খণ্ড খণ্ড নিবন্ধের আলোকে এক অখণ্ড ভাষাসত্তার প্রকাশ || অনন্ত নিগার

খণ্ড খণ্ড নিবন্ধের আলোকে এক অখণ্ড ভাষাসত্তার প্রকাশ || অনন্ত নিগার

ফজলুররহমান বাবুল মূলত কবি হিশেবেই সুপরিচিত। বিশ শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে মাতৃভাষায় যার কাব্যচর্চার শুরু। তিনি ‘ঋতি’ নামে কবিতাবিষয়ক একটি ছোটোকাগজের সম্পাদক। ২০১৭ সালে কবিতা বিষয়ে তাঁর প্রথম নিবন্ধবই ‘কবিতার পথে’ প্রকাশ হয়। ‘ভাষামুখী নিবন্ধ’ তাঁর দ্বিতীয় নিবন্ধবই।

বাংলা ভাষার প্রতি কবি ফজলুররহমান বাবুলের নিখাদ প্রেম ও দখল যে অসামান্য, সেটা তাঁর কোনও নিকটজনের অজানা নয়। তাঁর সঙ্গে চলতে গিয়ে অনেকবার হয়েছে যে, রাস্তায় হঠাৎ করে থমকে দাঁড়িয়ে কোনও-এক দোকানের সাইনবোর্ডে ভুল বাংলায় লেখা বানান কিংবা  ইংরেজি ও বাংলামিশ্রিত খিচুড়ি বানান আঙুল দিয়ে নির্দেশ করে বলেছেন, “ওই দেখো, কী অবস্থা!” এ ধরনের অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনা থেকে এটা সহজেই অনুমেয় যে, মাতৃভাষা বাংলার প্রতি তাঁর আবেগ কতখানি গভীর। তিনি স্বভাবে কবি। কাব্যচর্চা তাঁর নেশা।

কবিতার যদি কোনও রং থাকত, তাহলে সেই রঙের মাত্রা তাঁর রক্তেই বোধকরি অধিক পরিমাণ পাওয়া যেত। এই-তো কিছুদিন আগেই পড়ে শেষ করলাম তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘তুমি তেমনই বৃক্ষ’। আসলে শেষ করেছি বলাটা ভুল হবে। একটি ভালো কবিতা বা কবিতাবই আসলে চোখ বুলিয়ে পড়া শেষ করলেও চিন্তায়, মননে তার রেশ বা প্রভাব থাকে আমৃত্যু।

কবি ফজলুররহমান বাবুলের বাহ্যিক জীবন এতটাই সাদামাটা যে শত মানুষের ভিড়ে যখন তিনি হেঁটে যান, তখন তাঁকে আলাদাভাবে শনাক্ত করার মতো কোনও বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু কবিতা দিয়ে যদি মানুষকে চিহ্নিত করা যেত, তাহলে লক্ষ মানুষের ভিড়েও বোধকরি ফজলুররহমান বাবুলকে চেনা যেত। সর্বদা সাধাসিধে পোশাকধারী মানুষটি দেখা হলেই সহাস্যমুখে হাত বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘কেমন আছেন?’

ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকেই জানতাম তিনি ভাষাপ্রেমী এবং বাংলা ভাষা নিয়ে তাঁর নিয়মিত চর্চা আছে। বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর আবেগ ও আগ্রহ অন্তহীন হলেও এ-সম্পর্কে তাঁর ঐকান্তিক ভাবনা ও বোধ কেমন তা এতদিন পরিষ্কাররূপে জানতে পারিনি। সে-বিষয়টাই জানতে পারলাম বাসিয়া প্রকাশনী  কর্তৃক প্রকাশিত তাঁর লেখা ‘ভাষামুখী নিবন্ধ’ নামক সমৃদ্ধ বইটি পেয়ে। আমি বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানবিষয়ক লেখা লিখতে গিয়ে প্রায়শই ভাষা বিষয়ে অনেক কিছুই বিচ্ছিন্নভাবে ভাবতাম; আবার মাতৃভাষার ইতিহাস বিষয়ে অনেক অজানা দিক নিয়ে কৌতূহল বোধ করতাম। একইভাবে, বাংলা ভাষার বর্তমান হালহকিকত নিয়েও মনঃকষ্টে ভুগি। বইটি পড়া শেষে এ-কথা উল্লেখ করতে হয় যে, সেই কৌতূহলগুলো নিবারণে ও মনঃকষ্ট প্রশমনে বইটি সহায়ক হয়েছে এবং নানা প্রশ্নের সদুত্তর পেয়েছি মনোরম ভাষায়। বাংলা ভাষার নানান বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী ও তথ্যবহুল নিবন্ধগুচ্ছ নিয়ে গঠিত সংক্ষিপ্ত পরিসরে এমন সহজবোধ্য বই আমি কম পেয়েছি। বইটি গবেষকদের জন্য না-হলেও গবেষণাধর্মী বই বলা যেতে পারে।

ভাষাতত্ত্বের জটিল বিষয় সহ ভাষার ইতিহাস ও বর্তমান চিত্র নিয়ে শিশু-কিশোর, নবীন ও বোদ্ধা পাঠক — সকলের উপযোগী করেই লেখক বইটি রচনা করেছেন।

সূচিপত্র দেখেই অনুমান করা যায় ভাষার প্রতি অনুরাগী/ ভাষাবিষয়ে আগ্রহী সকলবয়সি পাঠকদের জন্যই বইটিতে চাহিদা অনুযায়ী ভাষাবিষয়ক নির্দেশনা ও জ্ঞানের খোরাক আছে।

‘ভাষামুখী নিবন্ধ’ বইটির নিবন্ধগুলো হচ্ছে, যথাক্রমে — ভাষা, মাতৃভাষা; ভাষার পরিবর্তন, বাংলা ভাষা; উপভাষা বিষয়ে; মান বাংলা : সাধু ও চলিত; বাংলা ভাষার শব্দাগার; শব্দের হার-জিৎ; শব্দের আলোয় পথ দেখি; ভাষার বাঁচা-মরা; মাতৃভাষা এবং পরভাষা; বাংলাদেশে সম্প্রতি বাংলা ভাষা।

ভাষাসম্পর্কিত ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে লেখা হলেও ভাষাকেন্দ্রিক এ-বইটিতে মূলত খণ্ড খণ্ড চিত্রের মাধ্যমে বাংলা ভাষার ইতিহাস থেকে শুরু করে হাল আমলের চালচিত্র পর্যন্ত নানান বিষয়/চিত্র তুলে ধরার প্রয়াস আছে।

বইটির সব অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আবশ্যিকভাবে লেখা দীর্ঘ হবে এবং পড়াটাও ক্লান্তিকর হবে। বাছাই করা কিছু বিষয় নিয়েই তাই আলোচনা সীমিত রাখছি।

বইটির ‘কথামুখ’-এ লেখক উল্লেখ করেছেন, “মানুষ মানুষের কাছে বিচিত্র চিন্তাভাবনা যে-রকম ভাষার আলোয় প্রকাশ করতে পারে সে-রকম অন্যকোনও প্রাণীর পক্ষে সম্ভব হয় না। মানবসমাজের ক্রমোন্নতিতে ভাষার অবদান অপরিসীম।” এটি একটি বৈজ্ঞানিক সত্য। বিজ্ঞানের বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গবেষণায় এটা স্পষ্ট যে, মানবসমাজ আজকের এই অকল্পনীয় উন্নত পর্যায়ে উঠে আসার বা সভ্যতা গড়ে তোলার পেছনে সবচেয়ে বড়ো ভূমিকা পালন করেছে ভাষা। ভাষা হোমো সেপিয়েন্সদের সবচাইতে বৃহৎ ও বিস্ময়কর আবিষ্কার।

ভাষা আসলে নদীর মতন। নদীর স্রোতের মতন ভাষারও বয়ে চলা আছে। নদীর স্রোত যেমন নানান বাঁক পেরিয়ে তার আপনার গতিপথে বয়ে চলে, কিংবা নদী যেমন নানান শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত, ভাষার ক্ষেত্রেও তেমনই। নানান ভাষা নানান উপভাষায়/আঞ্চলিক ভাষায় বিভক্ত। প্রত্যেক ভাষাই আপন আপন ব্যবহারকারীদের এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের মধ্যে বয়ে চলে। ‘ভাষার পরিবর্তন, বাংলা ভাষা’ অধ্যায়ে লেখক বাংলা ভাষার ইতিহাস ও ভাষার পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেছেন। “ভারতবর্ষে প্রথম পর্যায়ে আর্যদের ব্যবহৃত ভাষাই প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা। অন্যভাবে বললে, আজ থেকে কয়েকহাজার বছর আগে (কোনও কোনও মতে আনুমানিক ছয় হাজার বছর আগে) ইউরোপ ও এশিয়ার বিরাট এলাকা জুড়েই একটি পরস্পরবোধ্য ভাষার অস্তিত্ব ছিল, অনেকদিন থেকে ওই ভাষাটি ‘ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা’ (Indo-European Language) বা ‘আদি আর্যভাষা’ (Proto-Aryan Language) নামে পরিচিত। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবর্তনের/রূপান্তরের ফলেই কিছু ভাষার উদ্ভব হয়েছিল, তার মধ্যে একটি হল ‘ভারতীয় আর্যভাষা’- এটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ থেকে উদ্ভূত ইন্দো-ইরানীয় (আর্য) ভাষাগুচ্ছের/শাখার একটি উপশাখা, অপর উপশাখাটি হল—’ইরানীয়’। ভারতবর্ষে ভারতীয় আর্যভাষা যেমন বিস্তৃত হয়েছে তেমনই ইরানীয় উপশাখাটি বিস্তৃত হয়েছে ইরানে। জানা যায়, এই দুই শাখার ভাষাব্যবহারকারীরা নিজেদের ‘আর্য’ (Aryan) বলে পরিচয় দিতেন।” (পৃষ্ঠা-১৬)।

‘মান বাংলা : সাধু ও চলিত’ অধ্যায়ে লেখক আলোচনা করেছেন বাংলা ভাষার মানরূপ লাভের নানা ঐতিহাসিক দিক। উদাহরণস্বরূপ, “তেরো শতকের শুরু থেকে কয়েকশত বছর মুসলমানদের শাসন-প্রভাবে বাঙালির কথ্য/বৈষয়িক ভাষা আরবি-ফারসি শব্দাবলি দ্বারা প্রভাবিত হলেও আঠারো কিংবা উনিশ শতকেও সংস্কৃতকে অগ্রাহ্য করে চলা কঠিন ছিল। উন্মেষপর্ব থেকে অনেকদিন অবধি সংস্কৃতের আশ্রয়েই বাংলা ভাষার বেড়ে ওঠা। ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনামলে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার অনেক আগে থেকেই বাংলা ভাষার সঙ্গে আরবি-ফারসির ঘনিষ্ঠতা হলেও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পণ্ডিত/গদ্যলেখকদের দরবারে আরবি-ফারসির প্রবেশ অবারিত ছিল না।

আঠারো উনিশ শতকের সন্ধিকালে ইংরেজদের আয়োজনে বাংলা লেখ্যভাষা অনেক বেশি সংস্কৃতায়িত হওয়ার পিছনে বড়ো কারণ হল ওই সময়ে ইংরেজ ও বাঙালি পণ্ডিতদের মধ্যে বদ্ধমূল ধারণা ছিল বাংলাভাষা সম্পূর্ণরূপে সংস্কৃতের দুহিতা, এবং এই ধারণার আলোকে তাঁরা বাংলা শব্দের জায়গায় সংস্কৃত শব্দকে প্রতিস্থাপন করেছেন।…মিশনারি কিংবা ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের পণ্ডিতরা বাংলা ভাষা থেকেও সংস্কৃতে বেশি দক্ষ ছিলেন, বাংলা শব্দভান্ডার ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তাঁদের দক্ষতায় ঘাটতি ছিল। এটা সত্য, প্রথম পর্যায়ে খুঁড়িয়ে চলা বাংলা গদ্যভাষা সংস্কৃত থেকে বিরামহীন শব্দ নিয়ে নিজের হাড়মাস শক্ত করেছে এবং ভবিষ্যতের দিকে তার গতিকে বাড়িয়েছে।” (পৃষ্ঠা ৩৬-৩৭)। বাংলাভাষায় সংস্কৃত শব্দের গভীর অনুপ্রবেশ ও সেখানে ইংরেজদের ভূমিকা এখানে সহজেই ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি, নিজভাষার উপর বিদেশি পণ্ডিতদের আধিপত্যবিস্তার, তাদের অনুশাসন কিংবা বাংলা ভাষার ইতিহাসকে তাদের মতো করে আখ্যায়িতকরণের বিষয়টাও ভেবে দেখার মতো।

বর্তমানকালে বাংলা ভাষার প্রতি সকল দেশের বাঙালিদের অবজ্ঞা ও অবহেলাকে কেন্দ্র করে লেখকের আক্ষেপ ফুটে উঠেছে ‘মাতৃভাষা এবং পরভাষা’ অধ্যায়ে এভাবে- “একুশ শতকে আটপৌরে কথাবার্তার মধ্যে কোনও বাঙালি যদি গদগদ কণ্ঠ বলেন — ‘আমার ছেলেমেয়েরা ইংরেজি ভাষা ভালোই আয়ত্ত করছে, বাংলা তেমন একটা লিখতে-পড়তে পারে না।’ তখন একজন বাঙালি হিশেবে মাতৃভাষা বাংলার জন্য আপনার মনে কিঞ্চিৎ মমতা থাকলে ভালো লাগার কথা না।…ইংরেজি জানা সত্যেন্দ্রনাথ আরবি, ফারসি, ইংরেজি, ফরাসি ইত্যাদি ভাষার কবিতা অনুবাদের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের বৈচিত্র্য সঞ্চারে সহায়তা করেছেন এবং বহু বাঙালি কাব্যামোদী সত্যেন্দ্রনাথের অনুবাদ থেকে উপকৃত হয়েছেন। পরভাষা শিখে মাতৃভাষাকে কি ভুলে গিয়েছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪৩) ইংরেজি শিখেছেন এবং নিজের সন্তানকেও যত্নসহকারে শিখিয়েছেন, কিন্তু তাঁরা মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা না-করে বরং শ্রদ্ধাবনত চিত্তে মাতৃভাষার উন্নতির জন্য ভূমিকা রেখেছেন।” (পৃষ্ঠা ৫৯-৬০)।

আবার বাংলাদেশে বাংলা ভাষার সাম্প্রতিক চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে লেখক ‘বাংলাদেশে সম্প্রতি বাংলা ভাষা’ নামক সর্বশেষ নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন — “কেউ কেউ একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ফুল হাতে শহিদমিনারে গেলেও মাতৃভাষায় শিক্ষার কোনও ধার না-ধারে নিজের বালবাচ্চাকে শুধু ইংরেজি মাধ্যমেই পড়ালেখায় যুক্ত রাখেন। মাতৃভাষা বাংলার সঙ্গে বালবাচ্চার সম্পর্কহীনতাকে কেউ কেউ সগর্বে উপভোগ করেন বলেও মনে হয়।…বাংলা ভাষার অনেক সমৃদ্ধি সত্ত্বেও কোনও প্রয়োজন ছাড়াই কেউ কেউ নিজের ব্যবসায়/দোকানে, সংগঠনে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, সড়কে কিংবা বাড়িতে নামফলক লাগানো থেকে শুরু করে কতকিছুই করেন পরভাষায়।…

বর্তমান বিশ্বে অনেক দেশে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া পরভাষা ব্যবহার করা হয় না। অভ্যন্তরীণ কাজকর্ম স্বভাষায় করা হয়। ভারত-বাংলাদেশের অনেক বাঙালি রয়ে গেছেন ঔপনিবেশিক আচ্ছন্নতায়। দেখা যায়, মাতৃভাষায় কাজ চললেও তারা অনেক ক্ষেত্রেই অযথা পরভাষাকে টেনে আনেন।…এটা মিথ্যা নয়, ভাষার ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক আচ্ছন্নতা শত শত বছর থেকে এ-দেশে এক বিশেষ শ্রেণির স্বার্থেই বিদ্যমান।…শুধু উৎসবেই যেমন ভাষা বেঁচে থাকে না তেমনই স্বকীয়তা রক্ষা হয় না, মর্যাদা বাড়ে না।” (পৃষ্ঠা ৭০-৭১)।

বাংলা ভাষা সম্পর্কে সহজে জানতে ও বুঝতে সহজপাঠ্য বই হিশেবে ‘ভাষামুখী নিবন্ধ’ বইটিকে বেছে নেওয়া যেতে পারে। বিশ্বের অন্য সকল ভাষার মতো বাংলা ভাষারও একটি সমৃদ্ধ  ইতিহাস রয়েছে, যা আমাদের সকলের জেনে রাখা উচিত। একইভাবে, মাতৃভাষা বাংলার ভবিষ্যৎ কোনদিকে মোড় নিচ্ছে এবং মাতৃভাষা চর্চার গুরুত্ব কতখানি, তা অনুধাবন করাটাও সকলের জন্য জরুরি। আর এ-সকল প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তুকেই লেখক উপজীব্য করে সাবলীল ভঙ্গি আর ঐশ্বর্যময় বর্ণনায় বইটিকে পরিপুষ্ট করেছেন।

আশা রাখি, শিক্ষিত ও আত্মপরিচয়-সচেতন বাঙালি পাঠকরা বইটি পড়ে উপকৃত হবেন।

… …

COMMENTS

error: You are not allowed to copy text, Thank you