হিন্দুদের যতগুলো ধর্মীয় উৎসব আছে তার মধ্যে দীপাবলিই আমার প্রিয় ছিল।
আমরা ছোটবেলা এটাকে বলতাম বাত্তির দিন। এই দিনে আমাদের আনন্দ সীমা ছাড়িয়ে যেত।
কত প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সেই দিনটি উদযাপন করতাম। টাকা জমিয়ে বাজি কিনতাম। রাতভর সেই বাজি ফুটত। কানের পর্দা ফেটে চৌচির হয়ে যাবার দশা কিন্ত আমাদের থামবার অবকাশ নেই।
পুরোটা গ্রাম মোমবাতির আলোয় প্রোজ্জ্বলিত হয়ে উঠত। এই দৃশ্যটা অপার্থিব। আমাদের মুসলিম বন্ধুরা এই দৃশ্য দেখার জন্য বাড়িতে চলে আসত।
আমাদের দাদুরা সলতের বাতি জ্বালাতেন। মাটির হাঁড়িকে উপুড় করে সলতের দড়ি পাকাতেন। রাতভর ঘটের মাঝে সরিষার তেল দিয়ে বাতি জ্বালিয়ে রাখতেন।
বাবা-কাকারা পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে নদীতে বাতি ভাসাতেন। কলাগাছের খোল দিয়ে বানানো চৌকোণা ভেলার মতো বাতি। এ যেন কার্তিকের স্রোত মিইয়ে যাওয়া নদীতে অগণিত আলোকবাতির মিছিল।
ধর্মীয় রিচ্যুয়াল হলেও এই উৎসবটি এত সুন্দরের রোশনাই ছড়িয়ে দেয়!
… …
- যেন আশ্বস্ত হওয়ার ফুল || আনম্য ফারহান - March 26, 2023
- শান্তিগঞ্জের মানুষ উৎসব || ইভা রায় - March 25, 2023
- জাকারিয়া খান চৌধুরী : স্মৃতি ও শ্রদ্ধা || উজ্জ্বল দাশ - March 25, 2023
COMMENTS