ট্যাগগুলো: অটোবায়োগ্রাফি
স্মৃতিগন্ধা রুমাল ৩ || সানজিদা শহীদ
উত্তরাঞ্চলের আকাশ মাটি সবসময়ই একটা রুদ্র মূর্তি ধারণ করে থাকত। গ্রীষ্মের সময় খা খা করা রোদ, ছাতিম গাছের উপর বসে কাকের তারস্বরে কা কা করা, আবার শীতে প্...
জয়ধরখালী ২৩ || শেখ লুৎফর
‘অভাবে স্বভাব নষ্ট।’ —
চিরন্তন এই বাণী জয়ধরখালীর কারো কারো বেলায় খাটে না। তাদের ক্ষেত-কৃষি আছে; পেটভরা ভাতও আছে। তবু তারা চুরি করে। চুরি তাদের পেশা...
ইচ্ছেশ্রাবণ ৫ || বিধান সাহা
১.
বহুদিন পরে আজ চমৎকার হাওয়া বইছে। জানালা খুলে দিলে সারা ঘর বাতাসে উত্তাল হয়ে উঠছে। অজস্র বই নিয়ে বসে আছি। সেগুলোকে দেখছি। বই যে দেখারও বস্তু তা ভেব...
বনজুঁই ঘুমিও না ৭ || নিবেদিতা আইচ
মফস্বলে কাটানো শৈশবের বিকেলগুলো ছিল বুনোফুলের ঘ্রাণে সুবাসিত। বন্ধুদের নিয়ে কখনো কখনো কলোনির বাইরে অনেকটা পথ হেঁটে যেতাম। সাদা রঙের ছোট ছোট ফুল সেই ...
স্মৃতিগন্ধা রুমাল ২ || সানজিদা শহীদ
১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাস। কাকাতুয়ার ঝুঁটির বিষণ্ণতার মতো আমরাও স্মৃতির শহর যশোর ছেড়ে এলাম। বাবা বদলী হয়ে বগুড়ায় এলেন। উত্তরবঙ্গে তখন কনকনে শীত। মা আর আ...
জয়ধরখালী ২২ || শেখ লুৎফর
আষাঢ়-শ্রাবণ মাস এলে সুতিয়া নদীর পাড় ধরে উত্তর দিক থেকে শুয়রের বাথান আসে। বর্ষার শুরুতে রংপুর-দিনাজপুরের বড় বড় মহাজনেরা চার-পাঁচটা ধাড়ি বয়ারের সাথে চ...
ইচ্ছেশ্রাবণ ৪ || বিধান সাহা
কোকিল ডাকছে। নিচে গাড়ি চলছে হুশহুশ করে। জানালার পাশে বসে লিখছি যখন, একটা মৃদু হাওয়া এসে ছুঁয়ে যাচ্ছে। পাশের বিল্ডিঙের ছাদে চমৎকার কিছু নয়নতারা ফুল ফ...
বনজুঁই ঘুমিও না ৬ || নিবেদিতা আইচ
স্বপ্ন স্বপ্ন ঘ্রাণমাখা একটা বাড়ি। বাড়িতে একটি মাত্র ঘর। ঘরের চার দেয়ালে চারটি জানালা। জানালাগুলোর কপাট মেলতেই এক একটা দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। এক জান...
স্মৃতিগন্ধা রুমাল || সানজিদা শহীদ
কড়াইতে গরম তেলে পিয়াজ, আদা, রসুন ছেড়ে দেই — ফসফস শব্দ হতে থাকে, ছড়িয়ে পড়ে মসলার সুঘ্রাণ চারদিকে আর আমি চলে যাই আমার অতীতে।
খুব ছোটবেলায় বাবার পোস্টিং...
জয়ধরখালী ২১ || শেখ লুৎফর
টকটকে ফর্সা মেয়েটার নাম মজিদা। গরিবের মেয়ে বলে পাড়ার মানুষ তাকে মজি ডাকে। সে লকলক করে লম্বা হচ্ছে। তাই ছেঁড়া, নোংরা আর ছোট হয়ে যাওয়া ফ্রকটা তার দশ-ব...