কাল সকালে, ইরোটিক সোসাইটি, মালতির অ্যাবনর্মালিটি… || হাসান শাহরিয়ার

কাল সকালে, ইরোটিক সোসাইটি, মালতির অ্যাবনর্মালিটি… || হাসান শাহরিয়ার

শেয়ার করুন:

 

কাল সকালে’ সিনেমায় মালতি অ্যাবনর্মাল। মালতির ঘরে অসুস্থ মা। মালতি গরিব। মালতির নড়বড়ে ঘর। একরকম খয়রাতে চলে মালতির সংসার৷ মালতি বড় হইছে। মালতির একটা শরীর আছে।

কিন্তু সিনেমা দেখতে দেখতে আপনের এইটাও মনে হইতে পারে, মালতির এই অ্যাবনর্মালিটি হয়ত মালতির না। এই অ্যাবনর্মালিটি আপনের। সোসাইটিতে ইনফিরিয়র অবস্থায় থাকা একটা মেয়েরে লইয়া আপনের ইরোটিক কন্সেন্সাস হইলো ‘কাল সকালে’ সিনেমায় মালতির অ্যাবনর্মালিটি। মালতির অ্যাবনর্মালিটি হইলো আপনের মৌন-থাকা লালসা। মালতির অ্যাবনর্মালিটি সাক্ষ্য দিতেছে, পুরুষালি সোসাইটির লুকাইয়া রাখা লাম্পট্যরে।

সোসাইটি ইনফ্যাক্ট মালতির কাছ থেইকা কোনো কনফেশন আসুক, এইটা চায় না। কোনো নালিশ আসুক, এইটাও চায় না।

দেখা গেল, সিনেমার শেষ দৃশ্যটারে পরিচালক আমজাদ হোসেন পুরাপুরি ব্লার কইরা রাখছেন। আমি মনে করি, ইট ওয়াজ আ গ্রেট স্ট্রোক। মালতির বুকে গাঁইথা থাকা ছুরিটা হইতে পারে মালতির চারপাশ, যেইখানে মালতি প্রচন্ড রকম অচ্ছুত, আনওয়েলকামড। যেইখানে মালতিরে ব্যবহারের পরে খরচ করা যাইতে পারে অনায়াসে। অথবা মালতিরে লইয়া আপনের ভিতরের যেই সচেতন ইরোটিসিজম, তার দিকে মালতির পাল্টা আঘাত। এই করুণ দৃশ্যটাতে মালতি সবচেয়ে বেশি লাউড, নর্মাল। এই দৃশ্য আপনেরে তার সকল যন্ত্রণার মুখোমুখি করবে, নৈঃশব্দ্যে।

শাবনূর এই সিনেমায় আমারে মুগ্ধ করছেন। ‘কাল সকালে’ সিনেমাটা এত বেশি শাবনূরনির্ভর, শাবনূরসর্বস্ব। এইরকম এক কন্টেন্টের বাইরে আর তেমনকিছু বলার নাই আমার। সিনেমার গান খুব বাজে। অন্য চরিত্রদের মধ্যে চ্যালেঞ্জার ছাড়া কেউ ভালো অভিনয় করে নাই। ক্যামেরার কাজও বেশি ভালো হয় নাই। এই লেখার সাথে শেয়ার করা ছবিটা গুগল থেইকা নিয়া কিছুটা ক্রপ করছি। সিনেমার এই দৃশ্যে শাবনূরের এন্ট্রি হয়।

সিনেমার নাম : কাল সকালেরিলিজকাল : ২০০৪। পরিচালক : আমজাদ হোসেনঅভিনয় : শাবনূর, চ্যালেঞ্জার প্রমুখ।

মে ২০২১


হাসান শাহরিয়ার রচনারাশি
গানপার ম্যুভিরিভিয়্যু
গানপারে শাবনূর

শেয়ার করুন:

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you