ট্যাগগুলো: ধারাবাহিক গদ্য
ইচ্ছেশ্রাবণ ৫ || বিধান সাহা
১.
বহুদিন পরে আজ চমৎকার হাওয়া বইছে। জানালা খুলে দিলে সারা ঘর বাতাসে উত্তাল হয়ে উঠছে। অজস্র বই নিয়ে বসে আছি। সেগুলোকে দেখছি। বই যে দেখারও বস্তু তা ভেব...
বনজুঁই ঘুমিও না ৭ || নিবেদিতা আইচ
মফস্বলে কাটানো শৈশবের বিকেলগুলো ছিল বুনোফুলের ঘ্রাণে সুবাসিত। বন্ধুদের নিয়ে কখনো কখনো কলোনির বাইরে অনেকটা পথ হেঁটে যেতাম। সাদা রঙের ছোট ছোট ফুল সেই ...
স্মৃতিগন্ধা রুমাল ২ || সানজিদা শহীদ
১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাস। কাকাতুয়ার ঝুঁটির বিষণ্ণতার মতো আমরাও স্মৃতির শহর যশোর ছেড়ে এলাম। বাবা বদলী হয়ে বগুড়ায় এলেন। উত্তরবঙ্গে তখন কনকনে শীত। মা আর আ...
জয়ধরখালী ২২ || শেখ লুৎফর
আষাঢ়-শ্রাবণ মাস এলে সুতিয়া নদীর পাড় ধরে উত্তর দিক থেকে শুয়রের বাথান আসে। বর্ষার শুরুতে রংপুর-দিনাজপুরের বড় বড় মহাজনেরা চার-পাঁচটা ধাড়ি বয়ারের সাথে চ...
ইচ্ছেশ্রাবণ ৪ || বিধান সাহা
কোকিল ডাকছে। নিচে গাড়ি চলছে হুশহুশ করে। জানালার পাশে বসে লিখছি যখন, একটা মৃদু হাওয়া এসে ছুঁয়ে যাচ্ছে। পাশের বিল্ডিঙের ছাদে চমৎকার কিছু নয়নতারা ফুল ফ...
বনজুঁই ঘুমিও না ৬ || নিবেদিতা আইচ
স্বপ্ন স্বপ্ন ঘ্রাণমাখা একটা বাড়ি। বাড়িতে একটি মাত্র ঘর। ঘরের চার দেয়ালে চারটি জানালা। জানালাগুলোর কপাট মেলতেই এক একটা দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। এক জান...
জয়ধরখালী ২১ || শেখ লুৎফর
টকটকে ফর্সা মেয়েটার নাম মজিদা। গরিবের মেয়ে বলে পাড়ার মানুষ তাকে মজি ডাকে। সে লকলক করে লম্বা হচ্ছে। তাই ছেঁড়া, নোংরা আর ছোট হয়ে যাওয়া ফ্রকটা তার দশ-ব...
জয়ধরখালী ২০ || শেখ লুৎফর
আশপাশের কয়েক গ্রামে কলেরা লেগেছে; জয়ধরখালীতেও কেউ কেউ কলেরায় পড়েছে। তাই সন্ধ্যা হতেই পাড়ার চ্যাংড়ারা খড়কুটার আগুন জ্বালিয়ে জোর গলায় চিৎকার দেয়, —
আ...
বনজুঁই ঘুমিও না ৫ || নিবেদিতা আইচ
উনিশশো অনন্তের কোনো-এক দুপুর। উত্তল ছায়ামেঘের মাঝে বসে ঝিল্লিময় সেই দুপুরটা আচমকা কথা বলে ওঠে। ঠাকুমার মতো মাথা নেড়ে নেড়ে সে আমাকে 'পরস্তাব' শোনায়৷ ...
জয়ধরখালী ১৯ || শেখ লুৎফর
নাম তার চান্দু মড়ল। তাই বলে মনে করার কোনো কারণ নাই যে রূপ-চেহারায় সে চান্দের মতন এক পুরুষ। সত্তর বছর পেরিয়ে আসা একজন রগচটা বুড়ো সে। একটু উনিশ-বিশ হল...