গুড, ব্যাড অ্যান্ড অনেস্ট : এক্স-মেশিনা || ইমরুল হাসান

গুড, ব্যাড অ্যান্ড অনেস্ট : এক্স-মেশিনা || ইমরুল হাসান

ক্যাপাবল মেইলরাই আসলে ফিমেইল মেশিন বানায় (আর ফিমেইল যিনি বানাইতে পারেন তিনিই তো মেইল, ক্যাপাবল)। আর কী রকমের খচ্চর শালা, ইনফিরিয়র মেশিনগুলিরে কাজের মেয়ে বানায়া তার লগে যা তা বিহেভ করে! মানে, কাজের মেয়ে বানানোটা বেশি বাজে আসলে, এক ধরনের স্লেভারি। আমার ধারণা, এই টাইপটা বানানোর সময় সার্চিং-এ পর্নের রেজাল্টগুলিরে ফিল্টার করতে ভুইলা গেছিল সে (যদিও এইটা বলে না সিনেমাতে), যার ফলে শে বডি দিয়া রিকগ্নাইজ করতে চায় সবকিছু, বেশ দেহবাদী বিহেভ করে, শেষে হিউম্যান বডিরে খুন করার লাইগা ছুরি সাপ্লাই দিতে পারে। কিন্তু ইভা এই-রকমের বেকুব না, ছবি আঁকে, প্রেম করে; একটা বড় রাস্তার ইন্টারসেকশনে (ভ্যাজাইনার সাইনই তো, নাকি?) দাঁড়ায়া ডেটিং করার কথা বলে। কী কিউট! আসলে টেক্নিকগুলি যত পুরান, ততবেশি এফেক্টিভ।

ex machinaইয়াং পোলাটারও খারাপ লাগে যে, তার ক্যাপাবিলিটির লাইগা তারে নেয়া হয় নাই, নেয়া হইছে সে ‘ভালো মানুষ’ বইলা। তো, ভালো মানুষ হইল যে ইথিক্যালি ডিসিশান নেয়, ইমোশনালি বায়াসড হয়; লজিক্যাল চিন্তা করতে পারে না – এইসব কোয়ালিটিরে ‘ভালো মানুষ’ বইলা চালানোটা আসলে ঠিক না। মানে, কোনো-না-কোনো বোকামি না থাকলে কেউ ‘ভালো’ হইতে পারবে না, কী আজিব!

কয়েকদিন আগে একটা গেইম খেলতেছিলাম, সেইখানে ক্যাটাগরি তিনটা – গুড, ব্যাড অ্যান্ড অনেস্ট। আমি গুড হইছি, আমার মেয়ে ব্যাড, কেউই অনেস্ট হইতে পারি নাই; মানে অনেস্ট হওয়ার লাইগা যতদূর ফেইক করা লাগত, অতদূর ক্যাপাবল আমরা হইতে পারি নাই; গুড অর ব্যাড অনলি। আর সিনেমায় ইয়াং পোলাটা গুড বা ব্যাড না, অনেস্ট খালি।

অনেস্টিটা হইল, মেশিনরে সে আর মেশিন ভাবতে পারে না; কারণ মেশিনের একটা মডার্ন কনশাস্নেস আছে, চিন্তাভাবনা করতে পারে; শরীরও আছে একটা, সো শে তো তাইলে মানুষই। মানুষ হয়া সে মেশিনরে মানুষ ভাবতে পারে। কিন্তু মেশিন মানুষরে এনাফ মেশিন ভাবতে পারে না; মেবি ভাবে, মানুষই তো, মেশিন তো আর না।

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you