আজকাল এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে, জন্ম কিংবা মৃত্যুদিন ছাড়া আমরা খুব একটা মনে করি না গুরুত্বপূর্ণ কাউকেই।
খোন্দকার সাহেব ছিলেন বহুমাত্রিক মানুষ। দীর্ঘকাল তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য পড়িয়েছেন, ১৯৮৫ সাল থেকে মৃত্যুর আগে-অবধি সম্পাদনা করেছেন ‘একবিংশ’ নামের অসাধারণ একটি লিটলম্যাগাজিন। নব্বই বা তার পরের দশকে সদ্য-লিখতে-আসা তরুণদের অনেকের জন্যেই ‘একবিংশ’ ছিল অনেকটা বাতিঘরের মতো। এখন বিশ্বসাহিত্য সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা খুব একটা কঠিন কাজ না, গুগল করলেই মুহূর্তের মধ্যে সব চোখের সামনে এসে হাজির হয়। কিন্তু ১৫/২০ বছর আগে সেটা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। খোন্দকার সাহেব সেই সময়ে আমাদের বিশ্বসাহিত্য নিয়ে আগ্রহের অনেকটাই প্রশমিত করেছেন তার পত্রিকার মাধ্যমে।
আজ, ১৬ জুন ২০২৪, শিক্ষককবিসম্পাদকঅনুবাদক খোন্দকার আশরাফ হোসেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী।
নতুনদের মধ্যে খোন্দকার আশরাফ হোসেনকে নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখি না। তাঁর সব লেখা নিয়ে কোনো সংকলন চোখে পড়েনি আমার। প্রকাশকরাও বোধহয় খুব একটা আগ্রহী না। নাম-না-জানা কত লেখকের রচনাসংগ্রহ চোখে পড়ে। খোন্দকার সাহেবের সামগ্রিক রচনা নিয়ে একটা ভালো সংকলন হতেই পারত।
প্রয়াণদিনে তাঁর একটি কবিতা পড়ে স্মরণ করি তাঁকে —
মানুষকে কেউ ধারণ করতে পারে না
না নিসর্গ না ঈশ্বরের দিগন্ত-প্রসারী আলখাল্লা
না নদী না জন্মভূমি।
মানুষের কোনো উপমা নেই, রূপকল্প নেই, ব্যতিহার
বহুব্রীহি নেই, স্বরলিপি ব্যাকরণ নেই
শাসনতন্ত্র, অর্থ-অভিধান চর্যাচর্য নেই।
আমি মানুষকে ভালোবাসি কেননা সে একদিন
নিজহাতে নিজেকে পোড়াবে
(মানুষ / খোন্দকার আশরাফ হোসেন)
খোন্দকার আশরাফ হোসেন স্মরণ ও মূল্যায়ন রচনারাশি
খোন্দকার আশরাফ হোসেন কবিতাবলি
প্রণবেশ দাশ রচনারাশি
- খোন্দকারের রচনাসংগ্রহ || প্রণবেশ দাশ - June 16, 2024
- ছবিনিবন্ধ : চড়ক || প্রণবেশ দাশ - April 13, 2019
- ছবিনিবন্ধ : পণাতীর্থ || প্রণবেশ দাশ - April 5, 2019
COMMENTS