ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়া আমার ফ্যামিলিতে কেউ ঘুণাক্ষরেও কিচ্ছুটি জানত না। আমি এসেছি স্কটল্যান্ডের পশ্চিম সাইড থেকে এবং সবাই জানে যে জায়গাটা আর-যা-ই হোক ফিল্মমেইকিঙের মক্কা তো বলা যাবে না কোনোভাবেই।
‘দ্য গার্ল ইন দ্য ক্যাফে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অডিশন দিতে হয়েছিল এবং সেই অভিজ্ঞতাটা একইসঙ্গে ছিল ভয়ের এবং আরামের। অডিশন যারা নিচ্ছিলেন তাদের সকলের সঙ্গেই আমি এর আগে ‘স্টেইট অফ প্লে’ সিনেমায় কাজ করেছি।
প্যারেন্ট হওয়াটা আসলেই ডিফিকাল্ট একটা ব্যাপার। আর আপনি তো সবসময় ঠিকঠাক কাজ করবেন ভাবাটাই অবাস্তব। তাছাড়া পার্ফেক্ট প্যারেন্ট বলতে যা বোঝায় তা তো আপনে হতেও চান না মনে হয়। পার্ফেক্ট হবার দরকারও নাই। যা দরকার তা হচ্ছে আপনাকে সবসময় আরও মানবিক হতে হবে। এবং পার্ফেকশন নয়, মানবিকতার বড় একটা পার্ট হচ্ছে ইম্পার্ফেকশন।
বেছে বেছে আমার কপালেই জোটে দুনিয়ার যত ডার্ক ক্যারেক্টারগুলাই। ভীষণ সমস্ত মনোজাগতিক প্যাঁচগোচের রোলগুলাই খালি দেইখেন আমার নসিবেই নির্ধারিত।
খুব-একটা পাল্টায় না আসলে কেউই। জিন্দেগি থামিয়ে দেয় এই না-পাল্টানো স্বভাবটাই। দিনের পর দিন জেনারেশনের পর জেনারেশন আপনি পাল্টাচ্ছেন না মানেই হচ্ছে থেমে গেছেন আপনি। জীবন তো অন্তিমে প্রেমভালোবাসারই গল্প। লোকের গল্পও খুব-একটা পাল্টায় না আসলে। চারপাশের এনভায়রনমেন্ট পাল্টায়, টেক্নোলোজি পাল্টায়, জীবনের বহুকিছুই ড্রামাটিক্যালি পাল্টায়, কিন্তু লোকে খুব-একটা পাল্টায় না। কারণ হচ্ছে আর-কিচ্ছু না, আমাদের মন, মানুষের মন।
চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ
… …
- রিপ্রিন্ট রিফ্রেশিং - November 7, 2025
- কোচবিহার ও আব্বাসউদ্দীন - November 7, 2025
- দেবেশ রায়ের ফ্যাসিবাদের বিত্তান্ত - November 6, 2025

COMMENTS