প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙে ছয়টার অ্যালার্মে; তারপর! ব্ব্যস, শুরু হয়ে যায় যার যার নিজ লড়াইয়ের আলাপ। কেউ ফন্দিতে, কেউ ধান্ধায়। কেউ উঁচু বিল্ডিঙের ছাদ থেকে আরো উঁচুতে ওঠার আশায়! কেউ-বা নামতে নামতে এত নিচে নেমে গেছে যে তার আর ওঠার ইচ্ছে নেই! কিংবা মনে করো দম নেই ফ্যালার সুযোগ। সময় নেই নিজেকে দেবার। মনো করো শরীরটা হয়ে গেছে চর্কি … মানে, কেমেস্ট্রিটা যে ধরে ফেলেছে সিনা, কারিশমা সহ পুরো বাংলাফাইভ, তা কনফার্ম! কেননা কানে যখন ধেয়ে আসে সেই একই বাজারের লিস্ট, মাসশেষে বেতন, ক’টা টাকা সেইভের লাইফ। ঠিক তখনই দৃশ্যের ভিতর ডুব দিতে বাধ্য করা হয়। রাতের অন্ধকার ভেদ করে সেই ফেলে-আসা চর্কি আমাদের বেঁধে রাখে তার সুতায়। আর এ-সুতায় এমনি মাঞ্জা দেয়া, তাকালেও চোখ কেটে যেতে পারে। এইকালে মনে পড়ে দালি-র সেই বিখ্যাত ‘আসেন্দেল্যু’-র (ফরাশি নাম, আমার উচ্চারণে) চোখ কেটে নেয়ার সে-গল্প। সে-ধার এতই তীব্র যার বাইরে হাঁটার রাস্তাটিও বন্ধ। ভিজ্যুয়ালে কারিশমা তার কারিশমা দেখিয়েছে এক আল্ট্রা-ওয়ার্ল্ডের অচেনা মানুষদের দিয়ে। যারা বহুরূপী। কারো মাথায় আটকে গেছে সুর, আবার কারো মাথা ঠোঙা দিয়ে মোড়ানো। কিন্তু সেই চর্কি কোনোভাবেই মুক্তি দেয় না বেঁধে-থাকা ব্যস্ত মানুষকে। তবু রাত আসে। ঘড়িতে অ্যালার্ম দেওয়ার সময় হয়। আরেকটি বিষণ্নতা বুকে চেপে ঘুমোবার আয়োজনকালে যদি দেখি মস্ত এক চাঁদ উঠে রাতটাকে করছে আরো আলোকময়, মুক্তির সংকেত নিয়ে সবুজ ঘাসের উপর ছড়িয়ে দিচ্ছে কিছু প্রাণের সঞ্চার! চাঁদ এসে প্রত্যেকের ভিতর থেকে ব্যস্ত সময়টুকু নিংড়ে নিয়ে এমন এক আনন্দের জগতে ফেলে, যা ভাবনারও অতীত … মনে করো চাঁদ এসে কেড়ে নিলো আমাদের ব্যস্ত সময় … গানটি শেষ হয়েও হয় না। যেমনি তার কথা ও সুরের টানে ঠিক তেমনি করেই ম্যাজিক্যাল ভিজ্যুয়ালের উপস্থিতিতে। গানটি শেষ হবে কিন্তু মাথার ভেতর থামবে না চর্কিচক্র!
… …
- চাঁদ না চর্কি? তর্কে না গিয়ে হাইফাইভ, বাংলাফাইভ! || অনুপ আইচ - February 7, 2019
COMMENTS