ট্যাগগুলো: আত্মজৈবনিক
সুরমাসায়র ১২ || পাপড়ি রহমান
সিলেটের মেঘেরা যেন উড়ে আসত সোজা মেঘালয় থেকে। ফলে সেসব মেঘেদের ছিল নানান বরন ও খেয়াল। শাদা শাদা মেঘেদের গুচ্ছ ভেসে-বেড়ানো দেখতে না দেখতেই তারা হাতির ...
ইচ্ছেশ্রাবণ ২ || বিধান সাহা
১.
রাস্তার ঠিক মাঝপথে আকাশ অন্ধকার করে সন্ধ্যা নামল। অথচ এখন সকাল। এখন উজানী সময়। আমরা বসে আছি একটা গুদামের বাইরের রাস্তা-লাগোয়া বারান্দায়। দুজন চটের...
জয়ধরখালী ১৮ || শেখ লুৎফর
ছয়েব আলী মিয়াকে জয়ধরখালীর মানুষ ছয়বালী ডাকে। মানুষের লম্বা লম্বা আর সুন্দর নামগুলাকে তারা এক কোদাল পরিমাণ ছেঁটে ফেলে নাগালের মধ্যে নিয়ে আসে। সুখ-দুঃ...
সুরমাসায়র ১১ || পাপড়ি রহমান
নিজ পরিবারের সকলের জন্য আব্বার ছিল প্রচণ্ড দরদ। নিজের বাবা-মা, ভাইবেরাদর-আত্মীয়স্বজন তো আছেই, এমনকি নামকাওয়াস্তেও যারা আত্মীয়তার সূত্রে বাঁধা তাদের ...
জয়ধরখালী ১৭ || শেখ লুৎফর
জিলহজ মাসের চাঁদটা উঠার পর থেকে জয়ধরখালীর লেকুচাচার হাত থেকে যেন হুঁক্কা আর নামতেই চায় না। একটু ভালো করে তাকালেই আপনারা লেকুচাচাকে চিনবেন। ছোটখাটো চ...
সুরমাসায়র ১০ || পাপড়ি রহমান
পঞ্চম ক্লাসে ওঠার পরে আমার আরও কিছু বন্ধুবান্ধব জুটে গেল, যারা অকারণেই বেঙ্গলি ভাষায় কথাবার্তা বলে। তারা যে সত্যি সত্যি সিলেটি তা ধরার উপায় নাই। কার...
ইচ্ছেশ্রাবণ || বিধান সাহা
চারপাশের পৃথিবীটা পাল্টে গেল। লাইনের দুই ধার ধরেই কলাক্ষেতের ভেতর দিয়ে একই রকম অন্তহীন পথ চলে গেছে। সে-পথ দিয়ে সবুজ কলা বোঝাই গরুর গাড়ির সারি চল...
জয়ধরখালী ১৬ || শেখ লুৎফর
১৯৬৯-এর এক ভোরের রক্তিম আভায় জয়ধরখালী গ্রামটা হয়ে উঠেছে প্রিয়তমার রাঙিন আঁচল। হাজার হাজার পাখির কলকাকলিতে সে আড়মোড়া দিয়ে ঘুমজড়ানো চোখ মেলছে। সামনে দ...
জয়ধরখালী ১৫ || শেখ লুৎফর
খেলা করার সময় মুখে মুখে ছড়া কাটা জয়ধরখালীর শিশুদের একটা অভ্যাস। এইসব ছড়ার কোনোটাই বইয়ে পাওয়া না গেলেও বড়দের মুখে শুনে শুনে তারা মুখস্থ করে ফেলেছে। ঐ...
জয়ধরখালী ১৪ || শেখ লুৎফর
ফাগুন মাসটা যাবে না বলে গড়িমসি করতে করতে হলহল করে দক্ষিণা বাতাস বইতে শুরু করে। দুপুর হলে চাষ-দেওয়া ধূ ধূ মাঠে ঘূর্ণি ওঠে। ধূলাবালি, শুকনা পাতা আর গর...