ওয়ারফেজ নিয়ে একে একে তিন-তিনটে ডিকেইড পার করেছেন টিপু, পুরা নাম শেখ মনিরুল আলম টিপু, বছর দুয়েকের মধ্যে হয়ে যাবে চতুর্থ দশক পূর্ণ। যদিও সংগীতলিপ্ত তিনি এরও আগে থেকে, বেশকিছু দলের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে তাকে স্টেজে-অ্যালবামে বাজাতে, যেমন নব্বইয়ের জনপ্রিয় উইনিং ব্যান্ডে টিপুর রয়েছে একটা উল্লেখযোগ্য কন্ট্রিবিউশন। নব্বইয়ের দশকের গোড়া থেকে এ-যাবৎ বাংলাদেশের ব্যান্ডসিনে, দেশের অডিয়োইন্ডাস্ট্রিতে, একাগ্রচিত্তে যে-কয়জন মিউজিশিয়্যান মগ্ন রয়েছেন শ্রমে এবং প্রেমে — শেখ মনিরুল আলম টিপু তাদের একজন।
গোলকিপারের যা কাজ বা দায়িত্ব ফুটবলখেলায়, একজন ড্রামারের দায়িত্ব বা কাজ ঠিক তা-ই একটা ব্যান্ডে — এমন একটা কথা সর্বজনবিদিত। ওয়ারফেজের জন্মলগ্ন থেকেই, প্রায়, টিপু লিড দিয়ে চলেছেন ব্যান্ডটিকে। এরই মধ্যে বেরিয়েছে সাতটিরও অধিক স্টুডিয়োঅ্যালবাম। বহুবার ব্যান্ডের লাইনাপে রদবদল সত্ত্বেও ওয়ারফেজ এখনও প্রথম বছরের মতো সক্রিয় সমুজ্জ্বল মঞ্চে এবং অ্যালবামে, — কেবল এই নিরঙ্কুশ নেতৃত্বগুণে। এবং শুধু দলের একক সংকলন নয়, ওয়ারফেজজের অনেক গান ছড়িয়ে আছে মিক্সড অডিয়োঅ্যান্থোলোজিগুলোতে। অ্যানিওয়ে। একটা দারুণ ব্যাপার দেখলাম এই নিবন্ধ পুনর্লিখন করতে যেয়ে, শেখ মনিরুল আলম টিপু গ্রোয়িং দিনগুলায় খেলতেন গোলকিপারের ভূমিকায়, স্বীয় অগ্রজের পদাঙ্ক অনুসরণ করে একদম ক্লাবফুটবলে প্র্যাক্টিস করেছেন গৌলি হিশেবে। অ্যাম্যাইজিং।
এইটা আমাদের ইয়াদ হবে যে ছেলেবেলা থেকেই আমরা ড্রামারদের হার্ডওয়ার্কিং প্যাইশেন্স ও পার্সিভেরন্স সম্পর্কে গল্পগাছা ওভার্হিয়ার করে এসেছি। কিন্তু, তৎসত্ত্বেও, রক বা মেটাল বা জ্যাজ একটা ব্যান্ডে ড্রামার ক্যারেক্টারটা অপেক্ষাকৃত অনুজ্জ্বল এলাকায় থাকে বলে মনে হয়। একটুখানি নিষ্প্রভ কোণে। এরপরেও দুনিয়াজুড়ে যেসব ড্রামার ক্যামেরার ও দর্শকের ও শ্রোতার নজর কেড়েছেন, আদরণীয় হয়েছেন, অসাধ্য সাধন করেছেন তারা তা বাক্য অধিক ব্যয় না করে অ্যাট ওয়ান্স বলতে হবে। অ্যাট লিস্ট, গিটারমালার তুলনায়, বা কিজ, পার্কাশনরাশির তুলনায় ড্রামারদের স্ট্রাগলটা চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি। সবার পেছনে থাকা প্লেয়ারটাকে স্পেক্টেইটরদের কান ও চোখ ও শরীরের কম্যান্ড নিতে হচ্ছে। এইটা অনেক হার্ড। গিটারের তুলনায়, পিয়ানো, ফ্ল্যুট, কিবোর্ড বা ভোক্যালের তুলনায়। একটা লোক সবচেয়ে লেস গ্ল্যামারাস কর্নারে থেকে অ্যাইপল অফ দ্য আই হওয়া। জার্নিটাই হিরোয়িক। অনেক অনেক পরে অ্যামেরিক্যান একটা সাইকোলোজিক্যাল ড্রামা জন্রার সিনেমায় একজন স্টুডেন্ট ও ইন্সট্রাক্টর পরস্পর শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে কেমন করে যায়, সেই গল্পটি বলার ভিতর দিয়ে জ্যাজ ড্রামার হবার পথের সেই হার্ডওয়ার্কিং প্যাইশেন্স ও পার্সিভেরন্স দেখানো হয়। এক্সহিলারেইটিং, এক্সট্রাঅর্ডিন্যারি, অ্যাস্টাউন্ডিং, ইলেক্ট্রিফায়িং একপেরিয়েন্স হয় দেখতে যেয়ে এই সিনেমাটি। ‘হ্বিপ্ল্যাশ’ সেই সিনেমার নাম। স্মরণীয় সেই মিউজিক প্রশিক্ষকের পাগলাটে ক্ষিপ্র কথা আর অ্যাকশন আচরণ অনবদ্য। অল অ্যাবাউট ড্রামস। ড্রামিং। প্যাটার্ন। লিভিং। লাইফ। অ্যাবিউজিভ মিউজিক ইন্সট্রাক্টরের ক্যারেক্টারে জেকে সিমন্স আর ড্রামসশিক্ষার্থী চরিত্রে মাইলস টেলার উভয়ের আনস্টপেবল আনপ্যারালাল অভিনয়! ইট’স্ অল অ্যাবাউট প্যাইশেন্স অ্যান্ড পার্সিভেরন্স, ইট’স্ অল অ্যাবাউট হার্ডওয়ার্কিং প্যাশন। ইট’স্ অল অ্যাবাউট ড্রামস। ড্রামিং। প্যাটার্ন। লিভিং। লাইফ।
শুধু যে শেখ মনিরুল আলম টিপু তা তো নয়, নাইন্টিসের পপুলার ব্যান্ডগুলার ড্রামস সেকশন আমরা মনে রেখেছি বাই দ্য ড্রামার্স নেইম। সোলস, ফিডব্যাক, মাইলস, রেনেসাঁ, এলআরবি, ফিলিংস ও তজ্জাত নগরবাউল সহ সবগুলা ব্যান্ডের ড্রামারদের বাই নেইম ডিটেক্ট করতে পারতাম বাজানো শুনে। টেলিভিশনের পর্দায় গিটার আর ভোক্যালের ফোকর গলায়া ড্রামার কেড়ে নিত মন, চোখ, কোমরের উল্লেখযোগ্য অংশ। পরবর্তীকালের ব্যান্ডগুলার মধ্যে মেঘদল, শিরোনামহীন, সোনার বাংলা সার্কাস, নেমেসিস, ইন্দালো প্রভৃতি ব্যান্ডের প্রত্যেকটা ইন্সট্রুমেন্ট লোকেইট করি আমরা বাই দ্য আর্টিস্টস্ নেইম। মরার এই গানবাজনা হারাম প্রচার করবার উন্মত্তের দেশে এখনও লোকে একটা গান শোনার সময় এর মিউজিকটা অ্যাপ্রিশিয়েইট করে, একটা বাজনা শুনে বাদকের নাম মনে রাখে, এইটা আল্লার দরবারে বেশুমার শুকরিয়া আদায় করবার মতো মর্যাদাকর ঘটনা। কালচার নাই, শিক্ষা নাই, লিটারেইসিতে ইনভেস্ট নাই, কিন্তু লোকে এরপরও যে কদর করতে পারে বেটার মিউজিকের, তারিফ করতে পারে একটা হার্ডরক অথবা বাউল কম্পোজিশনের, এইটা আমাদের ফাও পাওয়া সামাজিক পুঁজি হিশেবে অ্যাকাউন্টে নিতে জানতে হবে, এইটাই আমাদের সোশ্যাল ক্যাপিট্যাল, এই নির্বিনিয়োগ মুনাফা লাভের আশ্চর্য মানবসম্পদ।
ওয়ারফেজের জন্মলগ্ন থেকেই, প্রায়, টিপু লিড দিয়ে চলেছেন ব্যান্ডটিকে — এই বাক্যটা আগের প্যারাগ্র্যাফে লিখতে লিখতে ভেবে রেখেছিলাম পরের প্যারাগ্র্যাফে যেয়ে প্রোক্ত ‘প্রায়’ শব্দটায় চেপে একটুখানি ডিটেলাউটে যাওয়া যাবে। এখন সেই ভাবনা বাতিল করছি। কিন্তু, সত্যি, ফিল লাইক যে ব্যান্ডের গোড়া থেকেই টিপু ওয়ারফেজভুক্ত। স্টুডিয়োঅ্যালবামগুলায় বিসমিল্লা থেকে এ-পর্যন্ত মনিরুল আলম টিপুর উপস্থিতি নিরবিচ্ছেদ্য। অবশ্য গ্যুগল করলে শেখ মনিরুল আলম টিপু সম্পর্কে, এবং, অভিয়াস, ওয়ারফেজ সম্পর্কে, সবিস্তার জানা যায়। ইউটিউবে শেখ মনিরুল আলম টিপুকেন্দ্রী ভিউজ ফিচার পডকাস্ট সাক্ষাৎকার অ্যাভ্যাইল্যাবল। সর্বোপরি, মিউজিক। টিপুর প্লেয়িং। স্টুডিয়োরেকর্ডগুলো তো রয়েছেই, ইদানীং স্টেজশো কন্সার্টগুলোর ভালো সাউন্ড ইউটিউবে আপ্লোড হয়। কাজেই, টিপু সম্পর্কে এফঅ্যাকিউ খুঁজলে বা সবিশদ জানতে চাইলে এই নিবন্ধে তা পাওয়া যাবে না, যাবে উইকিতে এবং অন্যান্য অত্রতত্র।
উইকি বিহার করে এলাম প্যারাগ্র্যাফ নিবার ফাঁকা জায়গাটায়। দেখলাম, ইংলিশ বাংলা দুইটাতেই দেখলাম, মনিরুল আলম টিপুর লাইফ অ্যান্ড হিজ মিউজিক্যাল লিগ্যাসি অ্যান্ড মাইলেইজ সম্পর্কে বেশ ভালো শর্ট বায়ো। প্রফেশন্যাল ক্যারিয়ারের ক্রনোলোজিক্যাল মার্কগুলা দাগানো। যথেষ্ট তথ্যে পূর্ণ। কতকিছুই ক্লিয়ার জানার ব্যবস্থা আজকাল কত সহজলভ্য! শুধু উইনিং নয়, এরও অনেক আগে থেকেই কিশোর বয়সে এই মিউজিক্যাল ট্যালেন্ট বাংলাদেশের রকপ্রজন্মের কাছে নমস্য ও চিরস্মরণীয় আজম খানের উচ্চারণ ব্যান্ডে ড্রামস বাজিয়েছেন নিয়মিত! এইগুলা লাইফের লেভেল অন্য হাইটে নিয়া যাবার জন্য প্রভাবক তো অবশ্যই। তিনি পেন্টাগন ব্যান্ডে রেগ্যুলার পার্কাশনিস্ট হিশেবে প্লে করেন। ওয়ারফেজের মতো ব্যান্ড লিড দিতে যেয়ে যেই ঝক্কি, ইন ফ্যাক্ট ওইটাই কিন্তু টোয়েন্টিফোর ইন্টু সেভেন অক্যুপায়েড থাকবার জন্যে এনাফ; টিপু তদুপরি দীর্ঘদিন বামবা সামলাচ্ছেন, রকমিউজিকের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের আদ্যোপান্ত বলতে গেলে দেখে চলেছেন চোখের সামনে। এখনও উন্মুক্ত ময়দানে, দেয়ালাবদ্ধ অডিটোরিয়ামে, টেলিরিয়্যালিটিতে এবং টেলিরিয়্যালিটির বাইরে শেখ মনিরুল আলম টিপু অবিচল ও উদাত্ত বাজাচ্ছেন, উন্মথিত উদ্বেল, ড্রামস্টিক হাতে স্নেয়ারে পেটাচ্ছেন বা প্রণয়কেলি করছেন পার্কাশনে, সহস্র প্রজাপতির সম্মিলিত লঘু পাখার আদর শিরশিরিয়ে ঝরে পড়ছে যেন বনগুল্মের পাতায়। মাস্ত হালে মত্ত ড্রামার বাজাচ্ছেন। দরদর ঘামছেন।
দরদর করে ঘামা ড্রামারের ক্যারেক্টারটায় এক নোটিস করবার মতোই ফিচার। সত্যি বলতে, এই নিবন্ধের নেপথ্য অনুপ্রেরণা তেমনই এক ফটোগ্রাফ যেখানে শেখ মনিরুল আলম টিপু দরদর করে ঘামছেন। অথচ মুখাবয়বে ক্লেশ নাই, আছে উদ্ভাস, মিউজিকের মর্মমন্থিতা হাসি। প্রিস্টিন। ইনফার্নাল, একইসঙ্গে হ্যাভেনলি। ইন ফ্যাক্ট, এই ইমেইজটা কার ভিয়্যুফাইন্ডার আবিষ্কার করল, আমি জানি না, বাট জানতে চাই। অনেস্টলি। ইমতিয়াজ আলম বেগ তো নব্বইয়ের ব্যান্ডশ্রোতা আর রকসমুজদারদের কাছে একদম জিগরের জান, শুধু রকারদের পোর্ট্রেইট ফটোগ্রাফি করে। কাজেই, জানতে চাই, এই অসাধারণ অলমোস্ট অতিজীবিতের মতো রকিং ইমেইজ ধরায় যিনি এনেছেন তার সম্পর্কে, সেই ফটোআর্টিস্ট সম্পর্কে। অ্যানিওয়ে। জেনে ফেলব।
১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে ব্যান্ড গঠনের পাক্কা সাত বছর বাদে, ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে, বেরোয় তাদের পয়লা অ্যালবাম। সেল্ফ-টাইট্যল্ড। এরপরে ‘অবাক ভালোবাসা’, তারপর ক্রমান্বয়ে — ‘জীবনধারা’, ‘অসামাজিক’, ‘আলো’, ‘মহারাজ’, ‘পথচলা’, ‘সত্য’ প্রকাশিত হয়েছে ২০১২ পর্যন্ত। অন্তর্বর্তী তিনদশকসীমায় দেশে এবং দুনিয়ার বিভিন্ন শহরে ওয়ারফেজ স্টেজশো করেছে অসংখ্য। রজতজয়ন্তী সেলিব্রেশন্যাল শো সফলভাবে সম্পন্ন করার পাঁচবছরের মাথায় ২০১৫ সনে তারা ব্যান্ডের তিনদশক পূর্তির উৎসব করেছে ফের বড়সড় মঞ্চে গেয়ে-বাজিয়ে এবং নতুন-পুরনো ওয়ারফেজকুশলীদের সবাইকে নিয়ে এই রিয়্যুনিয়ন স্টেজশো বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতেতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
আর এই সবকিছুই প্রমাণ করে ব্যান্ড হিশেবে ওয়ারফেজের সংগীতদায়বোধের লিগ্যাসি সম্পর্কে। এবং এই সমস্তকিছুর নেপথ্যে যে-ব্যক্তিটা হাল ধরে রেখেছেন নাবিকের ন্যায় একাগ্র, অবিচল, তিনি টিপু। মনিরুল আলম টিপু। ওয়ারফেজের লিডার, ড্রামার এবং অবশ্যই ড্রিমার শেখ মনিরুল আলম টিপু। জনপ্রিয় অসংখ্য কম্পোজিশনের মধ্যে এমন কয়েকটা নাম্বারের উল্লেখ বাদ যাবে না, যেমন — জননী, একটি ছেলে, অবাক ভালোবাসা, ধূপছায়া, স্বাধিকার, অসামাজিক, মনে পড়ে, আলো, যত দূরে, বেওয়ারিশ…প্রভৃতি এবং আরও অন্তত ডজনখানেক। সেইসব গানের পর গানে, কম্পোজিশনের পর কম্পোজিশনে, শেখ মনিরুল আলম টিপুর বাজানো। যোজনা। বাদ্যরচনা। মাচা বেঁধে ব্যান্ডটাকে একটু উঁচুতে যেখানে যেমন থিতু রাখা। রাখেন তিনি, গোটা ব্যান্ডটাকে, ধরে রাখেন। মঞ্চে, মহড়ায়, অ্যালবামে। যে-কোনো ব্যান্ডে এই কিপারের দায়িত্বটা ড্রামারের কাঁধে যায়। ড্রামার রক্ষা করে, গোল, বাঁচায়। মিউজিকটার গতিক ঠিক রাখে।
এইবার, বিদায় নিবার আগে, এই নিবন্ধ থেকে বেরিয়েই, টিপুর নিজের জবানিতে তার উন্মেষকালের বাদ্যযন্ত্র ও বাদনের শিখন-শিক্ষণ সম্পর্কে একটা রচনা হাতে নেব। রচনাটা গানপারে আপ্লোড হয়েছিল ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে। এপ্রিলের গোড়ার হপ্তায় সাইট লঞ্চ করবার মাসখানেকের মধ্যেই পোর্টালের ‘বাদক’ বিভাগের আওতায় এইটা ছাপা হয়। এই রচনায় আমরা টিপুর ক্যারিয়ারগোড়ায় ইন্সট্রুমেন্টপ্রেম ও পর্যুদস্ততার গল্প শুনব। গত শতকের আশির দশকে একজন ড্রামারকে কেমন স্ট্রাগল করতে হতো শুধু পছন্দের বাদ্যযন্ত্র নাগালে পেতে, এই জিনিশটা জানা যায় এই চিলতে রচনায়। এইটা আমরা নিয়েছি গোলাম ফারুক সম্পাদিত বহুআগে-বন্ধ-হয়ে-যাওয়া বা নাম-কা-বাস্তে বেশ আরও-অনেকদিন-চালু-থাকা পাক্ষিক আনন্দভুবন ৩ অগাস্ট ১৯৯৮ তৃতীয় বর্ষ ষষ্ঠ সংখ্যা থেকে। পত্রিকার অভ্যন্তরভাগে মিউজিকম্যাগ হিশেবে যেইটা ‘সারেগারে’ শিরোনামে বেরোত, সেই অংশের ২ বর্ষ ৬ সংখ্যা থেকে রচনাটা চয়িত। ‘যন্তরমন্তর’ শীর্ষক বিশেষ আয়োজনে লেখাটি ইন্টার্ভিয়্যুয়ের ভিত্তিতে অনুলিখন করেছেন কাজী উচ্ছল। এই লেখাটা আর্কাইভ্যাল প্রয়োজনে গানপারে আপ্লোডকালে একটা ভাষ্যভূমিকা আগায় সেঁটে দিতে হয়েছিল, ওই ভূমিকাভাষ্যটুকু সম্প্রসারণ করে এই নিবন্ধ। অনন্য অতিকায় এক বাদকের প্রশংসায়, ইন প্রেইজ অফ অ্যা পার্কাশনিস্ট, অ্যা ডেয়ার ডেভিলিশ ড্রামার, অ্যা লাইফ লিজেন্ড।
গানপারে বাদকগণ
গানপারে ওয়ারফেজ
- টিপু দ্য কিপার - May 12, 2025
- সাহিত্যিক সাংবাদিকতা, সাংবাদিকী সাহিত্য - May 3, 2025
- রাজন যখন ছবি আঁকেন - April 23, 2025
COMMENTS