সিনেমার মগজ, মন ও মনন || ইলিয়াস কমল

সিনেমার মগজ, মন ও মনন || ইলিয়াস কমল

শেয়ার করুন:

 

পোপ ফ্রান্সিস মারা গেলেন। মাত্র উননব্বই বছর বয়সে। আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভুত এই পোপ, যার নাম হোর্হে মারিও বার্গোগ্লিওরে নিয়ে দারুণ একটা সিনেমা বানিয়েছিলেন ফার্নান্দো মিরালেস। হ্যাঁ, ব্রাজিলিয়ান সিনেমার ইতিহাসে যেই নামটা জ্বলজ্বলে, সেই মিরালেস। সিটি অব গডের মিরালেস। এখন পর্যন্ত এই ‘টু পোপ’-ই মিরালেসের মুক্তিপ্রাপ্ত সবশেষ সিনেমাও।

কিন্তু এইখানে আলাপটা আদতে মিরালেসকে নিয়ে না, পোপ ফ্রান্সিসকে নিয়ে। পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট যখন দায়িত্ব ছাড়বে বা অবসর নিবেন তখন পোপ ফ্রান্সিসের নাম উঠে আসে ভ্যাটিকানের শীর্ষ পর্যায়ে। আর্জেন্টিনার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা ফাদার মারিও যখন ভ্যাটিকানে এসে দায়িত্বের মুখোমুখি হচ্ছেন, তখন ষোড়শ বেনেডিক্টের সাথে দেখা দেয় চিন্তাগত অনেক পার্থক্য। একই ধর্মের দুই বিজ্ঞজনের সেই তর্কই ছিলো ‘টু পোপ’ সিনেমায় দারুণ উপভোগ্য।

আর্জেন্টিনায় এই পোপকে রীতিমতো ঈশ্বরের পরেই সম্মান করতে শুরু করে খ্রিস্টধর্মের অনুসারীরা। কে না জানে, আর্জেন্টাইনদের খ্রিস্টধর্ম ছাড়াও আরেক ধর্মের নাম ফুটবল। ধার্মিকরা মেসির বিশ্বকাপ জেতার সাথে পোপ ফ্রান্সিসের ইচ্ছারও হাত দেখেন। সে-আলাপ আসলে ধান বানতে শিবের গীতের মতো।

তবে সিনেমাপ্রিয় যারা, তারা এই সিনেমাটা উপভোগ করতে পারবেন বলেই মনে করি।

পুনশ্চ  : ফেসবুকে সিনেমার পুরনো পোস্টগুলো দেখতে গিয়ে দেখলাম অধিকাংশ সিনেমাই মনে ও মননে নাই। তাই এখন থেকে মননশীল সিনেমা নিয়াই আলাপ করবো। যেই সিনেমা মগজেও থাকবে।

২১ এপ্রিল ২০২৫


ইলিয়াস কমল রচনারাশি
সিনেমার চিরকুট প্রবাহ

ইলিয়াস কমল
শেয়ার করুন:

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you