থেকে সেখানে তীব্র ছিল। পশ্চিমে ইয়েটস, পাউন্ড, এলিয়টকে অবশ্য এমনধারা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়নি। সাহিত্যিক প্রস্তাবনা রূপে আধুনিকতাবাদ সেখানে আবির্ভূত হয় এবং সমাজ বিবর্তনের নতুন ছক তাকে প্র্রাসঙ্গিক করে তুলেছিল। ভারতবর্ষ তথা বঙ্গের অভিজ্ঞতা ছিল এর বিপরীত। ভূবর্ষের মানুষ জীবনবাদী হওয়ার কারণে ‘ব্যক্তি আমি’-র অনুভবকে বিমূর্ত নান্দনিক উদ্বেগের বিষয় করে তুলতে যেরকম সামাজিক জীবনবেদ প্রয়োজন হয় তার উপস্থিতি আজোবধি শতভাগ প্রবল হতে পারেনি। নাগরিক ও গ্রামীণ চেতনার দ্বন্দ্ব কবির পক্ষে এখানে এড়িয়ে যাওয়া কঠিন। গ্রামীণ ধারায় বিরাজিত জীবনবেদের সঙ্গে নাগরিক উদ্বেগের পার্থক্য তাকে বিব্রত রাখে। উক্ত কারণে ত্রিশপরবর্তী নগরমুখী বাংলা কবিতা ভাষা ও শৈলীর প্রয়োজনে আধুনিকতাবাদী কাব্যচেতনার দ্বারস্থ হলেও ব্যক্তিচৈতন্যে এর আত্মীকরণ ঘটানোর কাজে সফল হতে পারেনি। কল্পনা-প্রতিভার জোরে সার্থক আধুনিকতাবাদী কবিতা ত্রিশের কবিগণ হয়তো-বা লিখেছিলেন কিন্তু পরবর্তী দশকের কবিকুল সেখানে ধারাবাহিক ও কমিটেড ছিলেন না। উভয় বাংলায় পঞ্চাশ-ষাট ও পরবর্তী দশকস্রোতে প্রবহমান কবিতার গতিপ্রকৃতি সেই ইঙ্গিত রেখে যায়।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি অনন্যমাত্রিক। আল মাহমুদ, ওমর আলী, মোহাম্মদ রফিক শুধু নয়, দেশের সিংহভাগ কবি গ্রামীণ চৈতন্য হৃদয়ে ধারণ করে নাগরিক সংস্কৃতিতে গমন ও এর সঙ্গে বোঝাপড়া সারতে ব্যাকুল ছিলেন। এটি সেই আধুনিকতাবাদ ছিল না যেটি ত্রিশের দশক জুড়ে সচল বৈশ্বিক যুগপ্রভাবের কারণে কবিদের চেতনবিশ্বে প্রবল হয়ে উঠতে চাইছিল। গঠনসৌকর্য ও নান্দনিকতায় শামসুর রাহমানের কাব্যভাষায় ত্রিশের ছাপ রয়েছে সন্দেহ নেই, কিন্তু চেতনার দিক থেকে তাঁর কবিতা সেই বস্তু নয় যা বোদলেয়ার থেকে এলিয়ট অবধি কালপর্বে নিমগ্ন ত্রিশের কবিতা হৃদয়ে ধারণ করেছিল। এই ভিন্নতা দুই বাংলার কবিতার ভাষা-প্রকরণ ও কাব্যাদর্শে যেসব চিহ্ন উন্মোচিত করে তারা সংলগ্ন হলেও পরস্পর থেকে সুদূর ছিল। ঢাকা সহ বাংলাদেশের কবিকুল বিগত চার-পাঁচ দশক ধরে প্রকৃত অর্থে নাগরিক কেতা রপ্ত করলেও তাঁদের সর্বাঙ্গে গ্রামীণ বাংলাদেশের বিবর্তনের ছাপ মুছে যাওয়ার নয়। এই ছাপ সেই সময় তাঁদের জন্য দুধারী তলোয়ার হয়ে উঠেছিল। সময়ের পালাবদল ঘটায় গ্রামীণ ঐতিহ্য ও চেতনায় নিজেকে তাঁরা ধরে রাখতে পারছিলেন না, আবার নাগরিক মেজাজে অভ্যস্ত হওয়ার ফলে যেসব বৈকল্য অনিবার্য হয় সেখানে গা ভাসানোর মাঝে আত্মহননের নিশান দেখতে পাচ্ছিলেন। দ্বৈত অনুভূতির শিকার বাংলাদেশের ত্রিশপরবর্তী কবিবর্গ অগত্যা নাগরিক অভিজ্ঞতাকে আধুনিকতাবাদী পন্থায় ভাষা দিলেও বৈকল্য ও নির্বেদ সেখানে দাপটের সঙ্গে সরব হতে পারেনি যেটি ত্রিশ থেকে সত্তর দশক অবধি বিশ্বকবিতায় তীব্রতা লাভ করছিল।

ইংরেজ শাসনামলে শতাধিক বছর ভারতবর্ষের রাজধানী থাকার সুবাদে পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতা শহরের কবিগণ শহর কেন্দ্রিক জীবনধারায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় কমবেশি ত্রিশ সংলগ্ন চেতনা ও ভাষা-প্রকরণে নিজেকে ব্যক্ত করতে বাধ্য ছিলেন। কবিতায় ব্যক্তিসত্তার নির্গমন ঘটানোর প্রয়োজনে উক্ত দশকের প্রভাব উপেক্ষা করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের কবিরা শুরু থেকে ভিন্ন পথের যাত্রী ছিলেন। ব্যক্তি এখানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম ও বিবর্তনের ইতিহাসে নিজেকে সংযুক্ত রাখতে বাধ্য ছিল। অতীত ইতিহাস ও মূল্যবোধের সঙ্গে নতুনের দ্বন্দ্ব, সেইসঙ্গে জায়মান রাজনীতি ও সামাজিকতার উথাল-পাতাল স্রোতে গতিশীল বাংলাদেশের কবিতায় ব্যক্তির নির্গমনকে ত্রিশ দশকের ছাঁচে ভাবার প্রবণতা তাই সরলীকরণের ঝুঁকি রেখে যায়। ব্যক্তির জীবন এখানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের নাটকীয় ছায়ায় বেড়ে ওঠার কারণে কবির পক্ষে স্থানিক বৈশিষ্ট্য উপেক্ষা করে নির্বেদঘন আবেশে নিজেকে ডুবিয়ে রাখা পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। ত্রিশের অনুরণন অঙ্গে ধারণ করলেও বাংলাদেশের পঞ্চাশ ও পরবর্তী তিন দশকের কবিতা নিছক ব্যক্তিবৈরাগ্য ও ব্যক্তিবৈকল্যে ঘনীভূত কবিতার স্মারক নয়। বৈশ্বিক যুগপ্রভাব দ্বারা আক্রান্ত ও বিপন্ন বোধ করলেও স্থানিক স্বভাব পরিত্যাগ করে নিখিল ব্যক্তিবৈকল্যের স্রোতে সত্তার সলিল সমাধি তাঁরা ঘটাতে পারেননি। কাজেই বাংলাদেশের ত্রিশ-উত্তর পঞ্চাশ বছরের কবিতা ত্রিশের দশকে সরব আধুনিকতাবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেড়ে উঠলেও তার ভাষা-প্রকরণ ও কাব্যাদর্শ যেখানে বিরাম খুঁজে মরছিল সেটি বাঙালির চিরচেনা চিলেকোঠা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
(জন্মশতবর্ষে ফররুখ : কবির নিশান ও কবিতার প্রগতি) 

দীর্ঘ এই উদ্ধৃতির রেশ ধরে অগত্যা একথা বলাই যায়, — দশকভিত্তিক চোরাটানে সৃষ্ট বাংলাদেশের কবিতা ত্রিশের দশকে প্রবল কাব্যাদর্শের ছাপ অঙ্গে বহন করা সত্ত্বেও স্থানিকতার বিচিত্র অনুষঙ্গ সেখানে জায়গা করে নেওয়ায় ‘গতানুগতিক ধারাবাহিকতা’-য় মোটেও আবর্তিত হয়নি। কবিতার দশক নির্ভর গণ্ডিকে পাশ কাটিয়ে ত্রিশ থেকে সাম্প্রতিক অর্থাৎ সকল দশকের কবিতা পাঠ করলে পাঠক প্রতিটি দশকের কবিতায় স্বকীয় কণ্ঠস্বর খুঁজে পাবেন। ‘লোক’-র বক্তব্য এ-কারণে মনকে খানিক বিভ্রান্ত করে যায়! এই বক্তব্য পাঠের পর বিগত দশকগুলোয় জন্ম নেওয়া কাব্য পরম্পরার সঙ্গে নব্বইয়ের কবিতার সম্পর্কটি অস্পষ্ট ও দূরাতীত হয়ে ওঠে। নব্বই যেন বাংলা কবিতার পটভূমিকায় অ্যালিয়েন! নতুন যুগ জন্ম দেওয়ার তাগিদে উক্ত দশকের কবিরা ধরায় অবতরণ করেছিলেন আর এখন দশকি-ছকে নিজের স্বকীয়তা প্রমাণে তাঁরা মরিয়া বটে!

বড়ো কথা হলো একুশ শতকে পা রাখার পর জানার দায় বিশেষ অবশিষ্ট নেই কী কারণে নব্বইয়ের ব্রাত্য রাইসু (*বাংলা কবিতার আলোচকগণ কমবেশি নব্বইয়ের কাতারে ফেলে তাঁকে বিবেচনা করেন, যদিও রাইসু নিজেকে আশির কবি হিসেবে দাবি করে থাকেন।), কামরুজ্জামান কামু, আহমেদ নকীব, শিবলী মোকতাদির, মজনু শাহ, কুমার চক্রবর্তী, টোকন ঠাকুর, আলফ্রেড খোকন, আহমেদ স্বপন মাহমুদ, মোস্তাক আহমাদ দীন, মুজিব মেহদী, আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন মঞ্জু, মাহবুব কবির, শিমুল মাহমুদ, তুষার গায়েন, খলিল মজিদ, রিষিণ পরিমল, বায়েজীদ মাহবুব, বায়তুল্লাহ কাদেরী, শামীম রেজা, মুজিব ইরম ও তাঁদের সহযাত্রী কবিগণ বিগত দশকগুলোর থেকে ভিন্ন স্রোতের পথিক। মন আগ্রহী নয় খবর নিতে শামীম কবীর, চঞ্চল আশরাফ, জফির সেতু, শাহনাজ মুন্নী এবং আরো কবিগণকে অগ্রজদের সুহৃদ ভাবলে দশকি ছকে কেন গুরুতর লঙ্ঘন ঘটে যাবে। প্রজন্মান্তরে মানবসমাজে ঘটে চলা পরিবর্তনের স্রোতে কবিরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে একে অন্যের থেকে পৃথক হতে বাধ্য থাকেন, যারপরনাই পার্থক্য প্রমাণের এইসব তুলনায় গমন না করাই সমীচীন মনে হয়। কালের প্রবাহে মানুষের জীবনধারা পাল্টায়, তার অনুভূতি, চিন্তন ও দেশকাল সম্পৃক্তির প্রবণতা সময়তরঙ্গে সৃষ্ট ভাষাকে গ্রহণ করে নিজের নির্গমন খুঁজে ফিরে। সময়ের পালাবদলে নেপথ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ কুশীলবদের হরেক কিছিমের কাণ্ডকারখানার চাপ বহন কবির জন্য সেখানে অবধারিত হয়ে ওঠে। এইসব চাপ সামলে যে-কবি কালের বিচিত্র প্রবণতাকে তালুবন্দি করে নিতে পারেন তার স্বকীয়তা আপনা থেকে পাঠকের আদর কুড়ায়। ওদিকে কাজটি করতে বিফল কবি নিরুদ্দেশের গর্তে তলিয়ে যেতে থাকেন। এই বিবেচনায় প্রশ্নগুলো মনে উঁকি দিয়ে যায় :—

দশকি কবিতার নতুনত্ব ও স্বকীয়তার অনুসন্ধানে নেমে পাঠক আসলে কার পেছনে খেটে মরে? পরিপার্শ্বের ওপর সময়ের চাপ বুঝে নিতে কবি বিরচিত সংকেতঘন ইশারা কি তার সহায়ক হয় সেখানে? স্বকীয়তার বাহক কবি সত্যি নিজে কিছু লেখে কি? অথবা, সময়ের স্বয়ংক্রিয় বিচলনস্রোতে মুখ লুকানো ইশারাঘন ভাষা তাকে দিয়ে লেখায় ও পাঠকের কাছে স্বাতন্ত্র্য নিশ্চিত করায়? ভাষা যে-পথে বাঁক নিতে বাধ্য হয় সেই বাঁকের মুখে দাঁড়িয়ে কবি কি তার নিজেকে লিপিবদ্ধ করে যায়?

নব্বইয়ের কবিতার স্বকীয়তা সন্ধানে ‘কিছুটা সরবতার’ আহ্বান জানানোর ক্ষণে ‘লোক’ এইসব জিজ্ঞাসার দ্বারা তাড়িত হয়েছিলেন কি-না সে-প্রশ্নটি অগত্যা এখানে তোলা রইল।

আহমদ মিনহাজ


গানপার ম্যাগাজিনরিভিয়্যু
আহমদ মিনহাজ রচনারাশি
নব্বইয়ের কবি, নব্বইয়ের কবিতা
আশির দশকের কবি, আশির দশকের কবিতা

COMMENTS

error: