সরকার নিয়া আলোচনার প্রয়োজনীয়তা || আহমদ মিনহাজ

সরকার নিয়া আলোচনার প্রয়োজনীয়তা || আহমদ মিনহাজ

যতীন সরকারের বইগুলা নিয়া আলোচনার ভিত্তিতে একটা সামগ্রিক মূল্যায়নমূলক সংকলন সম্পাদনার কাজটি হাতে নেওয়ার জন্য সরোজ মোস্তফাকে সালাম (সংকলনটি যন্ত্রস্থ)। যতীন সরকার এইটা ডিজার্ভ করেন। যেমনটা ডিজার্ভ করেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুদ্দীন উমর, আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রমুখ। ডিজার্ভ করতেন বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। উনাকে নিয়া জীবদ্দশায় ও এন্তেকালের পরে বিশেষ কোনো আয়োজন আমার অজানা। সৈয়দ শামসুল হক হৃৎকলমের টানে  শিরোনামে যে-গদ্যগুলা লিখতেন, তার কোনো এক পর্বে বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের ভাষাপ্যাটার্ন নিয়া লিখসিলেন। হকের বীক্ষণ মোতাবেক খানসাহেবের লেখায় ভাষাগ্রাফ সাবজেক্ট অনুসারে অনায়াস উঠানামায় স্বচ্ছন্দ ছিল। রাষ্ট্র বা এই টাইপের গুরুগম্ভীর বিষয়ে লিখতে বসলে ভাষার গাঁথুনিতে পোড়-খাওয়া কোনো অ্যাকাডেমিশিয়ান উঁকি দিতেসেন মনে হইত। তুলানামূলক ভারী বা ওজনদার শব্দ বেছে নিতেন তখন। বাক্যের গাঁথুনিতে প্যাঁচ মেরে দিতেন খানসাহেব। একই মানুষ চিত্রকলা কিংবা সাহিত্য নিয়া লেখার সময় ভাষার ছাঁদ মোলায়েম আর সরল মনে হইত। তা-বলে চিন্তামনস্কতায় খামতি থাকত না। সৈয়দ হক, স্মৃতি যদি প্রতারণা না করে, গল্প বয়ানে বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের কুশলতার কথা ইয়াদ করতে ভোলেন নাই। গল্প লেখার হাত ছিল কিন্তু ওই শাখায় নিজেকে ধারাবাহিক করেন নাই বেশিদিন। মেঘনা  গল্পটি একসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত বিএ  ক্লাসে পাঠ্য ছিল। সৈয়দ আলী আহসান উক্ত সংকলনটি সম্পাদনা করেছিলেন সম্ভবত।

সৈয়দ আলী আহসানের নাম ওঠায় মনে পড়ল নতুন প্রজন্মের কাছে উনি এখন বিস্মৃত প্রায়! একটা সময় উনার লেখা আমরা গোগ্রাসে গলাধঃকরণ করতাম। প্রচুর লিখতেন। ঘোলাটে ও বিতর্কিত রাজনৈতিক অবস্থান কিংবা পাল্টিবাজি যা-ই বলি না কেন, ওইটার কারণে বিতর্কিত ছিলেন, তা-সত্ত্বেও টেলিভিশনের পর্দা আর পত্রিকার পাতায় বিচিত্র বিষয়ে উনার স্বচ্ছন্দে কথা বলা ও লেখার সহজ পটুত্ব এখনো চোখে ভাসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হুমায়ুন আজাদের বদলির ব্যাপারে আলী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখসিলেন। আজাদ সেজন্য উনাকে ধন্যবাদ দিতে কৃপণতা করেন নাই। এক সাক্ষাৎকারে আলীর বেশ কিছু গুণের কথাও স্বীকার করসিলেন আজাদ। অন্যদিকে সৈয়দ আলী আহসানের প্রতিক্রিয়াশীল অবস্থান আর বাক্যগঠনে ক্রিয়াপদের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি বিষয়ে হুমায়ুন আজাদ সদা কুঠার হানতেন। যা-ই হোক, ভালোমন্দ বিষয়গুলা আদতে আপেক্ষিক। ব্যক্তিরুচি ও ভাবনার তরিকাভেদে তারা ভিন্ন হয়। এক-একজনের কাছে এক-একরকম হইতে থাকে। বাংলা সাহিত্য ও মননশীলতা চর্চায় সৈয়দ আলী আহসানের অবদানকে ওই জায়গা থেকে বিবেচনা করা প্রয়োজন। ভালোমন্দ উভয় দিক উঠে আসুক-না সেখানে। তাতে সমস্যা বা বিব্রত হওয়ার কিছু আছে বলে মনে হয় না। উনাকে নিয়া আয়োজন হইতে পারে এবং হওয়া উচিত।

হুমায়ুন আজাদ, আহমদ ছফা ও ফরহাদ মজহারকে নিয়া ছোটকাগজ এবং অনলাইন সাহিত্য পত্রিকায় সংখ্যা হইতে পারে। উনারা পাদপ্রদীপে আছেন যদিও, তথাপি আমাদের বিদ্যাচর্চা, মননশীল ভাবনার গঠন ও সেখানে সক্রিয় আন্তঃসংঘাত ঠার করতে পরম প্রাসঙ্গিক। তালিকায় অধুনা বিস্মৃত অথবা এই মুহূর্তে নাম ইয়াদ হইতেসে না এ-রকম অনেকে আছেন। নাট্যজন সাঈদ আহমদকে আমরা তো একপ্রকার ইয়াদ করতে ভুলে গেছি! বিটিভিতে উনার বিশ্বনাটক  অনুষ্ঠানটি মিস করতে মন চাইত না। পঁচিশ-ত্রিশ মিনিট এমনকি ৪৫ মিনিট সময় নিয়া উনাকে বক্তব্য রাখতে দেখসি। নাটক শুরু হওয়ার আগের গৌরচন্দ্রিকা মূল নাটকের চেয়ে অধিক মন টানত তখন। দর্শককে দিব্যি কথার জালে বেঁধে রাখতেন সাঈদ। বোরিং ভাবার চান্স বিশেষ দিতেন না।

বিটিভিতে বিশ্বনাটক  টাইপের অনুষ্ঠান এখন আকাশকুসুম কল্পনা! সাঈদ আহমদকে নিয়া ওই সময়কার ইন্টারভিউগুলায় বিশ্বসাহিত্য ও নাট্যআঙ্গিকের বিবর্তন বিষয়ে নিজভাবনা ও দৃষ্টিকোণ দপদপ করতে দেখসি। পড়াশোনাজানা মানুষটিকে খোদ মঞ্চনাটকের সঙ্গে জড়িতদের ইদানীং ইয়াদ করতে দেখি না! আরেক নাট্যজন্য সেলিম আল দীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একদা যারা ছিলেন বা এখন আছেন উনাদের কল্যাণে মাঝেমধ্যে তাঁকে স্মরণ হইতে দেখি কিন্তু উনার উত্তরআধুনিক নাট্যভাবনা ও আমাদের নিজস্ব নাট্যপ্রণালির শিকড়বাকড় সন্ধানের অনুসন্ধিৎসাকে এনক্যাশ করে বড়ো কাজের খবর কানে আসে নাই। তাঁকে নিয়া জাহাঙ্গীরনগর থেকে তো সংখ্যা বের করা যাইত। হয়তো বের হইসে কিন্তু আমার জানা নাই।

মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র আর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের জনযুদ্ধ … গোটা কালপর্ব জুড়ে হাসান হাফিজুর রহমানের ভূমিকা পুনরায় পাখির-চোখ করা প্রয়োজন ছিল। সদর্থক অর্থে ওইটা করা যাইত। আজকের ঘোলাটে পরিবেশ যেখানে নিত্যনতুন ডিসকোর্স পয়দা হইতেসে, তো ওই জায়গা থেকে দলিলপত্র সম্পাদনা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে উনার সম্পৃক্তির তাৎপর্য পুনর্বিবেচনা করা উচিত। হাসানের সঙ্গে ওই সময়পর্বে আরো যারা অবদান রাখলেন, সকলকে একত্রে জুড়ে কাজটি করার সময় এখনো উত্তীর্ণ হয় নাই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়া যারা গবেষণায় লিপ্ত উনাদের সুযোগ আছে কাজে নামার।

বাংলা সাহিত্যের গবেষণা ও বিদগদ্ধতায় আহমদ শরীফ, মুহম্মদ এনামুল হক, আনিসুজ্জামানকে একত্রে জুড়ে আলোচনার নতুন পরিসর তৈরি করা জরুরি। যেমন জরুরি, কাজী আব্দুল ওদুদ সহ শিখাগোষ্ঠীর পুরোধা সৈনিকদের পাদপ্রদীপে নিয়ে আসা। সেকালের মুসলমানসমাজে উনারা যে-পরিবর্তন নিয়ে আসতে উতলা ছিলেন তার ভালোমন্দ অভিঘাত সম্পর্কে অনুসন্ধানী আলাপ কদাচিৎ চোখে পড়ে। উপনিবেশপূর্ব-ও-পরবর্তী ডিসকোর্সে একজন ওদুদ, কাজী মোতাহার হোসেন বা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লার ভূমিকা কেন শক্ত শিকড় গাড়তে পারে নাই, চিন্তাবয়ানের পন্থায় মুসলমান সমাজের মনকে উনারা কীভাবে পাঠ করতেন ইত্যাদিকে প্রাসঙ্গিক করা যাইতে পারে। এই সুবাদে সরদার ফজলুল করিম অবধারিত হবেন। স্বপনদা (লোকবৃত্তসম্পাদক স্বপন নাথ) উনাকে নিয়ে সংখ্যা করার কথা ভাবতেসেন। হাওর   নিয়ে উনার কাজটি (লোকবৃত্ত  হাওর সংখ্যা, যন্ত্রস্থ) এখনো শেষ হয় নাই। লেখা ঝাড়াবাছাই চলতেসে। তার মধ্যে সরদারকে নিয়া সংখ্যার প্রয়োজনীয়তা উনি ফিল করতেসেন। ভালো উদ্যোগ।

সরদার ফজলুল করিম বিবিধ কারণে প্রাসঙ্গিক। বাংলায় অ্যাকাডেমিক সার্কেলে দর্শনচর্চার ইতিহাস কখনো শক্ত মাটি পায় নাই। গোবিন্দ চন্দ্র দেব বা এ-রকম বিচ্ছিন্ন দু-একজন ছাড়া দর্শন বিষয়ক সমস্যা নিয়ে আলোচনার ধারাই দেশে গড়ে ওঠেনি। ঘরানা বা স্কুলিং তো দূর কী বাত! আমাদের যেটুকু দার্শনিকতা তার ষোলোআনা লোকায়ত বিশ্ব থেকে আসা ভাববাদে একীভূত। ভারত মহাদেশে বৈদিক দর্শনের শিকড় ধর্মচর্চাসূত্রে যতটুকুন নিতে হয় আমরা নিয়েছি। তার বাইরে ভাববাদ, বস্তুবাদ ছাড়াও রাষ্ট্রচিন্তার জায়গা হইতে পল্লবিত দার্শনিক ভাষা-পরিভাষার অভিজ্ঞতা সীমিত। গভীর শিকড় ছাড়তে পারে নাই। সরদার ফজলুল করিমের প্লেটো, অ্যারিস্টোটল, রুশোচর্চা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যাচর্চার পরিধি বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে কথালাপ পৃথক মূল্য ধরে। সুতরাং উনাকে নিয়া কাজে নামার প্রাসঙ্গিকতা আছে মনে করি।

সারাজীবন একপ্রকার পাদপ্রদীপের আলোয় থেকেও সেখান হইতে নির্বাসিত আবদুল হক-র লেখার ধার এবং গভীরতা বিষয়ে একালের পাঠককে পরিচিত করানোর তাগিদ আজো পরিলক্ষিত হইতে দেখি না! সৈয়দ আকরম হোসেন বা শান্তনু কায়সারের মতো লিখিয়েদের সামনে আনতে সমস্যা কোথায়? রবীন্দ্রনাথ ও ওয়ালীউল্লাহকে নিয়া আকরম হোসেন নিরবিচ্ছিন্ন ছিলেন দীর্ঘদিন। এইটা নিয়া পর্যালোচনা হইতে পারে। শান্তনু কায়সার বড়ো আকারে সামগ্রিক কোনো কাজে লিপ্ত থাকেন নাই কিন্তু বিচ্ছিন্ন যেসব কাজ সেইখানে ভাবরস মজুদ বৈকি।

এ-রকম আরো নাম নেওয়া যাইতে পারে। উনাদের সবাইকে ক্রমান্বয়ে এক মলাটে আনতে পারলে বাংলার মননশীলতাচর্চার পটভূমি, তার ধারাবাহিকতা এবং বিচ্ছেদ, তার নানামুখিন দারিদ্র্য ও সম্ভাবনা, এবং অকালমৃত্যুর কার্যকারণ সম্পর্কে ধারণা খোলাসা হইতে পারে। আলোচনা সত্যি প্রয়োজন। অন্যথায় সলিমুল্লাহ খানের হাতে উনাদের গালে চড়থাপ্পড় যেভাবে বর্ষিত হইতেসে, যেভাবে উনি অনায়াস বাংলাদেশের মননচর্চার বনেদে সবাইকে বাতিল করে ছফা এবং উনার বেদিতলে বসার ছলে কার্যত নিজেকে অদ্বিতীয় প্রমাণের মিশনে নিয়োজিত এখন, উনার এই বিরক্তিকর আত্মকামী বাতিক থেকে জাতির নিস্তারলাভ কঠিন হবে। সুতরাং সরোজ মোস্তফার উদ্যোগকে স্বাগতম।

যতীন সরকারকে নিয়া লিখতে আপত্তি নাই বিশেষ। সমস্যা একটাই সেখানে, উনার লেখাপত্তর বরাবর সাহিত্যকাগজ ও পত্রপত্রিকায় পড়ে আমরা অভ্যস্ত ছিলাম। কিতাবের কথা যদি ওঠে তাহলে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম-মৃত্যু দর্শন-র নাম নিতেই হবে। কিতাবখানা একাধারে উনার মেমোয়ার এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন ও পাকিস্তান থেকে তার বিচ্ছেদের ট্রাজিক কার্যকারণ অবধানের চাবি। যতীন সরকার যে-রাজনীতি ও মানবিকতার জায়গা থেকে দেশকে নিজের দিলে ধারণ করলেন এবং সেখানে উনার এই ডিনামিক্সটি কেন মুখ থুবড়ে পড়ল ইত্যাদি ঠার করতে হলে বইটি হাতে না নিয়া উপায় নাই। খুব ভালো আলোচনা বইখানা ডিজার্ভ করে। বিশেষ করে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের যে-বিবর্তন এখানে একসময় ঘটসে, ওই কালপর্বের সাক্ষীস্বরূপ যারা এখনো বেঁচে আছেন উনাদের দিয়া যতীনের বইখানার আলোচনা করানো যাইতে পারে। এই কিতাব উনাদেরকে আত্মসমালোচনার মুকুরে দাঁড় করাবে মনে হয়। আফসোস, হায়দায় আকবর খান রনো সদ্য বিদায় নিলেন! সরোজ যদি উনাকে দিয়া আগে লিখাইতে বা বইটার বিষয়ে স্ট্যাটমেন্ট সংগ্রহ করতে পারতেন তাহলে কাজের কাজ হইত। সুতরাং এই বইটা নিয়া একাধিক আলোচনার অন্তুর্ভুক্তিতে ক্ষতির কারণ দেখি না।

আরেকটা বই বাঙালীর সমাজতান্ত্রিক ঐতিহ্য   কিতাবখানার কথা জানি। উনার রচনাসংগ্রহের প্রথম বা দ্বিতীয় ভলিউমে ছিল বোধহয়। যা-ই হোক, যতীন সরকারকে নিয়া লেখার সামর্থ্য রাখি কি না সে-ব্যাপারটায় অধম সন্দিহান। অনেকদিন তাঁর কিতাব বা লেখাপত্তরে চোখ রাখার মওকা জোটে নাই। স্মৃতি থেকে ছুটে যাচ্ছে সব! সময় যদি পাই আর এর সঙ্গে লেখার জন্য প্রয়োজনীয় প্রেরণাটুকু জুটাইতে পারি কোনোভাবে সেইক্ষেত্রে লেখার কসরতে আশা করি নামতে পারব। কী দাঁড়াবে বলা কঠিন। তাঁর মতো লোক, যিনি আজীবন প্রান্তিকে থেকে জনপদকে নিজমুকুরে অবলোকন করলেন, যেখানে আত্মউপলব্ধি ও আত্মসমালোচনা দুটোই সুলভ থাকতে দেখসি আমরা, এমন একজন জৈবভাবুককে নিয়া লেখা আনন্দের।

সলিমুল্লাহ খান বিষয়ে লেখা জাতীয় প্রয়োজন মিটাইতে পারে তবে সেইখানে আনন্দের স্থান বড়ো একটা নাই। বিরক্তি ও ক্লান্তির অবকাশ বরং বিলক্ষণ রহিয়াছে। উনি ফরহাদ মজহার না যে মন কাড়বেন। মজহারকে আপনি সমালোচনার হুল ফুটাইতে বাধ্য হবেন জায়গায়-জায়গায়, মনে প্রশ্ন ও অস্বস্তি ব্যাপক থাকবে কিন্তু ইগনোর করতে পারবেন না। ডিনাই হয়তো করবেন কিন্তু সেখানে উনার চিন্তামনস্কতার বনেদ আপনাকে বারবার নাড়া দিয়া যাবে। সলিমুল্লাহ খান এদিক থেকে নিরস। পেটভরতি বিদ্যা গিজগিজ করতেসে, যার মধ্যে স্বকীয়তা দূরবিন দিয়া খুঁজতে হয়। যতীন সরকার অবশ্য ফ্রেমবন্দি কোনো ভাবুক না। ওই চশমা পরে তাঁকে নিরিখ করার প্রয়োজন নাই। ট্রিবিউট বা যা-ই বলি ওইটা জানানোয় আনন্দ মনে কাজ করে।


তাৎক্ষণিকামালা
আহমদ মিনহাজ রচনারাশি

Support us with a click. Your click helps our cause. Thank you!

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you