পাওলো কোয়েলহো, ব্রাজিলের বিখ্যাত এবং বেস্টসেলার লেখকদের একজন। তার জনপ্রিয় উপন্যাস ‘দ্য আলকেমিস্ট’, ‘ভাল্কাইরিস’ বা ‘ভেরোনিকা ডিসাইডেড টু ডাই’-এ আমরা জাদুমুগ্ধতার এক সার্বজনীন শক্তিশালী উপস্থিতি দেখতে পাই, যিনি নিজেও প্রবলভাবে বিশ্বাস করেন শুভ আর অশুভ আত্মা আর অলৌকিক উপস্থিতির উপর। পাওলো কোয়েলহোর কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অন্যায় হলো ‘অসম্ভব’ শব্দটার উপর বিশ্বাস রাখা। তার কাছে প্রত্যেকটা মানুষেরই একেকটা নিজস্ব ক্ষেত্র আছে, যেখানে তাকে কাজ করে যেতে হয়, প্রত্যেকেরই একটা জীবনবৈচিত্র্য আছে, যা শুধুমাত্র তার জন্যই সাজানো হয়েছে। আর জীবনের তৃপ্তি নির্ভর করে প্রচলিত স্রোতে গা ভাসিয়ে না দিয়ে যার যার নিজস্ব জীবনবৈচিত্র্যের এই ধারাকে বোঝা মধ্য দিয়ে নিজেকে সেই পথে চালিত করার মাধ্যমেই।
আপনার বইগুলোকে আপনি কি কি ধারায় ভাগ করতে চান?
আমার বইগুলোর মধ্যে ২টাকে ননফিকশন বলা যায় — ‘দ্য পিলগ্রিমেইজ’ আর ‘দ্য ভাল্কাইরিস’-কে। আর বাকিগুলো আসলে আমার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা, তবে সরাসরি না বলে কিছুটা প্রতীকীভাবে বা রূপকের আশ্রয় নিয়ে লেখা ওগুলো। আমি বিশ্বাস করি যে-কোনো শিল্পী বা যে-কোনো মানুষই তার সেই কথা বা কাজগুলোই শেয়ার করে থাকে যা ইতোমধ্যে সে অভিজ্ঞতায় পেয়েছে — এই অভিজ্ঞতা হতে পারে কোনো প্রতীকী অভিজ্ঞতা বা প্রথাগত বাস্তব অভিজ্ঞতা — যা-ই বলি না কেন।
কবে থেকে লেখালেখি শুরু করলেন?
টিনেজার বয়স থেকেই তো। অবশ্য মা বলত, শুধুমাত্র লেখালেখি করে ব্রাজিলে বেঁচে থাকা অসম্ভব। আমি তাকে বিশ্বাস করেছিলাম, তাই অন্য নানা কাজ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেন যেন কোনোকিছুই আমাকে আনন্দ দিতে পারল না। তো বিরক্ত হয়ে কলেজ ছেড়ে দিলাম আর হিপ্পিদের মতো ঘোরাঘুরি করা শুরু করে দিলাম। যখন আবার ব্রাজিলে ফিরে এলাম, তখন চটি টাইপের একটা ম্যাগাজিন বানানো শুরু করলাম। ঐ সময় কিছু গানের লিরিক লেখার অনুরোধ পাই, আর তারপর যাই সাংবাদিকতায়। যদিও লেখালেখি করে বেঁচে থাকার রাস্তা আমি পেয়ে গেছি, কিন্তু তখনও পর্যন্ত, মানে আমার যখন বয়স ৩৮, তখনও আমি কোনো বই লিখিনি। কিন্তু কেন? আমার কাছে সবসময়ই মনে হতো দুটো জিনিস মানুষকে সবসময় তার স্বপ্ন থেকে দূরে সরিয়ে রাখে — ভাবা যে, এটা করা অসম্ভব আর উপলব্ধি করা যে এটা করা সম্ভব। আর এই দ্বিতীয় চিন্তাটার কারণে জীবনের অর্থময়তা হারানোর প্রবল সম্ভাবনাও কাজ করে।
আপনাকে তাহলে কোন জিনিসটা অনুপ্রাণিত করল?
আমার চিন্তার মোড় ঘুড়িয়ে দেয় আসলে সান্তিয়াগো দ্য কম্পোস্তেলার ভ্রমণের সময়টা। ঐ সময়টায় আমার সমস্ত চিন্তার কেন্দ্র ছিল এই বিশ্বময়তার রহস্যের উপর। আমি উপলব্ধি করলাম রহস্য বলে আসলে কিছু নেই, জীবন নিজেই একটা বিরাট রহস্য। আমাদের এই রহস্যময়তার ধারাকে মেনেই চলতে হবে আর অন্যকিছুর উপর মনোযোগ দিতে হবে। জীবন একটা ধ্রুব গুপ্তভাষার ইঙ্গিত, আর এই ইঙ্গিত আমাদের স্বতঃস্ফুর্তভাবেই তাড়িত করে, আমাদের একে অপরকে অপ্রত্যাশিতভাবেই মুখোমুখি এনে দাঁড় করায়। ঐ যাত্রার পরে আমি আমার আধ্যাত্মিক সন্ধান চিন্তার ধারাকে একটা সরলরৈখিক রূপে দাঁড় করালাম। আর সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা বাদ দিয়ে আমি বুঝতে চেষ্টা করলাম, জীবন নিজেই একটা বড় উত্তর।
আপনার ‘দ্যা ভাল্কাইরিস’ বইয়ের মুখ্য চরিত্রই পাওলো কোয়েলহো। এই বইটাকে কি অটোবায়োগ্রাফি বলা যায়?
হ্যাঁ, এটা অবশ্যই অটোবায়োগ্রাফি, আর এখানে যা বলা হয়েছে তার পুরোটাই সত্য। আর একটু অন্যভাবে যদি উত্তর দিতে চাই, তাহলে বলব, এটা আসলে খুব সরল আর অকপট। আমি এখনও মনে করি, স্রষ্টার কাছে যাবার সর্বোত্তম রাস্তাটাই হলো সরলতা।
লেখায় নিজেকে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে দেখানোর কারণ কি?
কারণ আমি শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়েই আলোচনা করতে চাইনি, বরং আরো কিছু গুরুত্বপুর্ণ বিষয় নিয়েও বলতে চেয়েছি — যেমন ধরা যাক, বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়আশয়। আমার তো মনে হয় তখনই আমি আমার স্ত্রীর চিন্তাভাবনা নিয়ে কথা বলতে পারব যখন আমি তৃতীয় একটা জায়গা থেকে ব্যাপারটা দেখব।
অলৌকিক কিছু কি আপনি দেখেছেন? আসলেই কি এ–রকম কিছুর অস্তিত্ব আছে ?
হ্যাঁ, আমি দেখেছি। যেটা সচরাচর সবাই জানে — মেসেজেস অফ গড, বা স্বর্গীয় আলোকচ্ছটা। তবে বলতে গেলে তারা সবাই একটূ অন্যভাবে/অন্যস্বরে কথা বলে।
‘দ্য ভাল্কাইরিস’ এ আপনি নিজেকে একজন জাদুকর হিসেবে বর্ননা করেছেন। বাস্তবেও কি জাদুবিদ্যার চর্চা করেন?
সান্তিয়াগোর পথে পথে হাঁটতে গিয়ে আরও যে একটা জিনিস উপলব্ধি হয়েছিল — প্রত্যেকেই একেকজন জাদুকর। কিন্তু বিষয়টা হলো — কেউই এটাকে গ্রহণ করতে চায় না যে, তার কাছে এই অন্তর্গত উপহার বা শক্তিটা আছে। জাদুবিদ্যায় দুটো ধারা আছে — একটা হলো চাঁদ আর একটা হলো সূর্য। প্রথমটা হলো জ্ঞানের সঞ্চয়াধার আর দ্বিতীয়টা হলো তার বিস্ময়কর প্রকাশ। কৈশোরে আমি প্রথাগত আচার-অনুষ্ঠানই পালন করতাম, এখনও আমি মনে করি, আমি এবং আমরা সবাই সবকিছু জানি। এটা হলো শুধুমাত্র ইচ্ছার তাগিদ, যা বিশ্বআত্মার সাথে আমাদের উন্মুক্ত করে দেয়।
আপনি আপনার লেখায় বলেছিলেন যে, আপনি ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চা করেছিলেন। এর ফলাফল কি হয়েছিল?
হ্যাঁ, এটা আমার বইয়ে লেখা আছে। আমি এমন একটা শক্তি নিয়ে কাজ করেছিলাম, যার সম্বন্ধে আমি নিজেও তেমন পরিচিত ছিলাম না। চুড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবেই করেছিলাম। কিন্তু স্রষ্টা দয়ালু আর তিনি আমাকে ভালো শিক্ষা দিয়েছেন।
কার্লোস কাস্তানেদাও জাদুবিদ্যা নিয়ে লিখেছেন। আপনার আর তার চিন্তার মধ্যে কি কোনো মিল আছে?
কাস্তানেদার প্রভাব কৈশোরে আমার মধ্যে ব্যাপকভাবেই ছিল। চিন্তার কথা বলতে গেলে — আমি সবসময়ই মনে করি, মহাজাগতিক জ্ঞান কারোর মধ্যে বিশ্বাসের পথেই আসতে পারে। অন্যদিকে কাস্তানেদা আরও সুনির্দিষ্ট পথে তার কাজ করেছেন।
আপনার জীবনের চালিকাশক্তি কি?
এটা জানা যে, প্রত্যেকেরই একটা উদ্দেশ্য আছে। এটা তখনই আমরা জানতে পারব যখন নিজের মনের কথাটা শুনে লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারব। তো আমার শক্তি আসলে আমার নিজ গন্তব্যকে সার্থক আর পরিপুর্ণ করে তোলা।
লেখক কি লেখা তৈরি করেন, না এটা ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতা ?
তোমার শৃঙ্খলা থাকতে হবে, অনুপ্রেরণা থকতে হবে। যেমন থাকবে কঠোরতা, তেমনি একটা আন্তরিক মনোভাব; স্বর্গ বা নরক-এ সবকিছুই। তোমার একটা পরিষ্কার লক্ষ্য থাকতে হবে, এবং সেইসাথে ঐ লক্ষ্যের দিকে নিজেকে চালিয়ে নিয়ে যাবার মতো ইচ্ছাশক্তিও থাকা চাই।
আজকাল অনেকেই রূপান্তর নিয়ে কথা বলে থাকে। যেমন নাক্ষত্রিক ভ্রমণ, দৈবিক উপশম বা যোগসূত্র স্থাপন — এই–রকম। আপনার কি মনে হয় এগুলো মানবিকতার প্রচলিত ধারা পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ/উদাহরণ?
এটা আসলে নির্ভর করে। আমি তো প্রায়ই দেখি লোকজন স্রষ্টার সাথে যোগাযোগ করার কাজটা দিন দিন কঠিন করে তুলছে। নতুন ধারাও যদি বলি, এর মধ্যেও কিন্তু কঠোরতা বা ক্ষমাশীলতা আছে। কিন্তু এটা ভাবা মুর্খামি যে, এই-ই সব। অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে সার্জন দরকার, কোনো দৈবিক কিছু না।
আমরা তাহলে সভ্যতার কোন দিকটা ধরে এগিয়ে যাচ্ছি?
আমরা এখন পরিবর্তনের মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছি। যেহেতু আধ্যাত্মিকতা পরবর্তী শতাব্দীতে একটা গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে, সেহেতু আমাদের সামনে ২টা পথ থাকতে পারে — হয় আমরা মৌলবাদের দিকে যাব না-হয় সহনশীলতার দিকে। তবে আমি সহনশীলতার পক্ষেই বলব। কিন্তু এটা দীর্ঘযাত্রা, আর অনেকটাই নির্ভর করে লোকজন কীভাবে বিষয়টা গ্রহণ করে।
‘ভেরোনিকা ডিসাইডেড টু ডাই’-এ আপনি একটা মেয়ের কাহিনি বর্ণনা করলেন — যে আত্মহত্যা করতে চায়…
না না, এটা আত্মহত্যা নিয়ে কোনো বই না, এটা হলো অন্য আর-দশজনের আশা পূরণের চেষ্টা না করে, নিজ নিজ ইচ্ছেটুকুকে গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা (ধরা যাক, আমাদের বাবা-মা যেমন করে আমাদের গন্তব্য ঠিক করে দেন, তেমন আর-কি)। যুবক বয়সে লেখক হতে চেয়েছিলাম, আর আমার ফ্যামিলি আমাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়েছিল; একবার না তিন তিনবার। ভেরোনিকা আমার এই অভিজ্ঞতার ফসল। আমাদের অবশ্যই এইসব প্রথাগত ‘ভালো ব্যবহারের নিয়মাবলি’ মেনে চলা বন্ধ করতে হবে। এই যে অলিখিত একটা বই, যেটা আমাদের জীবনটাকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে; এগুলোকে পিছনে ফেলে আরেকটু সাহসী হতে হবে। ভেরোনিকা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। কারণ সে বুঝতে পেরেছিল, আজকের দিনটা ঠিক গতকালের মতোই, আর আগামীকালটাও এমনই থাকবে। যা-ই হোক, আমার অভিজ্ঞতার কথা যা বলছিলাম — ঐ মানসিক হাসপাতালে অনেক ধরনের যুদ্ধ আছে, যার কিছু কিছু তোমাকে শেষ করে দেবে, আবার কিছু যুদ্ধ আছে যা তোমাকে আরোও শক্ত করে তুলবে। আমার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ব্যাপারটা ঘটেছে। আমি কখনোই নিজেকে পরিস্থিতির শিকার বলে ভাবিনি। বরং ভেবে নিয়েছি — আমি সেই অভিযাত্রিক যে যুগ যু ধরে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে যাবে।
‘আলক্যামিস্ট’ আপনার সবচেয়ে বিখ্যাত বই। ব্যক্তিগতভাবে কোন বইটাকে আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে?
আমি তো আমার সব বইকেই A+ দিব। কারণ আমার সবচাইতে বেশিটাই আমি অইখানে দিয়েছি। তাঁর মানে হলো আমার বই আমার চাইতেও ভালো।
কখনো অন্য কোনো লেখক দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন?
কাস্তানেদা, হেনরি মিলার, উইলিয়াম ব্ল্যাক। তবে সবার উপরে জর্জ আমান্দো আর জর্জ লুইস বোর্গেস।
প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় লেখকেরা কি ভূমিকা পালন করেন?
বাগানের মালি বা একজন ট্যাক্সিড্রাইভারের মতো। তোমার কাজ তুমি ভালোবাসা আর উৎসাহের সাথে করে যাও; লোকজন এমনিতেই ভালোটার দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে।
আপনার বইগুলোতে অনেক স্পর্শকাতর বিষয়ের বর্ণনা পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে তা করুণ অবস্থায় দাঁড়ায়। কিন্তু এখনকার বইগুলোতে এই ব্যাপারটা তেমন দেখা যায় না। বরং দেখা যায় ভালো থাকা বা পৃথিবীর আনন্দময় রূপের বর্ণনার আধিক্যই প্রাধান্য পায়। কি এমন বিষয় যা আপনাকে আলাদা করে তুলল?
অন্যের বইয়ের বিচার আমি করতে চাই না। আমার বই শুধুমাত্র আমার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেয়, আমার জ্ঞানের বর্ণনা না। প্রথমত, যেটা শুরুতেই বলেছিলাম — আমি জ্ঞানী লোক না; প্রত্যেকেই সবকিছু জানে বা কেউ কিছুই জানে না, কেননা স্রষ্টা সাম্যবাদী। দ্বিতীয়ত, অভিজ্ঞতাই হলো সব যা তোমার আছে আর তা তোমাকে শেয়ার করতে হবে। আমাদের এখানে থাকার কারণটা কি? এই শেয়ার করাই তো। বই একটা প্রভাবক হিসেবে কাজ করে; মানুষদের এটা বুঝতে সাহায্য করে যে, সে আসলে একা না। অনেক লেখকের বইই আমাকে এই বিষয়টা বুঝতে সাহায্য করেছে আর আমার জীবনের নানান সঙ্কটময় মুহূর্তে এই বইগুলোই আমাকে বেঁচে থাকার শক্তি যুগিয়েছে। বই একটা ভালো সঙ্গীও হতে পারে। কিন্তু এটা সত্য যে, আমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ অভিজ্ঞতা থেকে শিখে যেতে হবে।
॥ সাক্ষাৎকার গ্রহণ : অনুপমা ব্যানার্জি ॥ ॥ ভাষান্তর : অর্পণ দেব ॥
‘লাল জীপের ডায়েরী’ ওয়েবম্যাগে এই ভাবান্তর/ভাষান্তর/অনুবাদটা মার্চ ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে একবার ছাপা হয়। লালজিপ বর্তমানে সঞ্চালন বন্ধ বলে এখানকার সিলেক্টেড কিছু টেক্সট সঞ্চালকবৃন্দের সম্মতি নিয়ে লেখক-অনুমোদিত প্রুফসংশোধন-পরিমার্জনপূর্বক গানপারে আপ্লোড করা যাচ্ছে। — গানপার
… …
- স্বরচিত কবিতার অন্তর্গত অনুপ্রেরণা || হাসান শাহরিয়ার - January 24, 2025
- আর্কের হাসান ও নব্বইয়ের বাংলা গান - January 23, 2025
- শাহ আবদুল করিম : জন্মের শতক পেরিয়ে আরও একটা আস্ত দশক || ইলিয়াস কমল - January 20, 2025
COMMENTS