আমার মেমোরির বেশি অংশ জুড়ে একটা সাউন্ড, বৃষ্টির সাউন্ড, দেখি যে একটা কাফেলায় যাচ্ছি আমি আর আমাদের ক্যারাভ্যানের ছাতের উপর উপর্যুপরি বৃষ্টি পড়ছে এবং এই বৃষ্টিপাতের সাউন্ডটাই স্মৃতি জুড়ে রেখেছে একচেটিয়া।
আমি আমার ছোটবেলা থেকেই আশ্চর্যভাবে সেল্ফসাফিশিয়েন্ট। এমনকি আমি আমার আম্মার কাছ থেকেও পয়সা ধার নেই নাই কোনোদিন। ছোটবেলাও নেই নাই, বড় হয়ে তো না-ই।
ডিজনি ক্যারেক্টার উইনি দ্য প্যু আমি ভীষণ ভালোবাসতাম। তার তীক্ষ্ণ রসবোধ আর তার মানবিক উষ্ণতা।
যে-ছবিগুলায় আমি নিজে অভিনয় করি সেইগুলা আবার নিজে দেখা আমার জন্যে একটু অড। বিশেষভাবে এইটা আরও অড যখন তা দেখতে হয় প্রেক্ষাগৃহে বেগানা লোকেদের লগে বসে পয়লা স্ক্রিনিঙের সময়। নিজের ভুলগুলা না দেখে তো উপায় থাকে না, নিজের অভিনয়-করা ম্যুভিগুলায় নিজের গলতিগুলা চোখে পড়েই যায় স্ক্রিন থেকে চোখ সরায়ে রাখলেও, আর এইটা মারাত্মক অস্বস্তিকর নিজের ভুল ধরতে ধরতে দেখতে থাকা আস্ত একটা সিনেমা।
একজোড়া কাউবয় ব্যুট খরিদ করতে যেয়ে খরচ হয়ে গেছিল ‘নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন’ সিনেমায় আমার পারিশ্রমিকের প্রায় পুরাটাই। কিন্তু ব্যুটজোড়া ভারি রিডিকিউলাস। মনে হয় যেন দুই পায়ে দুইটা গাছ পরে আছি, ক্রিস্ম্যাসের গাছ।
দাঁত খিলানের সময় মাঝে মাঝে আমি আঙুলের নখ লাগাই টুথপিকের মতো। অভ্যাসটা ন্যাস্টি।
দুইটা জায়গারেই নিজের বাড়ি বলে মনে হয় আমার, গ্ল্যাস্গো এবং নিউ ইয়র্ক। দুইটা জায়গাই আমারে হ্যাপি করে। সেইসঙ্গে প্যারিসরেও কম ভালোবাসি না কিন্তু!
নিউ মেক্সিকো অদ্ভুত একটা জায়গা। এইখানে লোকেশন পড়লেই মনে হয় যেন মঙ্গলগ্রহে অভিনয় করছি।
বাচ্চা নেবার পরে অ্যাক্টিং জিনিশটা আগের মতো আমায় আর টানবে না ভাবতাম। কিন্তু সত্যি হচ্ছে যে এখনও অভিনয়টা আমি উপভোগই করি।
সেটে গেলেই নিজেরে খুবই বিব্রত অসহায় লাগে। হিমে জমে যাই আমি। শরীরে কাপড়চোপড় আছে ঠিকই কিন্তু ভিতরে ভিতরে আমি শীতে হি হি করছি, সেটে গেলেই ফিলিংটা আমার হয়।
যা-কিছু করি না কেন উপভোগ করি প্রোপার্লি। কিন্তু এই কথাটাও মনে রাখি যে এইগুলা তো আর ব্রেইন সার্জারি নয়, এত সিরিয়াস হবার কিছু নাই।
চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ
… …
- লোককবি তাজউদ্দিন ও তাঁর গান || জফির সেতু - November 25, 2025
- শাহজালাল শাহপরান গ্রামবাঙলায় গাজির গান || তুহিন কান্তি দাস - November 22, 2025
- আমাদের গ্রামের নাম আমাদের নদীর || কাজল দাস - November 19, 2025

COMMENTS