৭৮৬

৭৮৬

বিস্মিল্লাহির্ রাহমানির্ রাহিম।  যে-কোনো কাজের শুরুতে এই বাক্যোচ্চারে সেই কাজ শুভ হয়, সুচারু সম্পন্ন হয়, এই শিক্ষা লভেছি ছেলেবেলায়। এই দোয়া পাঠোত্তর শুরু-করা কাজে আল্লার বিশেষ রহম লাভ করা যায় বলে জেনেছি। শিক্ষাটা তথ্য হিশেবে মনে রেখে দিয়েছি যতটা, আমল তথা ব্যবহারে সেইভাবে প্রতিফলন ঘটানো হয় নাই। কিন্তু সবকিছুর পরেও দোয়া হিশেবে এই আয়াতটাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি আমরা, জন্মের সূত্রে পেয়ে-যাওয়া ঘর ও ঘরানার কারণে এইটি আমাদের রক্তে অনেকটাই যেন দ্রবীভূত হয়ে গিয়েছে। এবং এই দ্রবীভূতকরণের নেপথ্যে আমাদের পরিবারকর্তারা, আমাদের পারিবারিক আদব-সহবত-সংস্কৃতি, আমাদের ধর্মীয় আচারকৃত্য অবদায়ক। মনে আছে, ছেলেবেলায় ঢের ক্লেশ সইতে হয়েছে নিতিদিন এই দোয়া পাঠ না-করে খেতে বসার অপরাধে কিংবা দৈনন্দিন নানা কাজে এই দোয়া না-পড়ে শুরু করার খেসারত হিশেবে মাঝপথে থামিয়ে তিরস্কারপূর্বক মুরুব্বিরা আমাদিগেরে বাধ্য করতেন দোয়া পাঠে, এবং এইভাবে একটা অভ্যাস গড়ে ওঠে বিস্মিল্লা বলে যে-কোনো কাজ শুরু করার। অবশ্য জেনেশুনে যেসব গুনার কাজ করতাম, যেমন টিভি অন করা বা খাতার তলায় ব্যাঙের পরিপাকতন্ত্র রেখে পেন্সিল দিয়া তা নকল করে স্যারের কাছে নিজের বিজ্ঞানচৌকস মনের পরিচয় প্রতিষ্ঠা, তাতে বিস্মিল্লা না-বলাই ছিল আমাদের শিশুতোষ অভিজ্ঞতাজাত সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত। যুক্তি দৃঢ় খুবই, কিন্তু সহজবোধ্য বটে, যে-কাজে আল্লার অথবা আমাদের কোরানশিক্ষক হুজুরের কড়া নিষেধাজ্ঞা আছে অথচ যেইসব নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড সংঘটন ব্যতিরেকে পেটের ভাত হজম হয় না, নাজায়েজ দৃশ্য অবলোকন অথবা বিকেলের খেলায় কারচুপি কি মিডিয়াম আকারের মিথ্যাচার, এইগুলো করার পূর্বক্ষণে বিস্মিল্লা বললেই গণ্ডগোল লেগে যেত বলে আমাদের বিশ্বাস ছিল এবং আমরা সেই বিশ্বাসের পক্ষে বেশকিছু নিদর্শনও ততদিনে পেয়ে গিয়েছি, যেমন টিভি ছাড়তে-না-ছাড়তেই যেত ইলেক্ট্রিসিটি চলে এবং লুডু খেলতে যেয়ে ছোটখাটো চুরিগুলোও বোনের চোখে ধরা পড়ে যেত এবং ভাইবোনসমাজে কয়েকদিন চোর বলে অবমাননার শিকার হতে হতো। ফলে সেই তখন থেকেই বিস্মিল্লা আমাদের কাছে একটা ঘটনা।

তারপর একসময় ইশকুলে যেতে শুরু করি, স্লেট-খড়িপেন্সিল থেকে খাতায়-ইকোনোকলমে উন্নীত হতে থাকি, তখন শুধু মুখে নয় উপরন্তু খাতায় বিস্মিল্লা লেখা শুরু হয়। তিনপ্রকারের অনুশীলনখাতা — বাংলা-গণিত-ইংরেজি — ছিল আমাদের উচ্চশিক্ষার প্রাথমিক সোপান। নতুন খাতা এলেই পয়লা বিস্মিল্লা খাতাশীর্ষে গুটিগুটি হরফে লিখে তারপর খাতাকাভার ডিজাইন করতাম। তারপর খাতার ভেতরে প্রতিটি নতুন অধ্যায় তথা হোমটাস্ক সূচনায় নির্ধারিত ফর্ম্যুলার মার্জিন বজায় রেখে উপরিস্থলে বিস্মিল্লা লিখে রেখে এগোনো। তো, সবকিছুরই শর্টকাট আছে দুনিয়ায়, বিস্মিল্লাও ব্যতিক্রম নয় জানা গেল অচিরেই। জানলাম যে, এত লম্বা বাক্য লিখতে যেয়ে বানানভুল করার বদলে সংক্ষেপে বিস্মিল্লা লেখাটাই বরং ভালো। শর্টকাটে কেমন করে অ্যাডাল্ট হওয়া যায়, সেই রাস্তা খুঁজছি তখন হন্যে হয়ে, কেউ বলে দিচ্ছে না। যা-হোক, বিস্মিল্লার শর্টকাট পাওয়া গেল এবং লুফে নিলাম। পরে পাঠশালা পাড়ি দিয়া হাইস্কুলে যায়া দেখি ব্ল্যাকবোর্ডে স্থায়ীভাবে সংক্ষিপ্ত বিস্মিল্লা খচিত রয়েছে। মামাবাড়ি যেতে-আসতে বাসগাড়িতে আম্মার কোলের কাছে ব্যাটামানুষের মতো বসে দেখতে পাই চালকের কপালের উপর ক্যালিগ্র্যাফি নকশায় লেখা সংক্ষিপ্ত বিস্মিল্লা। আর সেই থেকে মুখস্থ হয়ে যায় বিস্মিল্লা মানে সাতশছিয়াশি, সাতশছিয়াশি মানে বিস্মিল্লা।

একটা সময়ে এসে ব্যাপারটা মাথায় খোঁচা মারে। যে, এই ইকোয়েশন কেমন করে হলো, বিস্মিল্লার গাণিতিক রূপ হলো কোন ফর্ম্যুলায়। একে-তাকে জিগাই, কেউ বলতে পারে না, সাত-আট-ছয় অঙ্কত্রয় কেমন করে বিস্মিল্লা হয় ইত্যাদি। বয়স বাড়তে থাকে, বিস্মিল্লার আঙ্কিক ইকোয়েশনের গ্রাউন্ড কেউ বলতে পারে না। তারপর নিজেই একসময় জিনিশটা খামাখা ভেবে খোঁজাখুঁজিতে ইস্তফা দেই। কিন্তু সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ার অনেক পরে, যখন যৌবন আমাদের টগবগে এবং শৈশব মনে পড়ে না আর যৌবরাজিক মধুর রাহাজানিতে, তখন একটা বই পড়ে সেই বিস্মিল্লার আঙ্কিক সমীকরণের অমীমাংসীত ফাইলটা আবার চালু হয়। সেই বইটা, আমার জীবনে আশ্চর্য সেই কয়েকটা বইয়ের মধ্যে একটা, আমি যার সাহচর্য পাই আজ থেকে বছর-চৌদ্দ আগে, তার নাম ‘মিথের শক্তি’, মিথবিশ্লেষক জোসেফ ক্যাম্পবেলের সঙ্গে কথালাপভিত্তিক বই, বিল ময়ার্স কথালাপ চালিয়েছেন, বইটি সুস্থ-স্বাভাবিক বাংলায় অনুবাদ করেছেন খালিকুজ্জামান ইলিয়াস, প্রথমবার বইটা ধারে এনে পড়েছিলাম জনৈক কবিবন্ধুর তহবিল থেকে, সেইটি ছিল বাংলা অ্যাকাডেমি মুদ্রণ, অনেকদিন মুদ্রণদুষ্প্রাপ্য থাকার পর বইটির ‘ঐতিহ্য’ সংস্করণ বের হয় বছর-কয়েক আগে, এরপর তিনবার ভিন্ন ভিন্ন তিনজনকে গিফ্ট দেবার গরজে ফের তিন-তিনবার বইটা খরিদ করা হয় এবং হস্তান্তরের পূর্বরাতে এক-দুইপাতা উল্টেপাল্টে দেখাও হয়। এই কিস্তি আমার এক সহকর্মী, চিত্রকর তিনি, সত্যজিৎ রাজন বইটা কিনেছেন এবং অনেকদিন ধরে নানান অ্যাঙ্গেল থেকে ফিরে ফিরে পড়ে চলেছেন, সেদিন তাঁর কাছ থেকে খুঁজেমেগে এনেছি বিস্মিল্লা বিষয়ক এই নোট মুসাবিদার মানসে। সে-ও হয়ে গেল অনেকদিন, মাসখানেক, বইয়ের মালিক কোনো অজানা আশঙ্কার বশবর্তী হয়ে সম্প্রতি তাগাদা দিতে শুরু করলে পরে কুম্ভকর্ণকে জাগতেই হলো, অগত্যা। আর প্রস্তুতি আধাছাদা রেখেই লিখতে বসেছি এই সন্ধ্যার গুমট আবছায়ায়। বিস্মিল্লাহির্ রাহমানির্ রাহিম্। সাতশছিয়াশি।

বিস্মিল্লার গাণিতিক প্রকাশরূপের একটা গ্রাউন্ড রয়েছে নিশ্চয় — এইটা আমার অনুমান, যাকে বলে বদ্ধমূল অনুমিতি। কিন্তু উদ্ধার করতে পারছি না কোনোভাবেই। নিশ্চয় একটা মানে আছে কোথাও, শুধু ডিকোড করার অপেক্ষায়। এই বিশ্বাস আরও পোক্ত হয় ক্যাম্পবেলের একটা অংশ পড়ে। সেই অংশটাতে একটা সংখ্যাগত গোলকধাঁধা বা রিডল ডিকোড করার ব্যাপার খুব উপভোগ্যভাবে উঠে এসেছে, এবং এমন-একটা উপন্যাস নিয়া আলাপ চালানো হয়েছে যেটাকে আমরা অনেকেই গালেগোপ্পে চিনি পড়াশোনাজীবনের শুরু থেকেই, যে-উপন্যাসটা দুনিয়ার জটিলতম বইয়ের মধ্যে একটি বলে লোকমুখে শুনে আসছি আজন্ম, লোকমুখ বলতে বিশ্বপড়ুয়াদের মুখ — বেজায় সৌভাগ্য আমাদের যে এঁরা আমাদেরই ফ্রেন্ডসার্কেলে চরেন-ফেরেন-বিরাজেন, উপন্যাসটা জয়েসের ‘ফিনেগানস ওয়েক’, জোসেফ ক্যাম্পবেল থেকে সেই অংশটুকু টুকে রাখছি নিচে, এবং বলা বাহুল্য কোটেশন অতিদীর্ঘ হয়ে যাবে, কিন্তু ওই কোটেশনটাই এই নোটের মুখ্য অংশ, অতএব উপায়ান্তরহীন এইটা টাইপ করতেই হচ্ছে :

‘ফিনেগানস ওয়েক’-এ দেখা যাচ্ছে এক রহস্যময় সংখ্যার পুনরাবৃত্তি। এই সংখ্যা হলো ১১৩২। যেমন এই সংখ্যা একটি তারিখ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়, তেমনি আবার উল্টালে বাড়ির ঠিকানা হিসেবেও ৩২ পশ্চিম ১১শ নম্বর সড়ক। প্রতি পরিচ্ছেদেই দেখবেন কোনো না কোনো প্রকারে এই সংখ্যা  হয়েছে। আমি যখন ‘A Skeleton Key to Finnegans Wake’ লিখছিলাম তখন আমার পক্ষে যতভাবে সম্ভব ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করেছি। “কি ছাই এই সংখ্যা ১১৩২?” তখন মনে পড়ে যে ‘ইউলিসিস’-এ ব্লুম যখন ডাবলিনের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তখন দুপুর বোঝাবার জন্য টাওয়ার থেকে একটা বল গড়িয়ে পড়ে এবং তখন সে ভাবে, “পতনরত জিনিস সেকেন্ডে ৩২ ফুট পড়ে।” আমার মনে হলো তাহলে বত্রিশ হচ্ছে পতনের নম্বর। তাহলে হতেও পারে যে, সংখ্যা ১১ নবায়নেরই সংখ্যা — ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ — কিন্তু এরপরই সংখ্যা ১১, এবং আপনি আবার নতুন করে শুরু করেন। ‘ইউলিসিস’-এ আরো কয়েকটি বিষয়ের ইঙ্গিত আছে। এসব আমাকে ভাবিয়ে তোলে : “বেশ তাহলে এখানে আমরা যা পাচ্ছি তা সম্ভবত — পতন ৩২ এবং পুনরুদ্ধার ১১-এর সংখ্যা : পাপ এবং ক্ষমা, মৃত্যু এবং জন্ম।” ডাবলিনের ফিনিক্স পার্ক একটি প্রধান পার্ক। এখানে ঘটা একটি ঘটনাকে স্থান দেওয়া হয়েছে ‘ফিনেগানস ওয়েক’-এ। ফিনিক্স পাখি তো নিজেকে পুড়িয়ে মারে, আবার বেঁচেও ওঠে। এভাবে ফিনিক্স পার্ক হয়ে দাঁড়ায় এক নন্দনকানন। এখানেই মানুষের পতন ঘটেছিল। এবং এখানেই আদমের মাথার খুলির ওপর ক্রুশচিহ্ন স্থাপিত হয়। O Felix Culpa (ও রে কালপ্রিট ফিনিক্স! — বলেন জেমস জয়েস)। এভাবে আমরা পাই মৃত্যু ও পুনরুদ্ধার। মনে হয় এই ব্যাখ্যা যথেষ্ট ভালো। A Skeleton Key বইয়ে আমি এই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে চেয়েছি।

একদিন সন্ধ্যায় আমার তুলনামূলক মিথতত্ত্বের ছাত্রদের পড়াবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তো সেন্ট পলের Epistles to the Romans অংশটা পড়ছিলাম। পড়তে পড়তে হঠাৎ এক অদ্ভুত বাক্য পাই। তাতে মনে হলো যেন জেমস জয়েস ‘ফিনেগানস’-এ যা বলতে চেয়েছেন হুবহু সে-কথাই বলা হয়েছে। সেন্ট পল লিখেছেন, “ঈশ্বর মানুষকে অবাধ্য করেছেন যেন তিনি সবাইকে করুণা দান করতে পারেন।” আপনি এত অবাধ্য কখনোই হতে পারবেন না যে ঈশ্বর রেগেমেগে আপনার ওপর থেকে করুণা প্রত্যাহার করে নেবেন। অতএব বান্দাকে সুযোগ দাও। লুথার বলেন, নির্দ্বিধায় পাপ করো এবং দ্যাখো ঈশ্বরের দয়া কতখানি জাগাতে পারো। মহাপাপী কিন্তু ঈশ্বরের সহানুভূতি জাগানোর ক্ষেত্রেও মহাপারদর্শী। নৈতিক দ্বন্দ্ব এবং জীবনের মূল্যবোধের বিচারে এই বিশ্বাস অপরিহার্য।

তাই আমি নিজেকে বললাম, “আরে, এই তো, জয়েস তো এ-কথাই বলছেন!” তখন আমার জয়েসের নোটবইয়ে লিখে রাখি, “রোমানস, পরিচ্ছেদ ১১, পঙক্তি ৩২।” আপনি কি পারছেন আমার বিস্ময় অনুমান করতে? ঘুরেফিরে আবারও ওই সংখ্যা : ১১৩২ — একেবারে খোদ সেরা গ্রন্থ থেকে! জীবনের শ্রেষ্ঠ লেখায় জয়েস খ্রিস্টান বিশ্বাসের এই দ্বন্দ্বকে বেদবাক্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এই গ্রন্থেই তিনি মানুষের পাপাঙ্কিত ইতিহাসে ব্যক্তি ও সমষ্টি জীবন ও কর্মের ভয়াবহ গভীর অন্তর নির্মমভাবে বর্ণনা করেন। সব বৃত্তান্ত রয়েছে সেখানে — ভালোবাসার অক্ষরে লেখা।

এই দীর্ঘ কোটেশন পড়ে ক্যাম্পবেলের পাঠোদ্ধারপ্রক্রিয়ার অভিযানে শরিক হওয়ার অনুভূতি বোধ করা যায় যেন, সেইসঙ্গে যে-কোনোকিছু পড়ে দুর্বোধ্য মনে হলে সেইটার পেছনে লেগে রইলে কেমন অবাক অতল ফল লাভ করা যায় তার একটা নজির আবার আমরা দেখে উঠি। সর্বোপরি ইউলিসিস  ও ফিনেগানস ওয়েক  সম্পর্কে এবং অবশ্যই-অবশ্যই ক্যাম্পবেলের স্কেলেটন কিই টু ফিনেগানস ওয়েক  সম্পর্কে আগ্রহ উঁকি দিয়ে একসময় পঠনবাসনা দুর্মর হয়ে ওঠে। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত তল্লাশির সংখ্যাব্যাখ্যা আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গিয়েছে বলা বাহুল্য। তবে আমার বিশ্বাস, কোনো-না-কোনো ক্ল্যু পাবো একদিন। ডাবলিনার জয়েসের ব্যবহৃত ব্যাখ্যাহীন সংখ্যাটার একটা দুর্ধর্ষ ইন্টার্প্রিটেশন যেমন জোসেফ ক্যাম্পবেল আমাদের জন্য টেবিলে রেখে গিয়েছেন। হোয়াটেভার, বইটার নামধাম ও কোটেশনের লোকেশন পরিস্কার হরফে নিচে রেখে যাচ্ছি।

জোসেফ ক্যাম্পবেল, মিথের শক্তি, বিল ময়ার্সের সঙ্গে কথোপকথন, অনুবাদ ও ভূমিকা : খালিকুজ্জামান ইলিয়াস, প্রকাশক : ঐতিহ্য, প্রকাশকাল : ২০০৭ ঢাকা, মূল্য : তিনশত পঁচিশ টাকা, উদ্ধৃতাংশের পৃষ্ঠাক্রম : ‘উৎসর্গ ও আশীর্বাদ’ শিরোনামক অধ্যায় ১৭৫-১৭৬

লেখা / জাহেদ আহমদ ২০১৩

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you