কন্সার্টে লাইভ থাকার ইচ্ছা বহুদিন আগে মইরা গেছে । মানে বহুদিন কন্সার্টে যাই না। যাইতে ভালো লাগে না। এইটা কি একটা জেনারেশন লুপহোল? নট শিওর। কিন্তু গত বছর ব্ল্যাকের এই কন্সার্টটা যে মিস করছি, এইটার একটা আফসোস থাকবে। সারাজীবন।
গত দুই দশক হইলো ভাঙনের যুগ। বা বিদায়ের যুগ। হারানোর যুগ। আমাদের সময়ের নায়ক-নায়িকারা দলছুট হইছেন, মঞ্চ থেইকা সইরা গেছেন নিরলে, দেশ ছাড়ছেন কেউ, কেউ ছাইড়া দিছেন দুনিয়া। আমাদের স্মৃতি-জমানো ডায়রির পাতা রঙিন থেইকা শাদাকালো, ফের অন্য রঙে রঙিন হইছে, হইতেছে। ওই পুনরাবৃত্তির প্রতিধ্বনিতে আত্মপ্রতারণায় বিমুগ্ধ মহাকাল।
অ্যানিওয়ে, ব্ল্যাকের গান খুবই পোয়েটিক। মিউজিকে ওরা এমন এক অল্টার্নেটিভ, যেইটার শূন্যস্থান পূরণ হয় নাই এখনো। যে পরিস্থিতি দেখতেছি, হবেও না মনে হয়। এই কন্সার্টের নাম ‘রেজারেকশন অব ব্ল্যাক’। মানে সব দলছুট এক হইয়া অতীতরে ফের সিম্ফোনাইজ করা। খুবই ভালো লাগছে আমার। অপলাপ, অভিমান, অনুক্ষণ, শ্লোক, শোকার্ত উপকূল, পরাহত, ব্লুজ অ্যান্ড রোদ, আমরা, এখনো, মানুষ পাখির গান, আমার পৃথিবী, স্মৃতি। জন কবির এক বিউটিফুল স্টর্ম। একজন কবি। তাহসান ভোরের বৃষ্টি।
হাসান শাহরিয়ার ২০২৫ জুন
COMMENTS