কাক দেখে চেনা যায়
কে এইটা আঁকসেন কোন জমানায়
কার শাসনামলে
এক্সাম্পল দিতে বলা হলে
টেড হিউজের কাক—
কবিতায় এই সিরিজের অনেক নামডাক
কাউয়ার জীবন ও গান
অথবা দাশবাবুর সন্ধ্যায়
শিরীষের ডালপালায় শিশিরের শব্দের মতো জ্যোৎস্নায়
কাকগুলা ডানা ঝাপ্টায়
টিগার্ডেনে যেমন বাগানিরা মাদলের-মতো-শুনতে বাদ্যটা বাজায়
তিনটুকরা বাকপ্রতিমায় রাজস্থানি কিন্নরের ছাপ
মিথ্যা বলা মহাপাপ
হলেও তবু বলি
দিন যায়া রাইত ফুরায়া আরেকটি জীবনের ভোর
কাকের সঙ্গে কবির অনুপ্রাসমিশ্রিত সুর
প্রবন্ধও পড়সি কিসু খোন্দকার আশরাফ হোসেনের সম্পাদনায়
নাইন্টিসে একবিংশ পত্রিকায়
এই ইন্ডিয়ান বাংলায়
ব্রাত্য রাইসুর পেয়ারা গাছে দোরা কাউয়া ছাড়া আজ
বুদ্ধিদীপ্ত বঙ্গীয় সমাজ
অনেকটা কাকপক্ষীহীন
কবিতে সয়লাব
নর্দমার ধারে একগাদা হাড্ডিসার মানুষ, তাদের ঝাঁঝালো প্রস্রাব—
দুর্ভিক্ষ চিত্রমালায়
এসবের পাশে একটা কাকের ক্যারেক্টার আনসিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন।।
শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা / পাঠক-জ্ঞাতার্থে
শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা নামটায় অবনঠাকুর উঁকি দিলেও ওই কিসিমের প্রবন্ধ ও অনুসন্ধান এইটা না। মানে, এই সিরিজটার কথা বলতেসি, শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা, মিসিলিনিয়াস টাইপের টপিক নিয়া আগাবে। একটাই মিল সবগুলায়, শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালায়, এইগুলা আর্টকালচারের নানান মানুষজন নিয়া বান্ধা বাগবিস্তার, প্রবন্ধের প্রকৃষ্ট বন্ধন জিনিশটার প্রতি নির্নিমেষ তাকিয়ে থেকে, এক্সপার্টদের অপিনিয়নের মজমায় ডাইলে রসুন ছ্যাঁকাইবার কায়দায় হাল্কা টাইমে হাল্কা সাউন্ডে যা-কিসু করবার তার করবে, এবং বলবে, এইসব মানুষ ও জিনিশ নিয়া আমিও ভাবি আমিও ইহাদেরে চিনি। শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা নামের উৎসের বইটির ঋণ স্বীকার করি জীবনে, এই চিনাজানার খবরান্তর করাটাই লিট্রেচার। যার যত ধন, সে ততই কৃপণ। অতএব, অধিক বাক্য করি সংবরণ। তৈয়ার করি ইল্যুশন। এইটাই শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালার মিশন। অধিক কিসু না। গাজোয়ারি লিট্রেচার আর আর্টকালচারের দুনিয়ায় এই জিনিশগুলি শ্রীহট্টে শেখ হাসিনার অতিকায় শাসনামলের কোনো-একটা টাইমে লেখা, ফাইজলামি নয়, তাৎক্ষণিক হলেও তন্ময়, শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা। সালাম, আদাব, শুভেচ্ছা। — জাহেদ আহমদ
শ্রীহট্টেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধমালা
COMMENTS