ব্লান্ট ভোয়েসেস (৫)

ব্লান্ট ভোয়েসেস (৫)

আপনাদের লগে এই ইন্টার্ভিয়্যুয়ের পরেই কিন্তু ছুট লাগাতে হবে ইমিগ্র্যাশনের লাইনে এবং আমার গ্রিনকার্ড ইত্যাদি খুঁইজা বাইর করে দেখাতে হবে আর-দশটা সাধারণ মানুষের মতোই।

অ্যামেরিকায় আপনে যদি দীর্ঘ সময় নিয়া আসাযাওয়ার ভিতরে থাকেন তাইলে দেখবেন যে অ্যামেরিকানিদের লগে খেলানেলা করা উঠাবসা করা সোজা জিনিশই। পুরা ব্যাপারটা আওয়াজের ভিতর দিয়া চালাইতে হয়, এনার্জি লাগে বিস্তর বটে, এবং খুবই ভিন্ন একটা হালতের যাপন সন্দেহ নাই। কিন্তু কঠিন পার্টটা হচ্ছে অ্যাক্সেন্ট। অ্যামেরিকানি উচ্চারণ সত্যিই একটা দশাসই কঠিন ব্যাপার। আমি দিনরাইত অ্যালার্ট থাকি অ্যাক্সেন্ট নিয়া, আর এইভাবেই জিনিশটা আমি কিছুটা সামাল দিতে পারি আল্লা আল্লা করে।

অ্যামেরিকানরা অনেক বেশি ওপেন, অবশ্যই। কিন্তু এত ওপেননেসের একটা অসুবিধা এইটাই যে এভাবে একদম গূঢ় অনুভূতিগুলা প্রকাশ করা দুষ্কর। কথাটা স্টেরিয়োটাইপ মনে হলেও সত্য। ব্রিটিশরা আবার ইমোশন প্রকাশের বেলায় চাপা স্বভাবের, খুব-একটা আত্মমূল্যায়নে দড় নয়, সিচুয়েশন সামলাইবার বেলাতেও অনেকটা ল্যাবগ্যাবে, একটু মর্মাপেক্ষী বা টাচিং, বা কি বলব, এইরকমই কিছু।

জো জনস্টোনের আমি বিশাল বড় সমর্থকদের একজন এবং আমি মনে করি ‘ক্যাপ্টেইন অ্যামেরিকা’ আসলেই একটা দারুণ মজার সিনেমা, কাহিনিটাও খুবই ইন্ট্রেস্টিং। কথা হচ্ছে কেবল এইটাই যে এই সিনেমায় আমি ঠিক অভিনয় করতে ইচ্ছুক হব না ফার্স্ট প্রেফ্রেন্স হিশেবে।

একটা ব্রেইক দরকার আমার। আমি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ছাড়া তো জিন্দেগিতে তেমনকিছু করি নাই। ঠিকঠাক আর ইতিহাসযৌক্তিক কিছু যদি দেখতেই চান আপনারা তাইলে সিনেমা না দেইখা বরং হিস্ট্রি চ্যানেল দেখুন।

চয়ন, সংকলন ও অনুবাদন : বিদিতা গোমেজ

… …

COMMENTS

error: