সরকার দেশের চলচ্চিত্রের পথ সুগম না করে সেন্সর বোর্ড ও নানাভাবে এর পথরোধ করতে চেয়েছে সবসময়। অথচ পাকিস্তান আমলেই জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ মুক্তি পেয়েছিল এবং মুক্তিসংগ্রামের বোধকে জনপ্রিয় করার একটি অন্যতম মাধ্যম হয়েছিল সিনেমাটি।
চলচ্চিত্রশিল্পের এই দুর্দশা ও নেগেটিভ রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্টের কথা মাথায় নিয়েও কিছু নির্মাতারা যখন নানানভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে, সেইসময়ে সাম্প্রতিককালে পুলিশের নেগেটিভ চরিত্র অভিনয়ের জন্য পরিচালক ও অভিনেতাকে কারাগারে প্রেরণ সামরিক জান্তা সরকারের সেন্সরকেও হার মানায়!
সংযুক্ত কলামে জানতে পারলাম চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের নতুন আইনে জেলা প্রশাসকদেরকেও দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে একটি সিনেমা তার জেলায় চালানো যাবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য!!
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশি কন্টেন্ট প্রদর্শনের একটা ভালো মাধ্যম হতে যাচ্ছে নিঃসন্দেহে, কিন্তু এটাকেও নিয়ন্ত্রণের একটা পাঁয়তারা চলছে সবদিক থেকে…। ব্যাপারটা এমন, সিনেমার চেয়েও বাস্তবে জঘন্য কিছু ঘটলেও তা ক্রিয়েটিভ মাধ্যমে দেখানো যাবে না!!!
- মুহাম্মদ শাহজাহান : অগ্রন্থিত প্রস্থান - March 15, 2023
- বইয়ের খবর লেখকের জবানে / মুমূর্ষু খয়েরি রাত ও শিবু কুমার শীল - February 28, 2023
- মাসানোবু ফুকুওকা : এক তৃণখণ্ডের প্রতিরোধ || আহমদ মিনহাজ - February 28, 2023
COMMENTS