প্যারাডক্স মনে হতে পারে কথাটা শুনে, বিশেষ যেই প্রফেশনে আমি আছি তাতে, তবু কথাটা এ-ই যে তেমন মানুষ আমি না যারা লাইমলাইটে থাকতে সবসময় ব্যগ্র ও উদগ্রীব।
অনেক দেখেটেখে এই জিনিশটা বুঝেছি যে আনহ্যাপি মানুষ যারা তাদেরে হ্যাপি করা কারোর পক্ষেই সম্ভব না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজে থেকে হ্যাপি না হচ্ছে।
টিন্যাইজার ছিলাম যখন, আমার মধ্যে একটা আজব কমপ্লেক্স কাজ করত। বলা যায়, ছিল নর্ম্যালিটি কমপ্লেক্স আমার ভিতরে। কেমন সেইটা? আমার ছোটবেলাটা ছিল নর্ম্যাল, একদমই সিম্পল, সাদামাটা, ঘটনার ঘনঘটা ছাড়া। আমি খালি ভাবতাম যে এই জীবনে কিসসু হবে না আমার।
ইংলিশস্পিকিং বেশকিছু স্ক্রিপ্ট আমি পেয়েছিলাম, কিন্তু ওইগুলা নিয়া কাজ করতে একেবারেই উৎসাহ পাই নাই ভিতর থেকে।
কালেভদ্রে অকেইশ্যন্যালি ইংলিশস্পিকিং স্ক্রিপ্টের ফিল্মে কাজ করতে নিশ্চয়ই আমি চাই, কিন্তু সেক্ষেত্রে যেমন স্ক্রিপ্ট তেমনি ডিরেক্টর হতে হবে দশাসই আমার মনের মতো।
কাজ নিয়া কারোর সঙ্গে কোনোকিছুর সঙ্গেই কম্প্রোমাইজ করতে আমি রাজি নই।
রাস্তাঘাটে বেরোলে লোকে যদি আপনার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকায়া থাকে তাইলে কেমন লাগে বলেন তো? খুবই ডিফিকাল্ট হয় জিনিশটা হজম করতে। এই বিদঘুটে সেলেব্রিটি হইতে একেবারেই চাই নাই আমি।
চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ
… …
- ফেঁসে-যাওয়া ফিতায় ফিলিংস ও নগরবাউল দিনগুলি || ইলিয়াস কমল - October 3, 2023
- চন্দ্রাবতীর পুত্রগণ :: পর্ব ২৬ || শেখ লুৎফর - September 28, 2023
- গ্রাসরুটসের গান, অনিয়মিত অসাহিত্যিক অবদমনাখ্যান ১৩ - September 26, 2023
COMMENTS