ভোটের/ভূতের ভবিষ্যৎ || সুমন রহমান

ভোটের/ভূতের ভবিষ্যৎ || সুমন রহমান

জীবনে একবারই ভোট দিয়েছিলাম। ন’বছর বয়সে মামার কোলে চড়ে। ১৯৭৯ সালের হ্যাঁ/ না ভোট। বেশ উৎসবমুখর পরিবেশ, মনে পড়ে। প্রিসাইডিং বা পোলিং অফিসার মামার বন্ধু। তিনি খুব হেল্প করলেন প্রার্থী বাছাইয়ে। বারবার জানতে চাইলেন, আমি সত্যি কাকে ভোট দিতে চাই। তার আশঙ্কা ছিল, সম্ভবত আমি বায়াসড হয়ে যেতে পারি!

জীবনে আর একবার ভোটের সংস্পর্শে এসেছিনু। তবে এবার ভোটার নয়, প্রিসাইডিং অফিসার হয়ে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ভোট শেষে গুণাগুণতি হল। ক্যান্ডিডেট ‘এ’ এক ভোটে পাশ। স্বভাবতই বিরোধীপক্ষ পুনঃগণনার আবেদন করল। আবার গণনায় ক্যান্ডিডেট ‘বি’ দুই ভোটে পাশ! ইতোমধ্যে ক্যান্ডিডেট ‘এ’-র বিজয় মিছিল করা-টরা শেষ। মিছিলের মধ্যে বিরোধীপক্ষ হামলা করল, দু-চারটা ককটেলজাতীয় জিনিসও ফুটল। সন্ধ্যা হয়ে এসেছে, পুলিশেরা আমাকে ছেড়ে দিয়ে শুধু ব্যালট পেপার নিয়ে বাসে উঠে বসে গেছে। এখন আমাকে বলা হলো, প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে যাতে ক্যান্ডিডেট বিকে বিজয়ী ঘোষণা করি।

এর পরের কাহিনি জমজমাট থ্রিলার। তাও প্রায় হরর ঘরানার। বেঁচে এসেছিলাম নিশ্চয়ই! নইলে আজকে এই স্ট্যাটাস কি লিখতে পারতাম?

  • ব্যানারে ব্যবহৃত ছবির শিল্পী সত্যজিৎ রাজন

জুলাই ২০১৮

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you