কেইটের কথাবাত্রা (৫)

কেইটের কথাবাত্রা (৫)

কার প্রেমে পড়বা, আগে থেকে এইটা তো তুমি বলতে পারবা না। আর এইটা তো তুমি নিজে থেকে বেছেবুছে করতে পারবা, তাও তো না, তাই না?

উচ্চারণের দিক দিয়া আমি বরাবরই ভালো ছিলাম, স্বচ্ছন্দ ছিলাম। বরাবরই আমার কানটা ভালো, মনোযোগী, শুনতে আগ্রহী ছিল। বয়স যখন তেরো, তখন থেকেই আমি বিস্তর ভোয়েস-ওভারের কাজ করে আসছি বিদেশি সিনেমার ডাবিং ইত্যাদির মাধ্যমে।

যারে কয় মেয়েলি মেয়ে, সেইরকম আমি ছিলাম না আদতে কোনোদিনই।

যেসব ম্যাগাজিনে আমারে নিয়া আর্টিক্যল ছাপা হয়, সেইগুলা আমার আর পড়া হয় না। আমারে নিয়া কাভারস্টোরি-করা ম্যাগাজিনগুলা আমার কখনোই পড়ে দেখা হয় না, আমার এই হ্যাবিটটা হারাম নাই।

ক্যারিয়ারের একটা পয়েন্টে এসে যখন আপনার সন্তান আপনারে বলে যে, আম্মু, তুমি অমুক সিনেমায় নেক্সট টাইম অভিনয় কইরো, ওইটা দেখার লিগা আমার বন্ধুরা পাগল হয়া থাকে, এই পর্যায়টা ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সুন্দর সময়।

সতেরো বছর বয়সে পিটার জ্যাকসন তার ‘হ্যাভেনলি ক্রিচার’ সিনেমায় নেন আমারে।

প্রায়ই দেখি যে লোকে মনে করে ব্রিটিশেরা, মানে ব্রিটিশ অ্যাক্টরেরা, রাইতে যেমন আমরা ঘুমাইতে যাই বেডে তেমনি করে শেইক্সপিয়্যর আর তার স্যনেটগুলা পড়ে রোজ রোজ, আসলে যেভাবে মনে করা হয় ব্রিটিশ অ্যাক্টরেরা ব্যাপকভাবে শেইক্সপিয়্যরের লগে ফ্যামিলিয়ার, ব্যাপারটা আসলে তেমন তো না।

মা হবার আগে আমি বিকিনি পরে ছবি তোলার কথা ভাবলেই হিম হয়ে যেতাম।

আমি শাদিবিশ্বাসী। বিবাহে বিশ্বাস করি আমি।

কোনো অভিনয়শিল্পীই চায় না আরেক অভিনয়কারীর মতো পার্ফোর্ম করতে।

আমার স্বামীর লগে আমার পয়লা মুলাকাত হয় একটা গৃহদাহের সময়। একটা বাড়িতে সত্যি সত্যি আগুন লেগেছিল, আর ওইখানেই উভয়েতে দেখাদেখি পয়লা।

আসল কথাটা হচ্ছে গিয়ে যে সিনেমা বানানির রাজনীতিটা হচ্ছে এমন এক জিনিশ যা নিয়া অ্যাক্টররা আলহামদুলিল্লা আজও অজ্ঞ। ব্যাপারটা অ্যাক্টিঙের জন্য খুবই বিউটিফ্যুল ব্যাপার।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

পড়ুন: 

কেইটের কথাবাত্রা (৬)

COMMENTS

error: