জুলিয়ার বাতচিত

জুলিয়ার বাতচিত

প্রকৃত ভালোবাসা বাইরে থেকে এসে তোমার ভিতরে ঢুকবে এমনটা ভাবা ভুল। প্রকৃত ভালোবাসা তোমার ভিতরেই আছে।

দুইজন মানুষ পরস্পর হৃদয়সংযুক্ত, মনেপ্রাণে এইটাই বিশ্বাস করি আমি। এখন এইটা ব্যাপারই না যে কই থাকো তুমি বা কি করো অথবা কে তুমি কি বিত্তান্ত তোমার বংশগোত্রের। দুইজন মানুষ যদি মিলতেই চায় একান্ত পরস্পর তবে দেয়াল হতে পারে না দুনিয়ার কিছুই।

আমার চুলের রঙ জন্মাবধি ঘন সোনালি। কিন্তু এখন আমার চুলের স্থিরনির্দিষ্ট কোনো রঙ নাই, আছে ভাবরঙ, ভাব বুঝে এখন আমার চুলের রঙ পাল্টাই।

ভালো যদি বাসো তবে এক্ষুনি বলো, অযথাই দিরং না করো, বলো গলা ছেড়ে, দুনিয়াকে শুনিয়ে ঘোষণা দাও তোমার ভালোবাসার, বলো তারে বাসো তুমি ভালো যারে, এর অন্যথা হলে তুমি আফসোসে মিসমার হবে, হারাবে সুযোগ, ছেড়ে যাবে ভালোবাসার রথ তোমায় পেছনে ফেলে তোমারই পাশ ঘেঁষে।

কেবল একজন মহান শিক্ষক থাকলেই জীবন সফল হবে, এই বিবৃতির উল্টাটাও সত্য। মানে, যেইটা আমার যুক্তি তা হচ্ছে, অনেকসময় শিক্ষক না থাকাও হতে পারে আপনার সাফল্যের পথদিশা। আপনি নিজে হাতড়ে পেয়ে যাবেন পথ। নয়া রাস্তা। পাব্লিকের হাততালিই শুধু নয়, মানুষের উপেক্ষাও হতে পারে আপনার আগাইবার মন্ত্র।

খুব ঘনঘন গোস্বা হই না আমি। মিজাজ আমি দেখাই কদাচিৎ। আর যখন মিজাজ দেখাই, গোস্বা যখন হই, কিছু না কিছু কারণ তো থাকেই সেই রাগের পিছনে দায়ী। এমনিতে দেখবেন আমি কিন্তু লঘু খুশিফুর্তির হাওয়ায় বাঁচতে চাই। জিন্দেগি জিনিশটা আমি একটা আনন্দধাম হিশেবেই দেখি।

আমি রান্নাবাড়া ভালোবাসি। আমি ভালোবাসি ডিনারটেবিলে ফ্যামিলির সব্বাইকে নিয়ে গোল হয়ে ঘিরে হৈচৈ-কাড়াকাড়ি করে খেতে।

এইটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ এবং সম্মানের যে ফ্যামিলির সবার মুখের আহারটা আমি তিনবেলা রানতে পারছি। বিলাসিতাও বলতে পারেন এক অর্থে যে এই জিনিশটা মাঝেমধ্যে একটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায় আমার ক্ষেত্রে এবং দেখা যায় দিনদুনিয়া ভুলে একটানা কয়েকদিন আমি খালি রান্নাই করছি আর সবাইকে টেবিলে ডাকছি। নিজের ফ্যামিলির যত্নআত্তি কিভাবে করছেন এইটা নিয়া আপনি কিছুটা বড়াই যদি করেও বসেন তাতে এমন লজ্জার কিছু নাই।

কারো সঙ্গে সেক্সকালীন আমায় ভান করতে হয় না। কারণ আমি হচ্ছি শৃঙ্গারসম্রাজ্ঞীর মতো, পরিশ্রমেই তৃপ্তি থিয়োরিতে আস্থা রাখি সবসময়।

তুষারশুভ্র বা বরফশাদা ইত্যাদি জিনিশগুলা আসলে একেকটা আদ্দিকালের রদ্দি গল্প। অতএব যৌবনের যে শুভ্রসমুজ্জ্বল ধারণা তা আগাগোড়া প্রাচীন একটা ব্যাপার এবং যৌবন নিয়া যাবতীয় যত জয়গাথা বারফট্টাই তা সমস্তই আদ্দিকালের রদ্দি গল্প বলতে দ্বিধা নাই। বিজ্ঞান আমাদেরে এখন দেখায়ে দিতেসে এই বস্তাবন্দি পুরানা কাহিনিগল্পগুলো অবিলম্বেই হিমাগারে যেতে দিতে হবে; এখনকার তরুণেরা পারলে রোজই তাদের চেহারা কালার চুল নাক থুৎনি চেইঞ্জ করে। এইটা আরেক যন্ত্রণা অবশ্য।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

বিদিতা গোমেজ

পরের পোষ্ট
আগের পোষ্ট

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you